চূড়ান্ত
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, তবে এখনও গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দলের মহাসচিব ইতোমধ্যে এ বিষয়ে (খালেদাকে বিদেশে পাঠানো) নিয়ে কথা বলেছেন। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তবে কোন দেশের কোন হাসপাতালে তাকে নেওয়া হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন তাই পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পেসমেকার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
এর আগে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হবে।
৮ জুলাই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছয় দিন পর বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে আবারও একই হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার স্থাপন করেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে আসছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ জানান, তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন চলাকালে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ বলেন, আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া প্রায় ৭৬৫ জনকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৩৯৫ জনের বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫২ জন রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ১১ জন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না।
সরকার আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যখন এখানে আসছিলাম, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আমাকে আহতদের বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিতে বলেছিলেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যা যা করা দরকার আমরা তা করব।’
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ৮০ বছরে পা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
৪ মাস আগে
২ মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান তৈরি করা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই আমাদের এটার জন্য অর্থায়ন করতে হবে। মনে করি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
কতটি বিমান কেন হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ১০টির মতো বিমান কেনার। সেটা নির্ভর করে, যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে তারা (মূল্যায়ন কমিটি) আমাদের কী রিপোর্ট করে। তবে অবশ্যই দুই থেকে চারটির মতো হতে পারে।’
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আগামীতে সেটা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। আমিও তাকে জানিয়েছি যে আমরা যেভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনাকাটা করি ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে সেভাবেই করব। সবসময় আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট নিতে চাই এবং আগামীতেও তাই নেব।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) বোয়িংয়ের কথা বলেছেন। সেটা মূল্যায়ন করছি। মূল্যায়ন শেষে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সেই কোম্পানি থেকে কেনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও নতুন বিমান কিনতে চাই। কারণ সেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন। আপনার জানেন এ বিষয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবী। আমরা দু'টার মধ্যে যেখান থেকে ভালো অফার পাব, সবকিছু মিলে যেটা ভালো হবে সেটা কিনব। এটা ঠিক যে এয়ার বাসও আমাদের ভালো অফার দিয়েছে।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আজকেও আমাকে এ কথাটা বলেছেন। আমি বলেছি মিডিয়াতে যখন কোনো খবর আসে সেটা খবর হিসেবে দেখবেন। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ সরকার এখনও এটাকে মুল্যায়ন করছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত ফাইনাল হবে না।’
বোয়িং থেকে বিমান না কিনলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এমন একটা কথা আসছে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন? আমাদের দিক থেকে এর কোনো কারণ দেখি না, আমেরিকার দিক থেকেও কারণ দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা অতীতে অনেক বাংলাদেশি কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে অন্য কোনো কোম্পানিতে আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় এই কথাগুলো সাইড লাইনের। অবশ্যই আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়, একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় অফার দিচ্ছে। যেটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটাই কেনা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা ৯ জুন চূড়ান্ত করব: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৯ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
রবিবার (২ জুন) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
উপকূল এলাকায় সরকারি স্থাপনার ব্যাপক কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দরে যে ড্রেজিং করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পলি মাটি আসার কারণে এটার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কাজগুলো হবে।
উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিকরা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আজকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এদের কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা আজকে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি আগামী ৯ তারিখে মিটিংয়ে আমরা সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করব। তখন সামগ্রিক পরিকল্পনা জানতে পারবেন, যেটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ করার বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি সেটা নিয়ে একটা সুপারিশ আমরা প্রধানমন্ত্রী কাছে দেব।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৬ মাস আগে
সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারির মধ্যে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো সরকার পতনের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। ফলে আগামী মাসের শুরুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে।
বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা ইউএনবিকে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর তাদের দল ঢাকায় জনসভা করতে পারে। সেই জনসভা থেকেই তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস অভিমুখে পদযাত্রা অথবা অফিস ঘেরাও, সচিবালয় বা নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
তবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিএনপির নেতারা বলেন, তাদের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা রোধ করা এবং অন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকারকে বাধ্য করা।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগ এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে বুধবার রাজধানীতে জনসভা করবে বিএনপি।
সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবেন। কঠোর কর্মসূচি এড়ানোর জন্য তাদের এক দফা আন্দোলন মেনে নিতে সরকারকে শেষ সতর্কবার্তা দেওয়ার কথাও রয়েছে তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ইউএনবিকে বলেন,নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই তফসিল ঘোষণার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে আমরা কঠোর কর্মসূচি শুরু করতে চাই। ‘আমরা মনে করি, আমাদের আন্দোলন ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে।’
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
যেসব রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে মতামত নিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বেশিরভাগ দলই সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও বা গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রার মতো কর্মসূচির পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া রাজধানীসংলগ্ন জেলা গুলো থেকে ঢাকা অভিমুখে রোড মার্চ, ইসি ও সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা এবং শেষ পর্যায়ে হরতাল-অবরোধসহ আরও কিছু কঠোর কর্মসূচির সুপারিশও করা হয়।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি যদি রাজধানী অবরোধের মতো কর্মসূচি নেয়, তাহলে তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক যুব সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘আমরাও প্রস্তুত। বিএনপি ঢাকা অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের অবরুদ্ধ করা হবে। বিএনপিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে এবং পালানোর কোন পথ থাকবে না। তারা (হেফাজত কর্মীরা) কি রাতের অন্ধকারে শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে যায়নি? বিএনপিকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের ডিসেম্বরের মতো এবারও সারাদেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে। ‘হোটেলের সব কক্ষ বুক করা হয়েছে। তারা ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছেন। তারা আবারও সরকারকে উৎখাত করার স্বপ্ন দেখছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্গাপূজার পর ঢাকাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে একটি অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নতুন উদ্যম ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে অংশ নেবেন এবং যেকোনো মূল্যে তা সফল করবেন।
বিএনপি নেতা বলেন, 'ইনশাল্লাহ আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়ানক ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দুর্গাপূজার পর কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার যে কোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করতে আমরা বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে। আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব'।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সফল আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ' কিভাবে আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করা যায় এবং সম্ভাব্য কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে আমরা বিরোধী দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে সক্ষম হব।
সমমনা দলগুলোর পাশাপাশি তারা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গেও তাদের আন্দোলনে যোগ দিতে এবং তা সফল করতে আলোচনা করছে।
আরও পড়ুন: পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
১ বছর আগে
ট্রানজিট: চূড়ান্ত পর্যায়ে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় পণ্যের নিয়মিত চলাচল
ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রায়াল রান সমাপ্ত হওয়ার পর এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিচালনা ও নিয়মিত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় তা বাস্তবায়নে এটি এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।
আরও পড়ুন: বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
২ বছর আগে
ওমিক্রন প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণেই ক্রমাগত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ!
তিনি বলেন, ওমিক্রনের যে উপসর্গ আছে সে উপসর্গগুলো এতে (ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন) যোগ করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা সেটি খুঁজে দেখা হচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন, রোগ নিয়ন্ত্রণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এই অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’দেশে এখন করোনা শনাক্তের হার ৩২ শতাংশের উপরে। মঙ্গলবার দেশে করোনা শনাক্ত হয় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের। বুধবার সাড়ে ১৫ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
২ বছর আগে