গবাদিপশু
গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই জেলা ফেনী ও মৌলভীবাজারে গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ হিসেবে প্রায় ৬ টন পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ও গবাদিপশুর ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক রাকিব রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় রাকিব রনি বলেন, আমরা মোট ৬ টন পশুখাদ্য সংগ্রহ করছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের একটি দল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আড়াই টন পশুখাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গিয়েছে। এছাড়া গত ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল ৩ টন পশুখাদ্য নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়ায় গিয়েছে। এছাড়া বাকি আধা টন পশুখাদ্য দেশের অন্যান্য বন্যাকবলিত অঞ্চলে দেওয়া হবে।
গবাদিপশুর ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে শুধু মানুষ নয়, আমরা প্রাণীদের পাশেও দাঁড়াব। সেক্ষেত্রে আমরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছি।
আরও পড়ুন: দিনব্যাপী আয়োজনে বাকৃবির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত এলাকায় ৪টি সেবা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
১. অসুস্থ প্রাণীগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া।
২. যেসব প্রাণীর ডায়রিয়া, ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি, পুষ্টি সমস্যা তাদের রুচিবর্ধক এবং ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লাই দেওয়া।
৩. পশুখাদ্য সরবরাহ করা।
৪. পরে খামারিদের কোনো সমস্যা হলে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া।
ত্রাণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে জানা যায়, সংগৃহীত পশুখাদ্যের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা সিপি বাংলাদেশ।
ইনোভা, মিনার এগ্রো ও লোকাল কিছু পেট কোম্পানি পশুখাদ্য পাঠিয়েছে। স্কয়ার, একমি, এসিআই, এসকেএফ ও বায়োল্যাব ওষুধের যোগান দিয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবা সম্পর্কে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, খামারিদের ভেটেরিনারিয়ানদের নাম্বার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গবাদি পশুগুলো যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে খামারিরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।
ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক বলেন, দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত। সেখানে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। প্রচুর পোলট্রি ফার্ম, এ্যানিমেল ফার্ম ধ্বংস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তারা সমাজের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ফেনীতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনীর ৩টি বন্যা দুর্গত এলাকা ফুলগাজী, পশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলাযর প্রায় ৯০০ খামারিদের মাঝে পশুখাদ্য, ওষুধ ও কয়েকটি খামার পরিদর্শন ও বিভিন্ন টেকনিকেল পরামর্শ দেওয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
উক্ত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় মানুষের খাদ্যের অপর্যাপ্ত না হলেও, পশুখাদ্যের অপর্যাপ্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপস্থিত খামারিরা ও ফেনীর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
ফেনী জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক ইউএনবিকে বলেন, বাকৃবির শিক্ষার্থীরা ফেনী জেলার বন্যাদুর্গত ৩টি উপজেলায় প্রাণীদের পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা প্রদান করেছে। শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমে ওই এলাকার খামারিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
৩ মাস আগে
ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কোনো ধরনের গবাদিপশুর ঘাটতি নেই।’
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবার (গত কোরবানি) আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশুর আমদানি ছিল। এর মধ্যে অবিক্রিত ছিল ১৯ লাখ। এবার কোরবানির সময় ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি গবাদিপশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উৎসবের দিন সামনে আসছে, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও মতলববাজরা পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মধ্যস্বত্বভোগীদের যে বাড়াবাড়ি বিষয়ে অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গবাদিপশুর বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে। দাম যাতে মানুষ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই বিষয়ে প্রস্তুতিমূলকভাবে খামারি ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (খামারি) আশ্বস্ত করেছি গবাদিপশু আমদানি করার কোনো কারণ নেই। গরু আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। আমাদের দেশে উৎপাদিত গবাদিপশুই যথেষ্ট। কোনো অপ্রতুলতা নেই। আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সবই ঠিক আছে।’
বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয়, সে বিষয়েও আয়োজন ও প্রস্তুতি আছে বলে জানান মো. আব্দুর রহমান।
কোরবানির পশু গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কোরবানির আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে যাতে পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আরও পড়ুন: ৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
এ বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪১,৮১২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩ টি।
২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০ টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫ টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮ টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২ টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫ টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪ টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২ টি পশু, রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬ টি পশু, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯ টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫ টি ভেড়া, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩ টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪ টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০ টি ভেড়া, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩ টি ভেড়া এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫ টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
১ বছর আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গবাদিপশু বহনকারী যানবাহন থামানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইজিপি
কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কেউ কোরবানির পশু পরিবহন থামালে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, কেউ এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে কল করুন।
তিনি পশু বহনকারী পরিবহনের সামনে পশুর গন্তব্য স্থান/বাজারের নাম সম্বলিত ব্যানার টাঙানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলার গাজীপুর চৌরাস্তা, চন্দ্রা মোড় ও বাইপাইল এলাকায় যান চলাচল ও যানজট ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের নিরাপত্তা পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এবারের চ্যালেঞ্জ গত ঈদের চেয়ে ভিন্ন, কারণ গতবার শুধু যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। এবার যাত্রীদের পাশাপাশি কোরবানির পশু পরিবহনও রয়েছে। এছাড়া মৌসুমি ফলের পরিবহন তো আছেই।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
আইজিপি আরও বলেন, সবকিছু মাথায় রেখে আমরা আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো জনগণের ঈদযাত্রা সহজ করতে একযোগে কাজ করছে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারও মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আইজিপি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাধারণ যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ভ্রমণ করবেন না।
ট্রেনের ছাদে যাতায়াত না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনারোধে পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে রেঞ্জ) মো. শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান, ডিআইজি (হাইওয়ে রেঞ্জ) মো. মাহফুজুর রহমান, ডিআইজি হাইওয়ে রেঞ্জ মো. মোজাম্মেল হক,
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ সৈয়দ, নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে: আইজিপি
সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে: আইজিপি
১ বছর আগে
মাগুরায় গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মাগুরার শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোয়ালঘরের গবাদিপশু বাঁচাতে যেয়ে আগুনে পুড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিরাজ মোল্লা (১৪) বাগবাড়িয়া গ্রামের ফয়জার মোল্লার ছেলে এবং চর গোয়াল পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর তেজকুনিপাড়া বস্তিতে আগুন
প্রতিবেশিরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার সময় ফয়জার মোল্লার গোয়ালঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। গোয়ালঘরে গরু বাঁচানোর জন্য মিরাজ এগিয়ে আসলে আগুন তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এ সময় আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া গোয়ালঘরে থাকা একটি গরু, ছয়টি ছাগল পুড়ে মারা যায়। পরে আগুন বসতঘরে লেগে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান, সাইকেল এবং ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে যায়।
প্রতিবেশিরা আরও জানান, ফয়জার মোল্লা সংসার খরচ চালানোর জন্য ঢাকাতে রিকশা চালায়। বাড়িতে আসলে সে ভ্যান চালাতো। এখনও সে ঢাকাতে আছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপ-সহকারী পরিচালক আলী সাজ্জাদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
১ বছর আগে
গবাদিপশুর সাথে মানুষের বসবাস
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভবদহ বিলপাড়ের হাজারো মানুষ রাস্তার উপর ঠাঁই নিয়েছে। এসব মানুষদের রাস্তার উপর টংঘর বানিয়ে গবাদি পশুর সাথে বসবাস করতে হচ্ছে।
এদিকে, টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকটের সাথে গো খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক কাজ সারতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে করে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে ভুক্তভোগী। এককথায় জলাবদ্ধতায় কারণে ভবদহ বিলপাড়ের ৮০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
মনিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর, বাজেকুলটিয়া, হাটগাছাসহ একাধিক গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সব এলাকার অধিকাংশ বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে নিমজ্জিত ঘরবাড়ি হারা এসব ভুক্তভোগী মানুষ মনিরামপুর ও নওয়াপাড়া সড়কের হাটগাছা এলাকার সড়কের উপর টংঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সচ্ছ পরিবারগুলো যাতায়াতের জন্য বাড়ির উঠানে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে নিলোও অসচ্ছল পরিবারগুলো রাস্তার উপর টংঘর বানিয়ে গৃহপালিত পশুর সাথে দিন পার করছে। একপাশে থাকছে গরু-ছাগল আরেকপাশে চৌকি বানিয়ে রাতযাপন করছেন তারা। সেখানেই চলছে খাওয়া দাওয়া।
আরও পড়ুন: রানীনগরে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষ
৩ বছর আগে
বরিশালে চুরি যাওয়া ৭৪টি গরু মহিষ উদ্ধার
বরিশালের হিজলা উপজেলার মাঠিয়াল গ্রাম থেকে চোরাইকৃত ৭৪টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
গবাদিপশুর মানসম্পন্ন খাদ্য চাহিদা মেটাতে সরকারের বড় পরিকল্পনা
সারা দেশে গবাদিপশুর মানসম্পন্ন খাদ্য চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীল ঘাসের জাত চাষ এবং কৃষকদের মাঝে সাইলেজ প্রযুক্তি জনপ্রিয় করার জন্য এক বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
৪ বছর আগে
গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে জরুরি ব্যবস্থার নির্দেশ
গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
৪ বছর আগে
গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগে উদ্বিগ্ন ফরিদপুরের খামারিরা
ফরিদপুরের গবাদি পশু চাষিরা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন, কেননা গত আড়াই মাসে লাম্পি স্কিন রোগে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়েছে চার হাজারের অধিক পশু। এর মধ্যে মারা গেছে দশটি গরু।
৫ বছর আগে