বিদেশি পর্যবেক্ষক
জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
সফররত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' আখ্যায়িত করেছেন।
সোমবার(৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পর্যবেক্ষকরা।
তারা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখানে উপস্থিত সকল পর্যবেক্ষক একমত যে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেন, 'এটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অত্যন্ত নিরাপদ ছিল।’
মার্কিন পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলগুলোর দ্বারা ভোটারদের কোনও ভয় ভীতি দেখানো হয়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য শুভ লক্ষণ।
তিনি বলেন, 'আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। যেমন সরকারের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু আমরা যদি সামগ্রিক নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, তবে এসব ঘটনা খুবই নগণ্য।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক জিম বেটস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'আমি খুবই শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, 'আমি বলতে চাই, এটি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
জিম বেটস বলেন,‘তারা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে তা হলো কম ভোটদান: এটি একটি ভুল ধারণা। কিছু দেশে বিকাল ৫টা থেকে ৬টা বা এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।’আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম সময়ে ভোট গ্রহণ করা হয়।
বেটস বলেন, ‘সুতরাং যখন তারা বলে 'কম ভোটদান', তখন এটি সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার মতো কিছু।
জিম বেটস একজন আমেরিকান প্রাক্তন রাজনীতিবিদ যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে ডেমোক্র্যাটিক নির্বাচিত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে চার বার দায়িত্ব পালন করেছেন।
কানাডার সংসদ সদস্য চন্দ্রা আর্য এবং কানাডার সিনেটর ভিক্টর ওহ পৃথকভাবে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
কানাডার স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেন, 'আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের মৌলিক ও মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। আজ গণতন্ত্রের সত্যিকারের চেতনায় বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করে দিয়েছে আগামী ৫ বছরের জন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কারা তাদের রায় পাবে।’
চন্দ্র আর্য বলেন, তারা সবাই এখন জনগণের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন, যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী ও একজন ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা ভোটারদের কাছে এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন।
চন্দ্রা আর্য বলেন, 'আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ভোটার, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীদের যে কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানাতে চাই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একজন কানাডার পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য হওয়ায় এবং পরপর তিনবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ায় আমরা ব্যক্তিগতভাবে একটি নির্বাচন পরিচালনার জটিলতা সম্পর্কে অবগত।’
কানাডার পর্যবেক্ষকরা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে এবং একটি 'অবাধ, সুষ্ঠু ও সফল' নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চমৎকার কাজের প্রশংসা করেন।’
পৃথক এক ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান আন্দ্রে ওয়াই শুভত বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'এই নির্বাচন বৈধ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
স্কটিশ এমপি মার্টিন ডে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন মোটামুটিভাবে হলেও ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
ফিলিস্তিনের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা হিশাম কুহালি বলেছেন, বাংলাদেশিদের নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত এবং নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা শান্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন লক্ষ্য করেছি। ঢাকার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সহিংসতার কোনো চিহ্ন লক্ষ্য করিনি।’
কুহালী বলেন, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি খুব সহজ এবং সরল ছিল।’
ভোট দিতে সময় লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি খুবই ভালো।’
আন্তর্জাতিক এই পর্যবেক্ষক বলেন, জনগণ ভালোভাবে অবগত এবং প্রশিক্ষিত, যারা ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করছে।
ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখানে ভোটদান পদ্ধতি বিচার করতে এসেছি। আপনার প্রক্রিয়া নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত।’
আরব পার্লামেন্টের সদস্য আব্দিহাকিম মোয়ালিয়াম নির্বাচনকে 'সুন্দর' এবং অত্যন্ত কার্যকরভাবে পরিচালিত বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রশংসা করে বলেন, এটি শান্তি ও ঐক্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বর্তমানে ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ঢাকায় অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
৯ মাস আগে
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে।
এসময় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে মোমেন এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় রেঙ্গলিকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন সুইজারল্যান্ডকে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে’ রূপান্তরের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
অন্যান্য অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আয় বেশি বলে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও সুইস বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
বাংলাদেশকে ‘সুযোগ ও প্রাণবন্ত অর্থনীতির দেশ’ উল্লেখ করে তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সুইস রাষ্ট্রদূত ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুইজারল্যান্ড সফরের কথা স্মরণ করেন।
গত বছর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে আরও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বাংলাদেশে সুইস বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে সুইস রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে তার সরকারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তার জন্য সুইস সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও সুইস সহায়তার প্রত্যাশা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন করবেন এবং তার সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
বুধবার ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন এমপি তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সংসদ সদস্যরা হলেন- রুশনারা আলী, জনাথন রেনল্ডস মোহাম্মদ ইয়াসিন ও টম হান্ট।
আরও পড়ুন:গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিনিধিদলকে বলেছেন যে দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অতীতে সামরিক শাসকদের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে নেমেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান হাসিনা।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যার ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।’
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব জানান, এই উন্নয়নের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তারা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংসদ সদস্যরা।
ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে তারা বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
তারা বলেছিলেন যে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তারা আরও বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
তারা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানান ইহসানুল।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা নিয়ে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।
শেখ হাসিনা প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।
তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা ইইউ’র
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতি সরকারের ‘উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির’ প্রশংসা করে বলেছেন, ইইউ নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষণ মিশন এলে তাকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ এবং তাদের প্রতি খুব উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তার এ বিবৃতিকে আমরা স্বাগত জানাই।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বক্তব্য দেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তারা। প্রতি বছর ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য ৩০টি দেশ চিহ্নিত করা হয়। তবে ২০২৩ সালের জন্য এখনও দেশ চিহ্নিত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: ইইউ
প্রাসঙ্গিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা তারা দেখছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি খুব উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমরা অবশ্যই এটি মাথায় রেখে নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে একটি আইনি কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে আইনি কাঠামো দিতে ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বুধবার কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার মূল বিলে কিছু পরিবর্তন এনে কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে আইনটির মাধ্যমে সার্চ কমিটির সব কার্যক্রমকে আইনি কাঠামো দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ প্রতিনিধির কার্যকর ভূমিকা চায় বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে