ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
২০ বছর চালকের ছদ্মবেশে থাকা ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী ‘জানে আলম’ হত্যা মামলার ২০ বছর ধরে চালকের ছদ্মবেশে পালিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মহানগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলা বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন (৫০) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব জানায়, ২০০২ সালে ৩০ মার্চ সকালে আদালতে সাক্ষী দেয়ার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে স্থানীয় কিছু দুস্কৃতিকারী ব্যবসায়ী জানে আলমকে (৪৮) তার এক বছরের শিশুর সামনে নির্মম ও নৃশংসভাবে প্রথমে লাঠি সোটা, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মো. তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার জসিম উদ্দিন অন্যতম প্রধান আসামি।
২০০২ সালের ৩০ মার্চ ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যায় মামলার ঘটনায় আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই রায় ঘোষণা করেন। উক্ত রায়ে ১২ জনকে ফাঁসি এবং আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে উক্ত রায়ের আসামীগন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট জসিম উদ্দিনসহ মোট ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও দুজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের খালাস দেন।
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নরসিংদীতে আটক ২
র্যাব জানায়, ২০ বছর জসিম ট্রাক চালকে পেশায় নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিল।
পরে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি জসিম উদ্দিনকে মহানগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলা বিশ্বরোড থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ বছর আগে
২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
জেলার লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
এই বিষয় র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুই জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে গ্রেপ্তার ১, পিস্তল-বোমা জব্দ
র্যাব জানায়, পলাতক থাকাকালে সৈয়দ আহমেদ দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানান। তিনি তার পরিবার-পরিজন-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। ফলে তাকে কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার সৈয়দ আহমেদকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। সৈয়দ আহমেদ জানিয়েছেন, জানে আলম হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপন করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
এরপর একে একে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ায়ার সাগর কূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
একপর্যায়ে সৈয়দ আহমেদ চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে কাজ নেন। তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
২ বছর আগে