রপ্তানিমুখী
রপ্তানিমুখী চামড়াজাত পণ্য কারখানায় নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
সরকার রপ্তানিকারকদের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে নগদ প্রণোদনা দেবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়: অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন
পরিপত্রে উল্লিখিত নগদ অর্থ সহায়তা-সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে চামড়া খাতের সহায়তার অংশ হিসেবে শতভাগ রপ্তানিমুখী চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ৪৩টি পণ্যের জন্য নগদ সহায়তা কমানো হয়।
এর মধ্যে চামড়া খাত অন্যতম। গত ৩০ জানুয়ারি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
আরও পড়ুন: সিআইবির ডাটাবেজে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৫ মাস আগে
‘চারকোল নীতিমালা’ প্রণয়ন
পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিমুখী চারকোল শিল্প প্রতিষ্ঠায় ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাটখড়িসহ অন্য যে কোনো উপকরণ দ্বারা চারকোল উৎপাদন এবং এ সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে এই বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি বিধায় চারকোল নীতিমালা-২০২২ প্রণয়ন করা হয়।পাটখড়ি থেকে চারকোল উৎপাদন পাটের বহুমুখী ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পাটকাঠিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পোড়ানো, শীতলীকরণ ও সংকোচন করে চারকোল প্রস্তুত করা হয়। চারকোলে ৭৫ শতাংশ কার্বন থাকে। পানি বিশুদ্ধকরণ, আতশবাজি, জীবন রক্ষাকারী বিষ নিরোধক ট্যাবলেট, প্রসাধন সামগ্রী, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটারের কালি তৈরির কাঁচামাল হিসাবে চারকোল ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরাসহ দেশের বেশ কিছু জেলায় প্রায় ৪০টি কারখানায় চারকোল উৎপাদন হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বার্ষিক প্রায় সাত হাজার ৭১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন (প্রায়) চারকোল রপ্তানি করে দেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
চারকোল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি আয় ও রাজস্ব বৃদ্ধি ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই চারকোল শিল্প স্থাপন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে এতদিন কোন নীতিমালা ছিল না। পরিবেশবান্ধব পাটখড়ি থেকে অত্যন্ত কম মাত্রার কার্বন নিঃসরণ হওয়ায় চারকোল শিল্প পরিবেশবান্ধব।
এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য:
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের চারকোল উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বিষয়ে সহায়তা প্রদান, দক্ষ জনবল তৈরি, উৎপাদিত চারকোলের মান নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা প্রদান, দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সুযোগ সম্প্রসারণ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা প্রদান, চারকোল রপ্তানিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা প্রদান, চারকোল শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, চারকোল শিল্পে প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষ, উপযুক্ত ও প্রতিযোগিতা সক্ষম গতিশীল ব্যক্তিখাত সৃষ্টি, পরিবেশসম্মত উপায়ে চারকোল উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং চারকোল রপ্তানির ক্ষেত্রে দ্য কার্গো ইনসিডেন্ট নোটিফিকেশন সিস্টেম (সিআইএনএস), দ্য ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অব পোটেকশন এন্ড ইনডেমনিটি ক্লাবস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এর নির্দেশনাবলীসহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন/বিধি/নীতি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ।
আরও পড়ুন: নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রীবাস্তবায়ন কৌশল:
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়/পাট অধিদপ্তর চারকোল শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যখন যেভাবে প্রয়োজন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তরের সঙ্গে (যেমন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর ইত্যাদি) যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চারকোল শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয়/আন্তঃদপ্তর যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙ্খিত সমাধান অর্জনে প্রয়াস গ্রহণ করবে।
চারকোল শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টিসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চারকোলের যথাযথ (স্ট্যান্ডার্ড) মান নির্ধারণপূর্বক চারকোল শিল্প সংক্রান্ত মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে, প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে।
তদারকি ও পরিবীক্ষণ:
পাট অধিদপ্তর সরকারের পক্ষে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন, তদারকি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। এছাড়া সময়ে সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিমালা সংশোধনসহ নতুন নতুন নির্দেশনা ইত্যাদি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ভ্যাকসিন নীতিমালা
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে অবস্থিত রপ্তানিমুখী জাহিন নিটওয়ার্স লিমিটেড পোশাক কারখানার লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট রাত ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তেরের উপ-সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম শাখা) শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোনারগাঁও সড়কের পাশে জাহিন গার্মেন্টস কারখানার তিনটি দ্বিতল ভবনে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন লাগার খবর পাই। বেলা পৌনে ৫টায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ, বন্দরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো এসে আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকে। কারখানা ভবনের তিনটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাগুলোতে আগুন জ্বলছিল। তবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত ৯টার পর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে আগুন
২ বছর আগে