সম্মাননা পদক
সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা
ঢাকা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মর্জিনা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঢাকার ধামরাই উপজেলার মুক্তা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের টঙ্গীর মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মোছা. আলেয়া বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকার পল্লবী এলাকার রোকছানা পারভীন দীপু।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, তার পেছনে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। যার ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বীতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আমরা যদি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না পারি তাহলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বে। বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
আরও পড়ুন: জয়িতা ফাউন্ডেশন চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এর পর্দা নামল
এছাড়া অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।
২ বছর আগে