হল কমিটি
বহিষ্কৃত ৬ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
সিনিয়র ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তাদের পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ছয় ছাত্র মাসফি-উর রহমানকে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উপসম্পাদক, শফিউল্লাহ সুমনকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপসম্পাদক, নাইমুর রশিদকে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক, সাব্বির আল হাসান কাইয়ুমকে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম অপিকে প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক এবং আবদুল্লাহ আল মারুফকে ছাত্র বৃত্তি উপসম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা সবাই বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী।
যোগাযোগ করা হলে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব বলেন, হল কর্তৃপক্ষ তাদের হল থেকে বের করে দেয়নি। শুধু তাদের আসন বাতিল করা হয়েছে। এখনও তারা হলের মধ্যে সংযুক্ত। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তাদের হলের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আমি যতদূর জানি, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তরা প্রভোস্ট অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি আশা করি পরবর্তী আসন বণ্টন ব্যবস্থায় হলে তাদের আসন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সেরা কমিটি করার চেষ্টা করেছি এবং আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
যোগাযোগ করা হলে প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ইউএনবিকে বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কথা বলার পর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার প্রক্রিয়া রয়েছে এবং শাস্তি কমানোর জন্য অভিযুক্তদের আবেদন জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আখলাকুজ্জামানকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ছয় নেতাকর্মীর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য এমন কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত তারা হলের অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করে বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন: ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, আহত ৮
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দল: সহ-সভাপতি আহত
২ বছর আগে
ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৩টি ছাত্র হলের নেতৃত্বে যারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি মো. সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শান্ত; বিজয় একাত্তর হলের সভাপতি সাজিদুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস; মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান; হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহীদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন; সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন; স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন; জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস ও সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন; সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার; ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম; ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি আনোয়ার হাসান নাঈম ও সাধারণ সম্পদক আবু হাসিব মুক্ত; অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হাসান সোহাগ।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
পাঁচ ছাত্রী হলের নেতৃত্বে যারা
বেগম রোকেয়ায়া হলের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা; শামসুন্নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি হিসেবে পূজা কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রিমা আক্তার ডলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নতুন হল নেতাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
২ বছর আগে