সন্দ্বীপ
সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে গেছে রোহিঙ্গাদের খাদ্য বোঝাই ট্রলার
চট্টগ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের শুকনো খাদ্যপণ্য নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাবার পথে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে গেছে একটি ট্রলার।
তবে ট্রলারে থাকা মাঝি মাল্লাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২ শতাধিক ঘর
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ট্রলারটি চট্টগ্রামের ফিশারীঘাট এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর এটি সন্দ্বীপ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে ডুবে যায়।
ট্রলারটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকার খাদ্যপণ্য ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রলারটি ৪০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম ফিশারীঘাট এলাকা থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। এটি কর্ণফুলী নদী থেকে বের হয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে প্রবেশ করলে বৈরী আবহাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক ট্রলারডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য শুকনো খাদ্যপণ্য নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রলারটি সন্দ্বীপ চ্যানেলে হঠাৎ ডুবে যায়। এতে মাঝিমাল্লাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে বিজিবি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
৬ মাস আগে
সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ ও ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চুক্তি সই
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করেন বিআইডব্লিউটিএ'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এ এস এম আশরাফুজ্জামান এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নতুন জেটি ও টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন এ জেটি নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। পর্যটন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চারিত হবে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় সন্দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সন্দ্বীপে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জেটি আছে। সন্দ্বীপের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাতে চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে 'বয়া' বসানো হয়েছিল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজটি করবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
উল্লেখ্য, সরকার দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ, নৌ-পর্যটন সুবিধাসহ আধুনিক ল্যান্ডিং সুবিধা দেওয়া, ক্রমবর্ধমান বাল্ক কার্গো এবং পণ্য ও মালামাল লোডিং-আনলোডিংয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এসব কাজ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ওই প্রকল্পের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণ করা হবে। সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটিসহ ও টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণে ৩৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
২০২৫ সালের জুনের মধ্যে আরসিসি জেটি ও টার্মিনাল ভবন এর পাশাপাশি বাউন্ডারি ওয়াল, পার্কিং ইয়ার্ড, তীররক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হবে। ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ এর জেটি নির্মিত হবে।
সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণের জন্য ২৫ দশমিক ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রয়েছে। দোতলা বিশিষ্ট একটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোর হবে ২৭৭৭২ বর্গমিটারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর ২০২২ চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্দরে সার্ভিস জেটির উদ্বোধন
জেটিঘাট মেরামত: সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে শিশুসহ নিহত ২
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে দমকা হাওয়াতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের হানিফ মাস্টার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল ওহাব এবং মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ৩ বছর বয়সী মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে ঝড়ো হওয়ার সময় আব্দুল ওহাব বাড়ির পাশে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথে গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খিসা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা সন্দ্বীপে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।’
এদিকে একই সময়ে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড়ের কাটাবিল এলাকায় হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সিদরাতুল মুনতাহা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
মুনতাহার চাচা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, সবার অগোচরে শুক্রবার বিকালে বাড়ির সামনে গেলে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আমার ভাতিজি গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের কাটাবিল এলাকায় হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে আনোয়ার হোসেনের মেয়ে গাছের ডাল পড়ে মারা গেছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
১ বছর আগে
সন্দ্বীপে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এর শেখ মাহারুপ গোমস্তার পূর্ব বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হল ওই বাড়ির মোহাম্মদ মিলাদের ছেলে নাইম (৭) ও তার বোনের মেয়ে মাহিরা (৮)।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে এক নম্বর ওয়ার্ডে দুটি বাচ্চা পুকুরে পড়ে মারা গেছে শুনেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকরাম জানান, সকালের দিকে শেখ মাহারুপ গোমস্তার পূর্ব বাড়ির দুই শিশু খেলতে গিয়ে বাড়ির পুকুরে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে এক শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: যশোরে ভৈরব নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
গাজীপুরে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে ২ ছাত্রের মৃত্যু
১ বছর আগে
সন্দ্বীপে স্পিডবোটডুবি: আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া এ ঘটনায় আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার সকালের দিকে সন্দ্বীপের উড়িরচর ইউনিয়নের সাগর উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে উড়িরচর এলাকায় লাশ ভাসার খবর পেয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, লাশটি নিখোঁজ হওয়া জমজ বোন আদিবা বা আলিফার হবে। পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে শনাক্ত করবে।
এর আগে এ ঘটনায় বুধবার তাদের বড় বোন আনিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত ২০ এপ্রিল সকালে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপ অভিমুখী একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যায়। এ সময় স্পিডবোটে ২০ জন যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় বুধবারই এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় এবং আরও তিন শিশু নিখোঁজ হয়।
আরও পড়ুন: সন্দ্বীপ উপকূলে জেগে উঠা চর নিয়ে নতুন স্বপ্ন ও বিশাল সম্ভাবনা
২ বছর আগে
কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি স্পিডবোট কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আনিকা নামের ১২ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায় বলে জানিয়েছেন গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপের গুপ্তছাড়া ঘাটের কাছাকাছি গেলে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট কাত হয়ে ডুবে যায়। আর স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল। ১৮ জনকে উদ্ধার করা হলে তাদের মধ্যে আনিকা নামের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, সন্দ্বীপে গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে একটি স্পিডবোট মিসিং আছে শুনে অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছে বা কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তা এখনও জানি না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৭
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে পাসপোর্ট বানাতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
আসল পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট বানাতে এসে আটক হয়েছেন মোহাম্মদ আরমান (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক।বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার মনছুরাবাদ পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে পুলিশ আটক করেছে।পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে আটক আরমান পাসপোর্ট বানাতে এসেছিল বলে জানান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ভাসানচর পৌঁছেছে আরও ১২৮৭ রোহিঙ্গাডবলমুরিং থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জামিল বলেন, থানায় ফোন করার পর আমরা ঘটনাস্থল পাসপোর্ট অফিসে এসেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাকে আটক করে থানায় নেয়া হচ্ছে।
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গা যুবক আরমান সন্দ্বীপের ৭ নম্বর ওয়ার্ড হরিশপুর গ্রামের ফয়সাল আমীনের ছেলে পরিচয়ে দিয়ে পাসপোর্ট তার জন্মনিবন্ধন, বাবা-মার জন্মনিবন্ধনসহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র দেয়। অফিসের দুই নম্বর কাউন্টারে ইন্টারভিউ দিতে গেলে তার কথাবার্তায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরে তার আঙ্গুলের ছাপ যাছাই করতে গেলে দেখা যায়- সে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের রেজিস্ট্রেশন করা সৈয়দ আলমের ছেলে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ৮/৯ বছর বয়সে সে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। ২০১৭ সালে তার মা ও ভাইবোনরা আসে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই ত্বরান্বিত করতে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার
২ বছর আগে