দক্ষিণ সিটি
দক্ষিণ সিটির চতুর্থ ঢাকা মেয়র কাপের পর্দা উঠছে শনিবার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়মিতভাবে আয়োজিত 'ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা'র চতুর্থ আয়োজন শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
শনিবার বিকাল ৪টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনে ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে ৬৪টি করে দল অংশ নেবে। পুরো প্রতিযোগিতা হবে নক-আউট পদ্ধতিতে।
১০ ফেব্রুয়ারি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ১৯ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচ, ১২ ফেব্রুয়ারি গোলাপবাগ মাঠে ২৫ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ক্রিকেটের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে ৩১ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলার উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ফুটবল ও ক্রিকেটে বিজয়ী প্রতিটি দলই অর্থ পুরস্কার হিসেবে পাবে ৭ লাখ টাকা করে এবং রানার-আপ দল ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কার হিসেবে পাবে। আর ব্যাডমিন্টনে বিজয়ী দল ৩ লাখ এবং রানার-আপ দল পাবে ২ লাখ টাকা।
আগামী ৯ মার্চে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামবে চতুর্থ ঢাকা মেয়র কাপের।
এবারের আয়োজনে গোলাপবাগ মাঠ, বুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল খেলার মাঠে ক্রিকেটের সব ম্যাচ এবং শেখ জামাল স্পোর্টস একাডেমি, আউটার স্টেডিয়াম, মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি খেলার মাঠ ও ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠে ফুটবলের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে ব্যাডমিন্টনের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: রংপুর রাইডার্স ছাড়ছেন বাবর, ওমরজাই ও নবী
এছাড়াও বকশি বাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ফজলে রাব্বি হল খেলার মাঠ, বাংলাদেশ মাঠ, দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ, বাসাবো খেলার মাঠ, ওরিয়েন্ট ক্লাব খেলার মাঠ এবং সামসাবাদ খেলার মাঠে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ফুটবল ও ক্রিকেটের অনুশীলন করবে।
উল্লেখ, ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ ফুটবল খেলার ওয়ার্ডভিত্তিক দলগুলোতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সুজন ও বাল্লি, ফকিরাপুল ইয়াং ম্যান্স ক্লাবের শাওন, বসুন্ধরা ক্লাবের জুয়েল এবং বিকেএসপির সালমান, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে আক্কাস ও রমজান, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে রাজন হাওলাদার, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সুজন অংশ নেবেন।
অন্যদিকে ক্রিকেটে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়দের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে হান্নান সরকার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে আশরাফুল ইসলাম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে ইলিয়াস সানি, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে জাভেদ ওমর বেলিম ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে মেহরাব হোসেন অপি এবারের মেয়র কাপে অংশ নেবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিমসহ দক্ষিণ সিটি এলাকার সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও উদ্বোধনীতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: সাকিবের পারফরম্যান্সে পঞ্চম জয় পেল রংপুর
৯ মাস আগে
দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২০ অগাস্ট) করপোরেশনের সেন্ট্রাল রোড, নব রায় বসাক লেন, তাঁতীবাজার, ওয়ারী, র্যাংকিং স্ট্রিট, পিয়ার আলী গলি, কদম আলি রোড, মান্ডা, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ছনটেক, শেখদী, দক্ষিণ কাজলা, রায়েরবাগ ও কদমতলী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল রোড এলাকায় ৪৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নব বসাক লেন ও তাঁতিবাজার এলাকায় ৫১টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারী ও র্যাংকিং স্ট্রিট এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৪০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের পিয়ার আলী গলি, কদম আলি রোড ও মান্ডা এলাকায় ৭২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইনবোর্ড ও ডেমরা এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ শেখ শামসুল আরেফিন ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের ছনটেক, শেখদী ও দক্ষিণ কাজলা এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের রায়েরবাগ ও কদমতলী এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ১১ দিনে ১ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
১ বছর আগে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ সিটিতে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বুধবার
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বুধবার (৩০ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে করপোরেশনের সকল ওয়ার্ডেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডে এই গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: নটরডেম শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ডিএসসিসির ৯ চালক সাময়িক বরখাস্ত
করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস আগামীকাল সকালে সবুজবাগ এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের প্রত্যেকের কাছে ১ হাজার করে লিফলেট সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলেও আরও ১ হাজার করে লিফলেট বিতরণের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে আজ দক্ষিণ সিটির ৬টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অঞ্চল-৫ এর ৭, ৪৯, ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং অঞ্চল-৯ এর ৬২ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: নটর ডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু: ময়লার গাড়ির মূল চালক গ্রেপ্তার
অভিযানে ১৩ জন করে মশককর্মী সকালে লার্ভিসাইডিং এবং ১৩ জন করে মশককর্মী বিকালে এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেন।
চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের লক্ষ্যে ৬টি ওয়ার্ডের মোট ৪০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়।
অভিযানে মোট ২২টি বাড়ি ও স্থাপনার ভেতরে ও সীমানার অভ্যন্তরে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
বিশেষ চিরুনি অভিযানকালে এসব বাড়ি ও স্থাপনা এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করা হয়।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব ওয়ার্ডে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এখানে উল্লেখ যে, এ বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত ২৯ মে পর্যন্ত সারাদেশের মোট ১ হাজার ৮৪৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় রোগীর সংখ্যা ৩২০ জন। শতকরা হিসেবে যা ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের ট্রাকের ধাক্কায় নটরডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু
অভিযানকালে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দ এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
৪০ বছর পর ১৫ একর জমি উদ্ধার করলো ডিএসসিসি
বিগত ৪০ বছর ধরে বেদখলে থাকা ১৫ একর জমি উদ্ধার করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি ও সিটি পল্লীর এসব জমি বিগত ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভোগদখল করে আসছিল।
সেসব জমি উদ্ধারে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি ও সিটি পল্লীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এ সময় উচ্ছেদ অভিযান সার্বিক তদারকি করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
অভিযানে সিটি পল্লীর সম্মুখ ভাগ, তেলেগু কলোনির সম্মুখভাগ, ক্লিনার কলোনির প্রায় ৫০টি বাড়িসহ সব মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক অবৈধ স্থাপনা ও বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযানের এক পর্যায়ে কলোনিতে বসবাসরত বাসিন্দারাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মেয়রের নির্দেশনার আলোকে বেদখলে থাকা করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
এ ১৫ একর জমির মধ্যে কিছু অংশে তেলেগু সম্প্রদায়ের যেসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
বাকি অংশে করপোরেশনের জন্য অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে।
বর্তমানে উচ্ছেদকৃত অংশের বর্জ্য অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও মো. মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন।
অভিযানে অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার, করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
১ বছর আগে
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সেশনে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানাতে ডিএসসিসি এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও০ ২২২৩৩৮৬০১৪।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত নাগরিকদের যে কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ইজারাকৃত কোরবানীর পশুর হাটসমূহের উৎপাদিত বর্জ্য অপসারণ কাজে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয়, প্রতিটি হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা, হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের সঙ্গে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের যাচাই করা, কোরবানি পরবর্তী ওয়ার্ডভিত্তিক সরেজমিনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা এবং বর্জ্য অপসারণ, পরিবহন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কাজে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো ঈদের দিন দুপুর ২টা হতে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
২ বছর আগে
দুর্নীতির দায়ে দক্ষিণ সিটির উপ-কর কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উপ-কর কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) ও করপোরেশনের সাবেক মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে মো. সেলিম খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
মো. সেলিম খান দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৫ এ উপ-কর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিল। তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে পরবর্তীতে তাকে সচিব দপ্তরে ব্যক্তিগত সহকারী সংযুক্ত করা হয়।
এছাড়াও করপোরেশনের সচিব স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা আরও দুটি দপ্তর আদেশে রাজস্ব বিভাগের ১৭ জন দক্ষ শ্রমিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ জন অদক্ষ শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা হয়।
'ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে এ আদেশ জারি' করা হয়েছে বলে দপ্তর আদেশে উল্লেখ করা হয়।
পড়ুন: ঢাকাকে স্মার্ট সিটি করতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ডিএসসিসি: তাজুল
২ বছর আগে
দক্ষিণ সিটি ও বুখারেস্টের মধ্যে দেশের প্রথম ‘সিস্টার সিটিজ’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের (থার্ড ডিস্ট্রিক্ট) মধ্যে দেশের প্রথম ‘সিস্টার সিটিজ’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দুই দেশের দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বুখারেস্টের (থার্ড ডিস্ট্রিক্ট) মেয়র রবার্ট সোরিন নেগোইতা নিজ নিজ করপোরেশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, যানজট নিরসন ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারিগরি তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়, শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ এবং বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি রচিত হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
২ বছর আগে
একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন পেলো ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন করণ’ শীর্ষক প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এনইসি সম্মেলন কক্ষের বৈঠকে অংশ নেন।
অনুমোদিত এই প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং যান-যন্ত্রপাতিসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্রতত্র বর্জ্যবাহী গাড়ির পার্কিং রোধ করতে একটি আধুনিক পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করে যানজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক ম্যাকানাইজড পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে। ফলে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলোর সড়কের যত্রতত্র পার্কিং রোধ করা এবং মেরামতসহ পার্কিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই গ্যারেজে ৫০০ গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও পার্কিং করার সুযোগ থাকবে। এতে যানজট কমার পাশাপাশি বর্জ্যবাহী গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকল্পের গ্যারেজ নির্মাণ অনুষঙ্গে গ্যারেজের সীমানা প্রাচীর, কার ওয়াশ রুম, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার পার্কিং ফ্লোর ডেভেলপমেন্ট ও পার্কিং শেড নির্মাণ, মটর গ্যারেজের ইলেকট্রিফিকেশন, শেড লাইটিং, টয়লেট ফ্যাসিলিটিস, আন্ডারগ্রাউন্ড রিজারভার, নামাজের ঘর ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, অফিস বিল্ডিং, সাব-স্টেশন, ইন-আউট গেইট, গভীর নলকূপ ও ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, অফিস ব্লক সংলগ্ন এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন ইত্যাদি উপাদান থাকবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত যান যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ, সড়ক মেরামত ও উচ্ছেদ কার্যক্রমে ব্যবহৃত আধুনিক ভারী যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।
এই অনুষঙ্গে ২০টি হাইড্রোলিক ল্যাডার, পাঁচটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (সর্ট বুম), একটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (লং বুম), পাঁচটি চেইন ডোজার, পাঁচটি বেকহো লোডার, ১০টি চাকার রোড রোলার (১০ টন), পাঁচটি তিন চাকার রোড রোলার (৮ টন),তিনটি জীপ, পাঁচটি ডাবল কেবিন পিকআপ, চারটি পুলিশবাহী প্রটেকশন ট্রাক, পাঁচটি ম্যাজিষ্ট্রেটবাহী মাইক্রোবাস, পাঁচটি পে লোডার, তিনটি টায়ার ডোজার, একটি লো-বেড ট্রেইলর, দুটি হুইল মাউন্টেড স্কেভেটর, ১০টি তিন হাজার লিটার সক্ষমতার পানির গাড়ি ক্রয় করা হবে।
এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান যথা- ঈদ-উল আযহা, ঈদ-উল ফিতর, ১লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৫ই অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বৈদেশিক বিভিন্ন ভিআইপি ও সাধারণ ব্যক্তিদের মোবাইল টয়লেট সেবা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের আওতায় ১০টি মোবাইল টয়লেট ক্রয় করা হবে।
মোট ৩৩৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২১ সাল থেকে জুন ২০২৪ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা সরকারি অর্থায়নে এবং ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
২ বছর আগে
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভঙ্গুর সংস্থা নয়: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন আর কোনও ভঙ্গুর সংস্থা নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে সার্বিক রাজস্ব আদায়ের পর্যালোচনা সভা 'ষান্মাসিক রাজস্ব সম্মেলন' এ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই মন্তব্য করেন।ডিএনসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস, ‘আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতায় গত অর্থবছরে আমরা ৭০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি। করপোরেশনের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়। যে গতিতে এগিয়ে চলেছি, এ বছর আমরা ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবো বলে আশাবাদী। একটি বিষয়ে আমরা ঢাকাবাসীর নজর কাড়তে পেরেছি, ভরসা দিতে পেরেছি যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আর কোনও ভঙ্গুর সস্থা নয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার মত একটি অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান, তা আমরা ঢাকাবাসীকে দেখাতে সক্ষম হয়েছি।’
আরও পড়ুন: অসংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যু হ্রাস করে এসডিজি অর্জনে কাজ করছে ডিএনসিসি: মেয়র তাপসমাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি পরিদর্শন করতে হবে। দপ্তরে বাসায় লোকজন টাকা দিয়ে যাবে, এ ধরনের ধ্যান ধারণা একদম মুছে ফেলতে হবে। সপ্তাহে সুনির্দিষ্টভাবে কয়দিন মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবো, কয়দিন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবো - তা সমন্বয় করে সূচি করতে হবে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে তাদের কাজের যেন ঢেউ পাওয়া যায়।’এ সময় কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগে আমরা নতুন জনবল নিয়োগ করেছি। এরই মাঝে আমরা জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। আগামী মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করবো। তারপর বাছাই কমিটির সভা আয়োজনের মাধ্যমে যারা এখনো পদোন্নতি পাননি তাদের পদোন্নতি যেন সুষ্ঠুভাবে নিয়মিত সম্পন্ন করতে পারি।’কর আদায়ে আরও বেশি দক্ষতা প্রমাণের নির্দেশনা দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘কর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা - সকলেই অত্যন্ত দক্ষ। সুতরাং যে সকল ক্ষেত্রে সমস্যা দেখবেন তা তাদের সঙ্গে আলাপ করে, সমন্বয় করে সমস্যা সমাধান করবেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপসসম্মেলনে কর কর্মকর্তা, লাইসেন্স সুপারভাইজর, রেভিনিউ সুপারভাইজর, বাজার সুপারভাইজর, উপ-কর কর্মকর্তা, রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টসহ রাজস্ব বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, প্রধান কর কর্মকর্তা আরিফুল হক, উপ-প্রধান কর কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে