সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান
বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ল
বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এনিয়ে নবমবারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।
রবিবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দু’টি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরও সাত দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
পরে রুমা ও থানচিসহ চারটি উপজেলায় =২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর, ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর, ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর, ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর, ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর, ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ২১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা।
পর্যটকবাহী গাড়িগুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রম নির্ভর শহরের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন জনস্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী।
অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আবারও বাড়ল
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
২ বছর আগে
সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশের আতমেহ শহরে বৃহস্পতিবার বড় ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে মার্কিন বিশেষ বাহিনী। এ অভিযানে ছয় শিশু ও চার নারীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুর্কি সীমান্তের কাছে আতমেহ শহরে চালানো অভিযানটি দুই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়। এ এলাকায় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষজন থাকেন। তবে এ অভিযানের লক্ষ্য অস্পষ্ট।
পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, তাদের মিশন সফল হয়েছে। এ সময় কোনো মার্কিন বাহিনীর সদস্যের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে মার্কিন হামলায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হওয়ার পর এটিই প্রদেশটিতে চালানো সবচেয়ে বড় অভিযান।
ইদলিব প্রদেশটি ব্যাপকভাবে তুরস্ক-সমর্থিত যোদ্ধাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে এটি আল-কায়েদার ঘাঁটি এবং এর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার আবাসস্থল। এছাড়া অন্য জঙ্গিরাও এই অঞ্চলে রয়েছে।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স বা হোয়াইট হেলমেট নামে একটি সংস্থা জানায়, মার্কিন এ অভিযানে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় শিশু ও চারজন নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও বলেছে, মার্কিন এ হামলায় চার শিশু ও দুই নারীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
২ বছর আগে