ধান রোপন
ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
আমনের ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা ধান রোপন করতে পারছেন না। এছাড়া ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকেরা পড়েছেন নতুন সমস্যায়। এ অবস্থায় জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জেলা কৃষি অফিস।
দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর একটি জেলা ঠাকুরগাঁও। বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমন চাষ করে অধিকাংশ মানুষ। যেখানে সেচ সুবিধা রয়েছে সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাট, বরুনাগাঁও, শীবগঞ্জ, নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি ও জেলার পীরগঞ্জ, হরিপুর, রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষক আমন চারা রোপন করছেন। সেচ এলাকায় কৃষক আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথায় চারা রোপন করছেন। তবে বৃষ্টির পানির অভাবে উঁচু জমিতে লাগানো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। এখনো বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় রয়েছেন এ জেলার কৃষক।
অপরদিকে ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকেরা পড়েছেন সমস্যায়। আমনের ক্ষেতে পানি নিতে শ্যালো মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুতচালিত পাম্প ব্যবহার করে সেচ কাজ করার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ না থাকায় তাও ব্যাহত হচ্ছে। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপগুলিও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে ঠিকমত চলতে পারছে না। ফলে নানামুখী সমস্যায় রয়েছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ভেলজান গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি এ বছর আড়াই একর জমিতে আমন ধান লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও তাপদাহে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সদর উপজেলার পারপুগী এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগাবেন। জমি প্রস্তুতও করেছেন, কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে শ্রমিক নিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমন লাগানোর সময় পার হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এর মধ্যে এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, অন্যান্য ফসলের মতো ধানের জন্যও বিখ্যাত এ জেলা। প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয় এ জেলায়। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও কৃষকদের যাবতীয় কৃষি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানির অভাবে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে উচু জমিগুলোতে পানি থাকছে না।
তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি না হওয়া পর্যন্ত সম্পূরক সেচ ব্যবস্থা চালু রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেচ পাম্পগুলোও সচল রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদন হবে। কৃষকেরা এ বছরও ধানের ন্যায্য দাম পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পড়ুন: ফরিদপুর জেলা কারাগার: ৯১৪ বন্দির জন্য একজন ফার্মাসিস্ট, নেই চিকিৎসক
চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
২ বছর আগে
বাগেরহাটে ধান রোপনের সময় বজ্রপাতে নিহত ১
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ধান রোপনের সময় বজ্রপাতে এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ২টার দিকে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার ভান্ডাখোলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ছালিম উল্লাহ (১৮) মোল্লাহাট উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের ফরিদ শেখের ছেলে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, ধান রোপন করার সময় বজ্রপাতে ছালিম উল্লাহ ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। স্বজনরা মাঠ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত
কোম্পানীগঞ্জে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে