দেশবিরোধী
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়
ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার (01320001223) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনগুলো ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস/কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানা, অন্যান্য শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার কেবল দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত ও যথাযথ হয় ব্যবস্থা নিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে। তাছাড়া সভায় মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২৩ দিন আগে
সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির ভিত্তি ৩টি। সন্ত্রাস-খুন, জালিয়াতি, বিদেশে অপপ্রচার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগে ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্ক মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত খুনি চক্র। তারা হত্যার রাজনীতিটাই করে। আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব সবাই বিএনপি ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলানোর আগে অন্য দল করত। জিয়াউর রহমান মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়েই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সুতরাং সেই হত্যা-খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি যেভাবে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে- এটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাসপাতালের ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে যা দেশের ইতিহাসে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জালিয়াতি করতে গিয়ে বিএনপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুয়া উপদেষ্টাও বানিয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে দেখা গেল সে ইংরেজি ছাড়া কিছুই বলতে পারে না পরে দেখা গেল যে গড়গড়িয়ে বাংলা কয়।
আপনাদের মনে আছে যে, কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বিএনপি এবং ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে একটা ভুয়া অডিও ছেড়েছিল তারা।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ভরাডুবি নিশ্চিত বুঝেই অংশ নেয়নি এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। এই নির্বাচনকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য, সরকারকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি শহীদ শাহ আলম, হাফিজ উদ্দীন, দেলওয়ার হোসেন, আনসারউল্লা গাজী, আনোয়ার হোসেন আনু, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইউনুসের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই। নির্বাচনের পরের দিন এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরপরেও দমিত হয়নি বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
টিআইবি'র অভ্যন্তরে দুর্নীতি আছে কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার
দুর্নীতি সূচকে দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে। সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে না-কি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।
বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা অন্যদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয় সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরণের সংগঠন থাকুক আমরা চাই।
আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন এক চোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায় তখন বোঝা যায়, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৪২ দিন আগে
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি দেশবাসীকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ এতদিনে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
স্বাধীনতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও দেশের অভিন্ন শত্রু বলেও জানান কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
৬১১ দিন আগে
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে শপথ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারাকে থামানো চলবে না। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, যারা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; তারা আগের মতোই ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করি না কারণ আমার জীবন নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং বারবার তার জীবন নেওয়ার চেষ্টাকে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তখনই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটে।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের সকল উন্নয়নের গতি ২৯ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৪) সম্পূর্ণভাবে থেমে গিয়েছিল।
তিনি সাধারণ জনগণ যাতে সর্বদা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পায়। কেননা এই বিষয়গুলো একটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকায় শেখ হাসিনা মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে এবং দেশের সম্পদের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের তাদের সকল কাজে সততা বজায় রাখতে এবং দেশ ও জনগণকে ভালোবাসতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের বেতন-ভাতা আসে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের পকেট থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত বেতন-ভাতা আসে জনগণের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ থেকে। সুতরাং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
তিনি তাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১২৭তম, ১২৮তম এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কার দেন।
এর আগে তিনি ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং গবেষণা কাজের প্রকাশনার স্যুভেনিরের ফলক উন্মোচন করেন।
৭০৩ দিন আগে
দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতারা ক্ষণে ক্ষণে যে দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়; বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে, সেটি দেশবিরোধী কাজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। অতীতেও আমরাই সমাধান করেছি। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে বলতে পারে। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে যে তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সেটাও তারা বলুক। কিন্তু বিদেশিদের কাছে গিয়ে আমাদের বিষয়াদি নিয়ে ধর্ণা দেওয়া দেশবিরোধী কাজ।’
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশিদের মধ্যস্থতা নিয়ে বিএনপির প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ আমাদের। এই দেশের মালিক দেশের জনগণ। এ দেশের সরকার নির্বাচিত করার, সরকারকে বিদায় দেওয়ার দায়িত্ব কিংবা ক্ষমতা বা এখতিয়ার শুধু এ দেশের জনগণের।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি এটা বলে থাকে, তাহলে এটা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দুই পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় একজন সফল রাষ্ট্রপতির বিদায় এবং নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সফলভাবে তার দুটি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতি ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মর্যাদার সঙ্গে অবসরে গেলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
৭২৪ দিন আগে
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় যেতে না পেরে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা প্রতিনিয়তই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিএনপি তখন রীতিমতো টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশরিবোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত ৪০৩টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত পুনর্বাসন সহায়তার নগদ ৪৩ লাখ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মূলত এদেশকে মনেপ্রাণে এখনও ধারণ করতে পারে নাই, তাদের ধ্যান-জ্ঞান হলো পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে জনকল্যাণের জন্য। আওয়ামী লীগই পৃথিবীর ইতিহাসে একটি মাত্র দল, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দল বাংলাদেশ নামের জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ অগ্রগতিকে ব্যহত করতে পারবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই এই দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এসেছে, এলাকা আলোকিত হয়েছে। এ এলাকায় এখন আর নদীভাঙন নেই। এ অঞ্চলের মানুষ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলী গের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
১১৬৮ দিন আগে