ওবায়দুল হাসান
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সৎ হতে হবে।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। সঠিক আইনি পরামর্শের মাধ্যমে মামলার জট কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
বুধবার (২২ মে) বেলা ১১টায় লালমনিরহাট আদালতে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বিশ্রামাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা করে। এসব বিষয় সামাজিকভাবে মিমাংসা করাই ভালো, তবে তা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এসব বিষয়ে পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সচেতন করতে পারেন। ছোট ঘটনাগুলো মিমাংসার মধ্যে দিয়ে মামলার জট ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
৭ মাস আগে
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন। বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়ার যেমন সাংবিধানিক অধিকার, তেমনি দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা বিচারপতিদের নৈতিক দায়িত্ব।
এই আদালতে বিচার প্রার্থীদের বসার জন্য তেমন স্থান নেই। তাই প্রতিটি আদালতে এই রকম ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্রামাগারে বিচার প্রার্থীরা ছাড়াও অন্যরাও বসতে পারবেন।
ওই সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
৭ মাস আগে
বিচারালয়কে যেন কোনভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়: সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে এবং তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের সুপ্রিম কোর্টের এই বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
রবিবার (৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগে নতুন প্রধান বিচারপতির বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এদিকে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নামের সরকার বিরোধী একটি আইনজীবী জোট সংবর্ধনায় অংশ না নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনে ছিলেন ফ্রন্টের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সহ-সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে কবলেন, একটি কথা একটু অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোন বিষয়ে ভালভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করেনা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধে নন।
সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্যে যথেচ্ছা সমালোচনার পরিবর্তে জেনে শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদ মাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন এবং সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, একটি দুর্নীতিমূক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। আমার দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকবৃন্দ ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি র্দুনীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদী জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরী করতে চাই। আমার উত্তরসুরিগণ যেন এই প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ অক্টোবর তিনি শপথ নেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। আজ ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার প্রথম বিচারিক কার্যদিবস।
আরও পড়ুন: দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান (সভাপতি) করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার এ বিষয়ে এক গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সার্চ কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সদ্য পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক এ সার্চ কমিটিকে দায়িত্ব ও কার্যবিধি সম্পন্ন করতে গেজেটে বলা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
ইসি গঠনে সদ্য প্রণীত আইনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও অন্যান্য ইসি প্রার্থীদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে কমিটিকে।
অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও ইসিদের প্রতি পদের জন্য দুজন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এ ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে।
সংবিধানে আইনের মাধ্যমে সিইসি ও অন্যান্য ইসি নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা রয়েছে। তবে স্বাধীনতার পর এবারই প্রথমবারের মতো একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
২ বছর আগে