ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)
এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
এডিস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ১০টি অঞ্চলে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা মনে করি যে আমাদের আরও করণীয় রয়েছে এবং সেভাবেই আমরা এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। কর্মপরিকল্পনার আলোকে ১৫ জুন থেকেই আমদের কার্যক্রম আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করব। ১০টি অঞ্চলে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমরা এরই মাঝে নিবেদন করেছি। আশা করছি আমরা অচিরেই পেয়ে যাবো। সেই প্রেক্ষিতে তাদের নেতৃত্বে ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এছাড়াও আমাদের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্দশ বোর্ড সভায় শেখ তাপস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের মধ্যে ঘাটারচর হতে কাঁচপুর পাইলটিং শেষ হবে: তাপস
ডিএসসিসি মেয়র বলেন,গতবারের তুলনায় এবার বেশি সময় ধরে চিরুনি অভিযান তদারকি করা হবে। গতবার আমরা এক মাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা দুই মাস ধরে পরিচালনা করব এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করব।
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা যারা বাসাবাড়ির মালিক, স্থাপনার মালিক এটা আপনাদেরই দায়িত্ব যে, আপনার আঙ্গিনায়, ছাদে, টবে, পরিত্যক্ত মালামালের মধ্যে যাতে কোনো পানি না জমে। বৃষ্টি হলে কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা খেয়াল রাখবেন। পানি জমে থাকলে সেটা ফেলে দিন। তিন দিনের জন্য অপেক্ষা না করে --নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিতে হবে: তাপস
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সফলতার জন্য মেয়র বোর্ড সভায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবার আরও বেশি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
২ বছর আগে
আরও ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু হবে
সবুজ গুচ্ছের (গ্রীন ক্লাস্টার) নতুন ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু করা হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সফলতার সঙ্গে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আমরা চালু করি। প্রথম যাত্রাপথ আমাদের ২১ নম্বর যাত্রাপথ। এটা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত। সেই সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ আমরা চিহ্নিত করেছি। এই তিন যাত্রাপথে আমরা কার্যক্রম পরিচালিত করব।’
নতুন তিন যাত্রাপথ কবে নাগাদ চালু হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এসব রুটে আরও ভালো সেবা দিতে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, কী কী অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, এজন্য পরামর্শকরা কাজ শুরু করেছেন। আগামী সভায় তারা নতুন যাত্রাপথের প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা কমিটির কাছে জমা দেবে। পরে আমরা ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ করে দ্রুততার সঙ্গে একটি নির্দষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই কাজটি করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।’
সভায় পুরো সবুজ গুচ্ছে নগর পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমরা এখন আর একটি একটি করে যাত্রাপথ ধরছি না। আমরা এক সঙ্গে তিনটি যাত্রাপথ নিয়ে কাজ করছি। তার মানে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান ও গতিশীল হচ্ছে। এই তিন যাত্রাপথ শেষ হলে পরবর্তী যাত্রাপথ আরও সহজ হয়ে যাবে। এই সবুজ গুচ্ছে আটটি যাত্রাপথ রয়েছে। একটা চালু আছে। বাকি তিনটি চালু হলে অর্ধেক সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে বাকি চারটা যাত্রাপথ শেষ করে সবুজ গুচ্ছ শেষ করা হবে। আমরা আশাবাদী। এই বছরেই এই কার্যক্রম আমরা শেষ করতে পারবো।’
যাত্রী সেবায় ঢাকা নগর পরিবহনের মূল লক্ষ্য জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘যে কোনও বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তার লাভ-লোকসান বুঝা যায় না। এখনই এটা নির্ধারণের সময়ও আসেনি। তবে আয় এবং খরচ মোটামুটি সমান। এই তিনটি যাত্রাপথ চালু হলে আরও লাভ হবে। আমাদের মূল বিষয় লাভ করা নয়। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে যাত্রী সেবা।’
চালু হওয়ার রুটে অন্য বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনুমোদনহীন বাস জব্দ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবো।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু
চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সময়বদ্ধ সূচির ওপর গুরুত্বারোপ করে উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের সফলতা ও ঢাকার ওপর বাসের চাপ কমা পরস্পর সম্পৃক্ত। সেজন্য আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য ডিটিসিএ আগামী সভায় চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সুনির্দিষ্ট সময়সূচী ও কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে।’
সভার শুরুতেই দক্ষিণ সিটি ও উত্তর সিটির দুই মেয়র ঢাকা নগর পরিবহন পরিচালনায় বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের জোরদার ও দৃশ্যমান ভূমিকা না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন। এ সময় দুই মেয়র ঢাকা নগর পরিবহন সেবা ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশকে আরও বেশি দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।
২২ নম্বর যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে ভুলতা পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহনের বাস। ২৩ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত। ২৬ নম্বর যাত্রাপথ হচ্ছে ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।
সভায় অন্যদের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ডিএসসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
২ বছর আগে