শেরেবাংলা নগর
জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে সরকার জেগে উঠেছে।’
আমরা আশা করি, আমরা নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা, বাংলাদেশ রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে জয়ী হতে পারব।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একদলীয় শাসনের অন্ধকার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোয় নিয়ে আসেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলের নেতারা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
পরে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল।
এ দিন জিয়াউর রহমানের পোস্টারও প্রকাশ করে বিএনপি। তারা জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখে।
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
১ বছর আগে
সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অন্যান্য সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের কাউন্টার থেকে ১০ টাকার টিকিট কিনতে প্রথমে নিচতলায় যান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর তিনি চোখ পরীক্ষা করার জন্য মনোনীত চিকিৎসকের কাছে যান।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নার্স, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
তিনি তাদের খোঁজখবর নেন ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন পেলো ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন করণ’ শীর্ষক প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এনইসি সম্মেলন কক্ষের বৈঠকে অংশ নেন।
অনুমোদিত এই প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং যান-যন্ত্রপাতিসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্রতত্র বর্জ্যবাহী গাড়ির পার্কিং রোধ করতে একটি আধুনিক পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করে যানজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক ম্যাকানাইজড পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে। ফলে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলোর সড়কের যত্রতত্র পার্কিং রোধ করা এবং মেরামতসহ পার্কিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই গ্যারেজে ৫০০ গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও পার্কিং করার সুযোগ থাকবে। এতে যানজট কমার পাশাপাশি বর্জ্যবাহী গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকল্পের গ্যারেজ নির্মাণ অনুষঙ্গে গ্যারেজের সীমানা প্রাচীর, কার ওয়াশ রুম, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার পার্কিং ফ্লোর ডেভেলপমেন্ট ও পার্কিং শেড নির্মাণ, মটর গ্যারেজের ইলেকট্রিফিকেশন, শেড লাইটিং, টয়লেট ফ্যাসিলিটিস, আন্ডারগ্রাউন্ড রিজারভার, নামাজের ঘর ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, অফিস বিল্ডিং, সাব-স্টেশন, ইন-আউট গেইট, গভীর নলকূপ ও ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, অফিস ব্লক সংলগ্ন এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন ইত্যাদি উপাদান থাকবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত যান যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ, সড়ক মেরামত ও উচ্ছেদ কার্যক্রমে ব্যবহৃত আধুনিক ভারী যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।
এই অনুষঙ্গে ২০টি হাইড্রোলিক ল্যাডার, পাঁচটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (সর্ট বুম), একটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (লং বুম), পাঁচটি চেইন ডোজার, পাঁচটি বেকহো লোডার, ১০টি চাকার রোড রোলার (১০ টন), পাঁচটি তিন চাকার রোড রোলার (৮ টন),তিনটি জীপ, পাঁচটি ডাবল কেবিন পিকআপ, চারটি পুলিশবাহী প্রটেকশন ট্রাক, পাঁচটি ম্যাজিষ্ট্রেটবাহী মাইক্রোবাস, পাঁচটি পে লোডার, তিনটি টায়ার ডোজার, একটি লো-বেড ট্রেইলর, দুটি হুইল মাউন্টেড স্কেভেটর, ১০টি তিন হাজার লিটার সক্ষমতার পানির গাড়ি ক্রয় করা হবে।
এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান যথা- ঈদ-উল আযহা, ঈদ-উল ফিতর, ১লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৫ই অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বৈদেশিক বিভিন্ন ভিআইপি ও সাধারণ ব্যক্তিদের মোবাইল টয়লেট সেবা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের আওতায় ১০টি মোবাইল টয়লেট ক্রয় করা হবে।
মোট ৩৩৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২১ সাল থেকে জুন ২০২৪ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা সরকারি অর্থায়নে এবং ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
২ বছর আগে