ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
মিউনিখে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হোটেল বায়েরিসচার হোফের সম্মেলনস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সভেঞ্জা শুলজে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান।
গত মাসে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম সরকারি বিদেশ সফর।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
কান উৎসব ২০২২: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলেনস্কির ভাষণ
বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসর শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ফ্রান্সে কান শহরের পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে উৎসবের পর্দা উঠলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে দেখানো হয়েছে প্রতিযোগিতা শাখার বাইরে নির্বাচিত ফ্রান্সের মিশেল আজানাভিসুসের ‘ফাইনাল কাট’।
এবারের উৎসব ২৮ মে পর্যন্ত চলবে। এবছর প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকছে বিভিন্ন দেশের ২২টি সিনেমা। স্বর্ণপামের জন্য লড়বে সিনেমাগুলো।
ইউক্রেনের যুদ্ধ মঙ্গলবার কানের স্পটলাইটে ছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষণ দিয়েছেন। এসময় জেলেনস্কি সিনেমা এবং বাস্তবতার মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে দীর্ঘ কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ এবং চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ এর মতো চলচ্চিত্রগুলোর উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
পড়ুন: ‘মুজিব’-এর ট্রেইলার নিয়ে প্রথম কান যাত্রায় আরিফিন শুভ
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনন্ত-বর্ষা
২ বছর আগে
ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনারা ডনবাস অঞ্চল দখলের জন্য যুদ্ধ শুরু করেছে। পুরো রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন এই আক্রমণে মনোনিবেশ করেছে।’
ডনবাস পূর্ব ইউক্রেনের বেশিরভাগ রাশিয়ান-ভাষী শিল্প কেন্দ্রভূমি অঞ্চল, যেখানে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গত আট বছর ধরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে লড়াই করছে এবং সম্প্রতি রাশিয়া সেখানে দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পড়ুন: লাভিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ জন নিহত: ইউক্রেন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভ দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর ক্রেমলিন ডনবাস অঞ্চল দখলকে যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ঘোষণা করে। রাজধানী থেকে প্রত্যাহার করার পর রাশিয়া সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য পূর্বে তার স্থল সেনাদের পুনরায় সংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে শুরু করে।
জেলেনস্কি বলেন,‘সেখানে যত রাশিয়ান সেনাই আক্রমণ করুক না কেন, আমরা লড়াই করব, আমরা নিজেদের রক্ষা করব। আমরা প্রতিদিন এটি করব।’
রাশিয়া পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভ এবং ইউক্রেন জুড়ে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা জোরদার করার পর ডনবাসে আক্রমণটি শুরু করে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ জোরদার করছে- এই দুই অঞ্চলই ডনবাসের অংশ।
পড়ুন: মারিউপোলে আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম প্রত্যাখান ইউক্রেনীয় সেনাদের
২ বছর আগে
ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ এখন টার্নিং পয়েন্টে রয়েছে। এছাড়া হামলা কমিয়ে দেয়া হচ্ছে রাশিয়া যে দাবি করেছে তা নিয়েও জেলেনস্কি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে অব্যাহত আলোচনা কেবল ‘কথার কথা’।
রাশিয়ার হামলা কমিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা জানি যে এটি প্রত্যাহার নয় বরং বিতাড়িত হওয়ার পরিণতি। তবে আমরা এটাও দেখছি যে রাশিয়া এখন ডনবাসে নতুন হামলার জন্য তার বাহিনীকে কেন্দ্রীভূত করছে এবং আমরাও এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ‘
জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া রাতের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের পেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সত্যিই স্বাধীনতার জন্য এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একসাথে লড়াই করি, তবে এই কঠিন সময়ে ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র চাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। স্বৈরশাসকের পাশাপাশি স্বাধীনতাকে সশস্ত্র হতে হবে।’
ভাষণে বুধবার ঘোষণা করা অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন সহায়তা জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে বুধবার রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভ এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভের আশেপাশের এলাকা ও দেশের অন্যান্য অংশে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া জানিয়েছেন, ভিডিওর মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুক্রবার পুনরায় আলোচনা শুরু হবে।
পড়ুন: কিয়েভ ও চেরনিহিভ থেকে সামরিক তৎপরতা কমাবে মস্কো
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫
২ বছর আগে
ইউক্রেনে সংকট বাড়াবে না রাশিয়া: ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মঙ্গলবার বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনে সংকট আর বাড়াবে না বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে সময় লাগবে।
মস্কো সফর শেষে কিয়েভে ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকের আগে ম্যাক্রোঁ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুতিন সঙ্কট কমানোর বিষয়ে অঙ্গীকার করেছেন।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মস্কো এবং প্যারিস কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে না।’
আরও পড়ুন: পুতিনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত শি জিনপিং
রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কার মধ্যে মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মস্কো ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। তবে ইউক্রেনে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মস্কো বরাবরই দাবি করে আসছে।
জেলেনস্কির সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘পুতিনের সাথে সোমবার পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি কোনও উত্তেজনা বাড়াবেন না বলে জানিয়েছেন। আমি মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতে, পুতিন আরও বলেছেন যে বেলারুশে রাশিয়ার কোন স্থায়ী (সামরিক) ঘাঁটি থাকবে না, যেখানে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়েছিল।
পেসকভ বলেছেন, যুদ্ধের পর বেলারুশ থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার করা আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল।
এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, উত্তেজনা প্রশমনে পুতিন কোনো পদক্ষেপ নিলে তিনি স্বাগত জানাবেন। তবে কোনো মুখের কথায় নয়, জোরালো পদক্ষেপকে তিনি বিশ্বাস করেন বলে জানান।
পড়ুন: তুষারধসে চীন সীমান্তের কাছে ৭ ভারতীয় সেনার মৃত্যু
২ বছর আগে