মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
দেশব্যাপী প্রতিভা অনুসন্ধান করা হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজনসহ সাতটি অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন, তারুণ্যের উৎসব, দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি, ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প, বাংলা একাডেমির সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প, জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন এবং শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ- এই সাতটি অগ্রাধিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করতে চাই।
উপদেষ্টা বলেন, 'আগে শিল্পকলার এমন একটা কর্মসূচি ছিল। এখন আমরা এটাকে বিস্তৃত পরিসরে করতে চাই। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা শিগগিরই দুই মন্ত্রণালয়ে মিলে এ বিষয়ে কাজ করব। বড় আকারের ট্যালেন্ট হান্ট করতে বিটিভি এবং অন্য একটি বেসরকারি চ্যানেলকে আমরা সঙ্গে নিতে চাই। যাতে আমরা দুই ধরনের দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারি।'
তিনি বলেন, 'এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে প্রচলিত বিষয়ের পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক বিষয় ঢুকবে। এর মধ্যে র্যাপও থাকবে, এমনকি আমরা এখানে স্ট্যান্ড আপ কমেডিও যুক্ত করতে পারি।'
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের পুরস্কার নয়: ফারুকী
রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন
উপদেষ্টা বলেন, 'রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন বাস্তবায়ন যা বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এবং নবতরঙ্গ সৃষ্টি করবে। এতে বাংলাদেশের ৮ জন শীর্ষ নির্মাতার মাধ্যমে ৮টি বিভাগে ৮টি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট মেকিং কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ওয়ার্কশপের আউটপুট হিসেবে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।'
এছাড়া ৮টি নতুন থিয়েটার প্রোডাকশন তৈরি করা হবে জানিয়ে ফারুকী বলেন, 'নজরুলের গান নিয়ে দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় শীর্ষ স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং এটা প্রকাশনা উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এই কনসার্ট সারা দেশে সম্প্রচার করা হবে। ফটোগ্রাফি পেইন্টিং ও কার্টুন প্রর্দশনী করা হবে।'
তারুণ্যের উৎসব
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 'তারুণ্যের উৎসব' উপলক্ষে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। এটা বিপিএলের সহযোগিতায় হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় থাকবে।
ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশনে যে লাখ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড করে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হবে। একটা বৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভিং করা হবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হবে- আপনার অভিজ্ঞতা, অংশগ্রহণ বা আপনার চোখে দেখা গল্প আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে পাঠান আমাদের কাছে। এই ভিডিওগুলো আমরা প্রচারের ব্যবস্থা নেব প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা গণহত্যা পরিচালনা করেছে তারা এখনও সেটা অস্বীকার করছে। কেউ সেটা স্বীকার করেনি, ক্ষমাও চায়নি। অপরাধ করে অস্বীকার করা হচ্ছে অপরাধের প্রথম কাজ। কাউন্টার হিসেবে আমরা এ পদক্ষেপ নেব।
সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প
এ কর্মসূচির আওতায় বাংলা একাডেমির মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা এবং বই প্রকাশ করা হবে। ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ১০টি এক বছর মেয়াদি গবেষণা বৃত্তি থাকবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থাপনা স্থাপনমোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জাতীয় জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হবে, যাতে স্টেজ পারফরমেন্সসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র/ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট ও সারা বছর প্রদর্শন করা যায়।
শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওটিটি প্লাটফর্মের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের জন্য শো-ক্রিয়েটর কর্মশালা আয়োজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নবায়ন হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটা বলে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে তারা স্বাধীন নয়।'
তিনি বলেন, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা এটা ২০২৪ এর একটি অঙ্গীকার, সেটা নিশ্চয় বাস্তবায়ন করা হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে- আপনি যে কাউকে সমালোচনা করতে পারবেন। কিন্তু যিনি খুনি তার বিচারকে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য যদি কিছু বলতে চান সেটাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলব কি না-আমি জানি না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম নিজ নিজ দপ্তরের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা মানুষকে মানুষের কাতারে আনতে চাই। আমরা একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মধ্যে আছি। মানুষকে দেবতা থেকে কীভাবে মানুষ হিসেবে দেখতে হয় সেটা আমাদের শিখিয়েছেন কবি নজরুল।
তিনি বলেন, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নজরুলের সব সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটা ইভেন্ট করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহ থেকে সেটা শুরু হয়েছে।
লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, 'যে নজরুল হারিয়ে গিয়েছিলেন তার চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা এসব কাজ করব। আমরা দুটি সংস্কৃতিক হাব তৈরি করতে যাচ্ছি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকত এলাকায় আমরা একটি নজরুল মঞ্চ করব। ধানমন্ডি লেকের পশ্চিম অংশে আমরা একটি বিদ্রোহী চত্বর করব।'
১ মাস আগে
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা কাজগুলো: চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক ও নাটক
২১ শতকে যে নির্মাতার হাত ধরে বাংলাদেশের নাট্য ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে ভিন্ন ধারার অবতারণা হয়েছে তিনি হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছকে বাধা লিখিত চিত্রনাট্যের বাইরে থেকে গল্পকে নাট্যরূপ দেওয়ার ধারা শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে। চিরাচরিত প্রথাকে পাশ কাটিয়ে জীবনের অনেক সমসাময়িক প্রেক্ষাপটকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করেছেন এই শক্তিমান নির্মাতা। আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা থাকলেও এই নতুনত্বকে সাদরে গ্রহণ করেছে সর্বস্তরের দর্শক। শুধু তাই নয়, শুরু থেকেই তার কাজগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে। চলুন, মেধাবী এই পরিচালকের সেরা কিছু সিনেমা এবং নাটকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা ১০টি কাজ
.
ব্যাচেলর / ২০০৪
কমেডি ও রোমান্টিক ঘরানার এই ছবিটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে সিনেমা পরিচালনা শুরু করেন ফারুকী। মূল কাহিনী লিখেছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। নানা আঙ্গিকে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এখানে প্রকাশ পেয়েছিলো তদানীন্তন তরুণ প্রজন্মের জীবনধারণের কথা। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কয়েকজন বিভিন্ন বয়সের ব্যাচেলর বন্ধুকে। এদের নিত্যদিনের জীবনাচরণ, প্রেম, ও আবেগ নিয়ে এগোতে থাকে চলচ্চিত্রের গল্প।
এখানে অভিনয় করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি, ফেরদৌস আহমেদ, শাবনূর, ও আহমেদ রুবেলের মতো তারকারা। ‘ব্যাচেলর’-এর মাধ্যমে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে অপি করিম, জয়া আহসান, আরমান পারভেজ মুরাদ, সুমাইয়া শিমু, মৌটুসি বিশ্বাস, হাসান মাসুদ, এবং মারজুক রাসেলের মতো তারকাদেরও।
আরো পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
চলচ্চিত্রটির অর্জনের মধ্যে রয়েছে নিউ জার্সি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাউথ এশিয়ান সিনে ফেস্ট, মুম্বাইয়ের থার্ড আই আইএফএফ, এবং ইতালির এশিয়াটিকা ফিল্মমিডিয়ালে অফিসিয়াল সিলেকশন।
মেড ইন বাংলাদেশ / ২০০৬
ফারুকী এই রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক ছবিটি বানিয়েছিলেন আনিসুল হকের ‘জিম্মি’ উপন্যাস অবলম্বনে। পুরো ছবিটি মূলত রাষ্ট্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বেকার তরুণের দীর্ঘ দিনের সুপ্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
খোরশেদ নামের এই বেকার যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাহিদ হাসান। তারকা নির্ভর এই সিনেমায় আরও ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, তারিক আনাম খান, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি, তানিয়া আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, হাসান মাসুদ, মারজুক রাসেল, ফজলুর রহমান বাবু এবং রেদওয়ান রনি।
ছবিটি ২০০৮ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এর জুরি বোর্ডে স্পেশাল মেনশন পেয়েছিল।
আরো পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
ক্যারাম- ১ ও ২ / ২০০৬
দুই পর্বের এই টেলিফিল্মটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন ফারুকী এবং কচি খন্দকার।
আঙ্গুলে সমস্যা থাকা শফিকুলের ক্যারাম খেলা নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনা। এ জন্য পাড়ায় প্রায় তাকে হাসির পাত্র হতে হয়। তাকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় যে, সে যদি তপনকে ক্যারাম খেলায় হারাতে পারে, তাহলে তাকে নিয়ে আর কেউ হাসি-ঠাট্টা করবে না।
এমনি মজার গল্প নিয়ে ফারুকী পরিচালনা করেছিলেন টেলিফিল্মটি, আর এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম লাইমলাইটে আসেন অভিনেতা মোশাররফ করিম।
এতে তার সহ অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন নুসরাত ইমরোজ (তিশা), রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, বাপ্পি আশরাফ, ও ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল।
আরো পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
৪২০ / ২০০৭-২০০৮
ছোট পর্দায় ফারুকীর মাস্টারপিস হচ্ছে এই পলিটিক্যাল কমেডি সিরিজটি। ধারাবাহিক নাটকটিতে ছোট্ট পরিসরে হাস্যরসের নেপথ্যে দেখানো হয়েছে বাংলদেশের রাজনীতিবিদদের উত্থান-পতন। নাটকের গল্পে দেখা যায় চুরি করে গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে আসা দুই ভাই ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ক্রমশ তারা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের আভিজাত্য বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মোশাররফ করিম ও লুৎফর রহমান জর্জ। এছাড়াও গোটা ধারাবাহিক জুড়ে ছিলেন তিশা, সোহেল খান, মারজুক রাসেল, রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, এবং সিদ্দিকুর রহমান।
সিক্সটি নাইন / ২০০৮-২০০৯
রচয়িতা আনিসুল হক এবং নির্মাতা ফারুকীর সমন্বয়ে নির্মিত জনপ্রিয় মেগাসিরিজগুলোর একটি এই ফ্যামিলি ড্রামা। এটি বাবা-মা এবং ছয় সন্তান বিশিষ্ট এক পরিবারের গল্প। নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে থাকার পরেও, একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য তারা কখনোই একত্রিত হতে পারে না।
এখানে শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন তিশা, শহীদুজ্জামান সেলিম, হাসান মাসুদ, জয়া আহসান, শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি, ফজলুর রহমান বাবু, আহমেদ রুবেল, মারজুক রাসেল, এবং রিফাত চৌধুরী।
আরো পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
১ মাস আগে
মন্ত্রিত্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের পুরস্কার নয়: ফারুকী
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, 'আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের' পুরস্কার হিসেবে তিনি মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেননি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রথম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুকী বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলটি দারুণ। আমরা মিটিং করব। সেখানে আমরা চিন্তাভাবনা করব- আমরা কী করতে পারি? আমরা চলে যাওয়ার পরে, আমাদের বলতে পারা উচিত যে আমরা দৃশ্যমান কিছু করেছি। এটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন: ‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
তিনি বলেন, ‘অনুমোদনের পর আমরা তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আপনিও জানতে পারবেন। আমরা রোডম্যাপ শেয়ার করব, আমরা কী করতে চাই। আমরা যেদিন চলে যাব সেদিনই আপনারা বিচার করবেন আমরা কতটুকু সফল হয়েছি আর কোথায় ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থতার জন্য আমরা ক্ষমা চাইব।’
ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার অবস্থান, আমি কী করব, কী করেছি- গত ১৫ বছরে আমার ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। শুধু কয়েকটা পোস্ট না দেখে সবগুলো দেখুন। আপনারাও আমার সিনেমা দেখে আমার অবস্থান বুঝতে পারবেন।’
তিনি বলেন, 'আমি ফ্যাসিস্টদের সমর্থন করি, এটা বলা অবিশ্বাস্য। এর জবাব দেওয়ার দরকার নেই। আমার লেখাগুলো পড়ুন। 'এই চেতনা নিয়ে আমরা কী করব?' – ২০১৪ সালে যেদিন শাহবাগে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছিল, সেদিন লিখেছিলাম, সেটিও পড়ুন। এছাড়া ২০১৫ সালে 'ইন সার্চ অব বাটস অ্যান্ড ইফস' শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম কিনা- তার পুরস্কার হিসেবে আমি এই মন্ত্রিত্ব নিতে আসিনি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি এই কাজটি করতে পারি কিনা। যারা আমাকে বিশ্বাস করেন, তারা মনে করেন, আমি পারব। তারপর ভাবলাম, হ্যাঁ, হয়তো পারব।’
ফারুকী বলেন, ‘তাই আমার কাজ দিয়েই আমাকে বিচার করুন। ফ্যাসিবাদবিরোধী হওয়ার পুরস্কার হিসেবে আমার মন্ত্রিত্ব পদের দরকার নেই।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
১ মাস আগে
প্রীতম-ফারিণ জুটির সিনেমা 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত ৩ আগস্ট এক জমকালো অনুষ্ঠানে চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামের একটি প্রজেক্ট। যেখানে ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছে।
এই পুরো প্রজেক্ট এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছেন জনপ্রিয় পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই প্রজেক্টের একটি সিনেমা 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া'।
‘দূরত্ব ভালোবাসার ওপর কীভাবে স্ট্রেস দেয়, কীভাবে সম্পর্কের টানাপোড়ন তৈরি করে তা এই সিনেমায় থাকবে। যারা প্রবাসে থাকেন তারা এটা ভালো ধরতে পারবেন। এটা একটা স্পর্শের গল্প।’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর কিছু শ্যুটিং হয়েছে বাংলাদেশে, আর কিছু অংশ শ্যুট হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
দেশের বাইরে পুরো ইউনিট নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার শ্যুটে যারা জড়িত ছিল সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তারা ছাড়া কাজটি করা কঠিন হতো। আমরা রাজশাহীতেও কাজ করেছি। সেখানকার সবাইও ভালোবাসা-ভালোলাগা থেকে আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ জায়গা পেয়েছি।’
সিনেমার মূল চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ
১ বছর আগে
ভেসুলে দর্শক পছন্দে সেরা ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষার চলচ্চিত্র ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ভেসুল উৎসবে দর্শক পছন্দের (ফিকশন ফিল্ম দর্শক) সেরা পুরস্কার জিতেছে। মঙ্গলবার ফ্রান্সে এশিয়ান সিনেমার ২৮তম ভেসুল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই পুরস্কার অর্জন করেছে সিনেমাটি।
বুধবার ফ্রান্স থেকে ফারুকী তার ফেসবুক পেজে খবরটি শেয়ার করেছেন।
ফারুকী লিখেছেন, ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ আমার কাছে খুব স্পেশাল। আজ রাতে এই বিশেষ ফিল্মটি ভেসুল চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক পছন্দের সেরা পুরস্কার জিতেছে।
আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকর: ভারতের নাইটিঙ্গেলের মৃত্যুতে ঢালিউডেও শোকের ছায়া
গত শনিবার এই উৎসবে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর প্রথম স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়।
চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হচ্ছে বিভিন্ন পরিবেশে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের অস্তিত্বের সংকট।
জনপ্রিয় বাংলাদেশি গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান, অস্ট্রেলিয়ার নবাগত মেগান মিচেল ও ভারতের ইশা চোপড়া, বিক্রম কোচার ও কিরণ খোঁজে ছাড়াও এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রশংসিত বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী।
সিনেমার সঙ্গীত প্রযোজনা করেছেন বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার এ আর রহমান।
ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অঞ্জন চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, শ্রীহরি সাঠে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, এ আর রহমান ও ফরিদুর রেজা সাগর।
আরও পড়ুন: 'নাকফুল' সিনেমায় রোশান-পূজা
২ বছর আগে