আইনশৃঙ্খল বাহিনী
খুলনায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব চালু
খুলনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবের পুলিশ পরিদর্শক মোছা. মাহমুদা খাতুন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার জানান, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলার ডিএনএ আলামত ব্যতীত হস্তলিপি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জাল নোট ও মেকিমুদ্রা, পদচিহ্ন, ব্যালিস্টিক, ফটোগ্রাফি, অনুবিশ্লেষণ, সাইবার সংশ্লিষ্ট ও রাসায়নিক সম্পর্কিত মামলার আলামতসমূহ এই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত দেয়া হবে।
এই ল্যাব চালু মধ্যে দিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত সংগ্রহের জন্য যে সময় লাগতো সেটি কমে যাবে এবং আলামত পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে।
ফরেনসিক ল্যাবরেটরির সেবাসমূহ
রাসায়নিক পরীক্ষাগার: সব ধরনের মাদকদ্রব্য, মৃত মানুষ ও পশু-পাখির ভিসেরা, কবর থেকে উত্তোলিত হাড়, চুল, মাটি ও সফট টিসু, বিষাক্ত বা চেতনা নাশক পদার্থের উপস্থিতি, রক্ত মিশ্রিত আলামতের রক্তের উপস্থিতি, এসিড মিশ্রিত আলামতে এসিডের উপস্থিতি, বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল প্রভৃতি আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা: ক্রাইমসীন থেকে সংগৃহীত দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান আঙ্গুলের ছাপের সাথে সন্দিগ্ধ আসামিদের আঙ্গুলের ছাপের তুলনামূলক পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান এবং সংগৃহিত ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ল্যাটেন্ট প্রিন্ট ডাটাবেজে সংরক্ষিত ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে তল্লাশি করে মিল/অমিল সম্পর্কে মতামত প্রদান।
হস্তলিপি শাখা: বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার দলিলের বিতর্কিত লেখা স্বাক্ষর জাল, নাম্বার ঘষামাজা করে কিংবা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অবমোচন করা হলে তা পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
জাল নোট ও মেকীমুদ্রা শাখা: দেশি-বিদেশি সকল কারেন্সি নোট ও দেশী-বিদেশি সকল প্রকার কয়েন বা ধাতব মুদ্রার বিষয়ে ভিডিও স্পেকট্রাল কম্পারেটর এর মাধ্যমে নোটে থাকা দৃশ্যমান ও অদৃশ্য বৈশিষ্টগুলো বিশ্লেষণ পূর্বক বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
ফটোগ্রাফি শাখা: অপরাধীর ছবি গ্রহণ, সংরক্ষণ ও ফরেনসিক বিভিন্ন শাখার আলামতের বর্ধিত ছবি সরবরাহ করা এবং বিতর্কিত ছবির সাথে নমুনা ছবির মিল আছে কি না তা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
ব্যালিস্টিক্স শাখা: আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধের ঘটনায় উদ্ধাকৃত বা অপরাধের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, ফায়ার্ড কার্তুজ ও ফায়ার্ড বুলেট বা এগুলির কোন অংশ বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
অণুবিশ্লেষণ শাখা: গাড়ীর ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর, আগ্নেয়াস্ত্রের নম্বর, প্রস্তুতকারী দেশের নাম এবং কোন ধাতব বস্তুর উপর থেকে মুছে ফেলা/বিকৃত করা লেখা, ক্রমিক নম্বর, সংখ্যা, ট্রেড মার্ক বা যে কোন চিহ্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের
পদচিহ্ন শাখা: পায়ের ছাপ বা জুতার ছাপ পরীক্ষা করে অপরাধী বা ভিকটিম শনাক্তকরণে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
ক্রাইমসিন ইউনিট: অপরাধস্থল পরিদর্শন করে বস্তগত সাক্ষ্য সংগ্রহ, ডকুমেন্টেশন (ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, স্কেচম্যাপ ইত্যাতি প্রস্তুত), সংরক্ষণ পূর্বক বস্তগত সাক্ষ্য সংশ্লিষ্ট থানা বা তদন্তকারী ইউনিটকে প্রদান।
আইটি শাখা: মামলা সংশ্লিষ্ট মোবাইল, মেমোরিকার্ড, হার্ডডিক্স, ল্যাপটপ, ডিভিআর ইত্যাদি ডিজিটাল এভিডেন্স পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক মতামত প্রদান।
২ বছর আগে