লবিস্ট ফার্ম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও গভীর করতে এক বছরের জন্য সম্প্রতি একটি মার্কিন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা সম্প্রতি নেলসন মুলিনসকে নিয়োগ দিয়েছি। এটি একটি জিআর (সরকারি সম্পর্ক) ফার্ম।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শাহরিয়ার আলম।
এই জিআর ফার্মের নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই স্বচ্ছ উপায়ে গভীর ও বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মাসিক ২০ হাজার মার্কিন ডলার চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর এ পদক্ষেপ নিলো সরকার।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি সরকারি নথি এবং আরও তথ্যের জন্য যে কেউ এটি দেখতে পারবেন।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার ইঙ্গিত দেন।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি এও স্পষ্ট করেন যে এই বিষয়টি মোকাবিলায় তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। এটা হতে পারে আইনি প্রক্রিয়ায় বা কূটনৈতিকভাবে। বাংলাদেশ সরকার এর জন্য তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রকে জড়িত করতে চায় না।
এর আগে র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন রাজস্ব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
২ বছর আগে
‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি উপাধি দেয়া কানাডীয় সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠন সম্পর্কে আপনাদের একটু তথ্য দেই। বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল স্বনামে-বেনামে, আমরা গণমাধ্যমের সামনে এটা বেশ কয়েক বার বলেছি। একটি ফার্মের সঙ্গে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল। কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল।
সেখানে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস। এটা বিএনপির পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। অর্থাৎ এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
পদক পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর তা গণমাধ্যমের সামনে এনে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘লাফিং স্টকে’ পরিণত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার জন্মও খুব বেশি দিন আগে না, তারা তাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি বলে সনদ দিয়েছেন। এটি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন।
সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হলো হাস্যকর। যেভাবে সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতারা এভাবে গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বললো সেটা হাস্যকর। বেগম খালেদা জিয়াকে একদম লাফিং স্টক হিসেবে বানিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে।
তিনি বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল বিএনপি যেভাবে জ্বালাও পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে।
সেখানে আবার একটি তথাকথিক হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) আবার একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছেন এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে