হিজাব
হিজাব পরতে মানা ও মহানবীকে কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে অভিভাবকদের সামনে ওই শিক্ষক ইসলামের নবীকে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। মামলা নম্বর ২৬।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার: র্যাব
গ্রেপ্তার ব্যক্তি মো. আবু সালেহ (৫০) উপজেলার কয়া চাইল্ড হিভেন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত আ. জব্বারের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ ও ক্যাপ পরতে উদ্বুদ্ধ করেন। অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষক তাদের সামনে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে অভিভাবকরা বিষয়গুলো এলাকায় জানালে স্থানীয়রা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও ও প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশস্ত করেন এবং ছত্রভঙ্গ করে দেন। এরপর ওইদিন রাত ১২টার পরে এনামুল হক নামের একজন থানায় মামলা করেন। উক্ত মামলায় বুধবার ভোর রাতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসাইন জানান, মহানবী (সা.) কে কটূক্তি করায় মঙ্গলবার রাতে একজন ব্যক্তি মামলা করেন। পরে বুধবার ভোরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
হিজাব নিষিদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার কর্ণাটক রাজ্যে শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশনে বিভক্ত রায় দিয়েছেন
হিজাব হল মুসলিম নারীদের মাথার স্কার্ফ। মুসলমানরা ভারতে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করে। রাজ্যের হাইকোর্ট কর্তৃক আদেশটি বহাল করা হয়।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও সুধাংশু ধুলিয়ার শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভক্ত রায়টি দিয়েছে। যা বৃহত্তর এক বেঞ্চকর্তৃক আবেদনগুলোর শুনানির পথ প্রশস্ত করেছে।
বিচারপতি গুপ্তা হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দিলেও বিচারপতি ধুলিয়া এক্ষেত্রে অনুমতি দেন।
বিচারপতি ধুলিয়া বলেন, ‘এটি শেষ পর্যন্ত পছন্দের বিষয় ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। আমার মনে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মেয়েশিশুদের শিক্ষা। আমি আমার বিচারকের (ভাই সম্বোধন করে) বক্তব্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে একমত নই।’
শীর্ষ আদালত ২২ সেপ্টেম্বর হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের ওপর তার আদেশ সংরক্ষণ করে।
কর্ণাটকের উডুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজ ছয়জন কিশোর ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে বাধা দেয়ার প্রেক্ষাপটে এই ইস্যুটি শুরু হয়৷
এই পদক্ষেপটি রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। যা রাজ্য সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ পড়ার ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্ররোচিত করে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
নওগাঁয় স্কুলে ‘হিজাব’ বিতর্ক: গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নওগাঁর মহাদেবপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হিজাব নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলা সদরের কিউএম সাঈদ টিটো (৬০) ও কুশার সেন্টার এলাকার কাজী সামসুজ্জোহা মিলন (৪৫)।
গত ৯ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুমন ও নওগাঁর পোরশা উপজেলার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার লাইব্রেরীপট্টি ও উপজেলার কুশারসেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
পড়ুন: হিজাব নয়, স্কুল ড্রেস না পড়ায় শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিয়েছেন আমোদিনী পাল
উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থী ফেসবুকে ‘হিজাব পরায়’ পিটুনির অভিযোগ এনে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করে। এরপর আরও কিছু ভিডিও আসে। পাশাপাশি বেশ কিছু অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মেয়েদের অভিযোগের পর তোলপাড়ের মধ্যেই ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্কুলটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আসলে কী ঘটেছিল, তা বের করতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। দায়িত্ব দেয়া হয়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ প্রামাণিক এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে। সোমবার রাত ৮টার দিকে তদন্ত কমিটি মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের কাছে সেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্কুল ড্রেস না পড়ার কারণে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: নওগাঁয় হিজাব বিতর্ক: অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে থানায় জিডি
হিজাব নয়, স্কুল ড্রেস না পড়ায় শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিয়েছেন আমোদিনী পাল
নওগাঁর মহাদেবপুরে দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ‘হিজাব পরায়’ শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগের তুলে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। স্কুলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য গুজব ছড়িয়ে শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষকে উসকে দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান মহাদেবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেকসহ কমিটির তিন সদস্য মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমানের কাছে চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্তে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তদন্তে কমিটির কাছে মনে হয়েছে স্কুল ড্রেসের কারণেই গত ৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল ও শরীর চর্চার শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের প্রহার করেন। স্কুলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে ফাঁসানোর জন্য ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া গত ৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন ব্যক্তি হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল ড্রেস না পরে আসায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও আরেক শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের প্রহার করেন। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
পড়ুন: নওগাঁয় হিজাব বিতর্ক: অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে থানায় জিডি
কারা গুজব ছড়িয়েছে তদন্ত কমিটি সেই সব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পেরেছে কি না এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে এই মুহূর্তে নাম বলা যাচ্ছে না। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সবাই জানতে পারবে।’
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি যেসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ দিয়েছে সেগুলো আমলে নিয়ে এই ঘটনায় যেখানে যেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন তা করা হবে।
প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত করতে পেরেছেন উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী সবাইকে আমরা ডেকেছি। সবার সব কিছু শোনা এবং তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ইউএনও মহোদয় প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন।’
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে স্কুল ড্রেস না পরায় পিটানোর অভিযোগ উঠে। পরে একটি মহল ওই ঘটনা হিজাব অবমাননার গুজব ছাড়ায় ও বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
কর্ণাটকে হিজাব দ্বন্দ্ব যেভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিলো
ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজ্যের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সহিংসতায় পরিণত হওয়ার পর দেশটির রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে বুধবার দেশটির রাজ্যের হাইকোর্ট মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আবেদনের শুনানি করবে।
কর্ণাটকের উডুপি জেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে হিজাব পরায় ছয় শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং পরে তা অন্যান্য কলেজে ছড়িয়ে পড়ে।
মান্ডিয়া জেলার একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বোরকা পরা এক নারী শিক্ষার্থীর দিকে জাফরান শাল পরা একদল জনতা ধেয়ে আসছেন। আর তারা বারংবার ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। এরপর ওই নারী শিক্ষার্থীও ‘আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দেন। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে ৭১ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত
পরে জানা যায়, ওই ছাত্রীর নাম মুসকান। তিনি বলেন, তার কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন তিনি তাকে সহায়তা করবেন।
মুসকান বলেন, ‘একইভাবে আরও কয়েকজন মুসলিম মেয়েকে হয়রানি করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা অধ্যক্ষ আমাদের বোরকা পরতে নিষেধ করেননি। তাহলে আমি কেন বহিরাগতদের কথা শুনবো?’
মঙ্গলবার নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ভারতে ‘মুসলিম নারীদের প্রান্তিকীকরণ বন্ধ করতে’ দেশটির নেতাদের কিছু করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘হিজাব পরে মেয়েদের স্কুলে না যেতে দেয়া ভয়াবহ।’
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, এগুলো ছোট ঘটনা এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জাফরান স্কার্ফ ও হিজাব দুটোই ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা উচিত, কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন মতামতকে সমর্থন করেছেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ বিসি।
ভারতের পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক শাখা এই অঞ্চলে আকর্ষণ লাভের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এসব করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি মূলত রাজনীতি। এই সব ঘটছে। কারণ আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সংকট বাড়াবে না রাশিয়া: ম্যাক্রোঁ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ এস বোমাই ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষার্থী ও অন্যদের ‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে আদালতে দুটি আবেদন করা হয়েছে।
এক আবেদনে যুক্তি দেখানো হয়েছে, একজন মানুষ কী পরবে সেটা বেছে নেয়া তার মৌলিক অধিকার এবং তা ভারতের সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আবেদনে সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব ও হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকারের ড্রেসকোট আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিচারপতি কৃষ্ণ দীক্ষিত জানিয়েছেন, তিনি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি যে শপথ নিয়েছি সেই শপথ অনুযায়ী কাজ করব। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকা কোনো ভালো পরিস্থিতি নয়।’
আরও পড়ুন: তুষারধসে চীন সীমান্তের কাছে ৭ ভারতীয় সেনার মৃত্যু