জেফারসন
দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন প্রদর্শনী ‘দুবাই এক্সপো ২০২০’-এ যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের মালিকানাধীন পবিত্র কোরআনের প্রদর্শনী শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুই খণ্ড বিশিষ্ট মহামূল্যবান এই কোরআনটিকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি ফ্লাইটে তোলা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে আরবের মানচিত্র সন্নিবেশিত এই কোরআনের অনুবাদটি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাভিলিয়নে রাখা হয়েছিল।
১৭৬৫ সালে তরুণ জেফারসন আইনের ছাত্র থাকার সময় এটি কিনেছিলেন। এরপর প্রদর্শনীর উদ্দেশে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আনায় কোরআনটিকে ২৪ ঘণ্টার সার্বক্ষণিক পাহারায় রাখা হয়।
একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ইয়াসমিন খান আলতো করে কোরআনের খণ্ডগুলো তুলে নেন।
লাইব্রেরির কাগজ সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, তিনি এই নিদর্শনগুলি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন। ‘অত্যন্ত বিরল ও চমৎকার’ হওয়ায় প্রদর্শনীতে এগুলো সবার নজর কেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের মালিকানাধীন একটি মূল্যবান সম্পদ এবং এতে মূল্যবান জ্ঞান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সঙ্কট: মস্কোয় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জানান, প্রতিটি খণ্ডের জন্য নিজস্ব বিশেষ ধরনের বাক্স রয়েছে। মুভার্সরা সাবধানে কোরআন ও মানচিত্র বিশেষ ধরনের কাঠের ক্রেটের ভিতরে রেখেছিল। যেগুলো চার ইঞ্চি প্যাডিং এবং কাস্টমাইজড ট্রে সহ আরও প্যাডিং, ও একটি সেন্সর রয়েছে; যা কম্পন ও তাপমাত্রার পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে।’
কোরআনের ঐতিহাসিক এই ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকা লিখেন জর্জ সেল। দুই খণ্ডের এই কোরআন জর্জ সেলের ১৭৩৪ সালের অনুবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ। জেফারসনের অনুলিপি কোরআনের অনুবাদটি ১৭৬৪ সালে প্রথমবারের মতো লন্ডনে মুদ্রিত হয় এবং উইলিয়ামসবার্গ থেকে বইটি কিনে যুক্তরাষ্ট্রে আনেন জেফারসন।
লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের তথ্য মতে, পবিত্র কোরআনের এই কপিটি যুক্তরাষ্ট্রের আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক অর্জনের মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত। ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন, জেফারসন আমেরিকার গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ স্বাধীনতার ঘোষণা ও সংবিধানের নিয়ে কাজ করার সময় বিশ্বের অন্যান্য প্রধান ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গ্রন্থের সঙ্গে এই কোরআন ব্যবহার করেছিলেন।
ছয় মাস ব্যাপী চলা ‘দুবাই এক্সপো ২০২০’ আগামী ৩১শে মার্চ ২০২২ শেষ হওয়ার কথা। আয়োজকরা প্রাথমিকভাবে ২৫ মিলিয়ন দর্শকের আশা করেছিলেন। তবে করোনভাইরাস মহামারি এবং অন্যান্য কারণে প্রদর্শনীর দর্শক সমাগম প্রভাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সংকট বাড়াবে না রাশিয়া: ম্যাক্রোঁ
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাপ্রাপ্ত ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবে অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে