দুই শিশু
রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে রজব আলী ও কেয়া খাতুন নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ওই উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের খড়তা গ্রামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
নিহতরা হলো- কর্তা গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে রজব আলী (৫) এবং নাটোর লালপুর থেকে রুবেলের বাড়িতে বেড়াতে আসা মুকুল হোসেনের মেয়ে কেয়া খাতুন (৫)।
স্বজনরা জানান, রজব ও কেয়া সকালে খেলাধুলা করার এ পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরে নেমে যায়। তাদের খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের সন্দেহ হয়।
একপর্যায়ে পুকুর পাড়ে জুতা দেখে পানিতে খুঁজে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। দুই শিশুর লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নদীতে গোসল করতে নেমে ইয়াসমিন ও তসলিমা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার খঞ্জনা এলাকার কুলিক নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলো- খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের একমাত্র মেয়ে ইয়াসমিন (১০) এবং দিনাজপুর সদর রেলস্টেশন এলাকার ইউসুফ আলীর একমাত্র মেয়ে তসলিমা (৮)।
নদীতে ডুবে দুই শিশুর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে তারা দুইজন মিলে খেলছিল। পরে তারা দুইজন সকলের অগোচরে কুলিক নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়৷
দীর্ঘসময় তারা ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে নদীর পানিতে দুইজনের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন তারা।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ২ যুবকের মৃত্যু
মেহেরপুরে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করাতে গিয়ে সম্প্রতি দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দিতে (জিরো টলারেন্স) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য খাতের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে আয়োজিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, “গতকাল আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে তুমি জিরো টলারেন্স। কোনো রকম অনিয়ম, কোনোরকম গাফিলতির জন্য যদি কোনো বাচ্চা মারা যায়, তুমি তোমার মতো ব্যবস্থা নেবে।’ এরকম কড়া নির্দেশ উনি আমাকে দিয়েছেন।”
বৈঠকের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, সেটার পর্যালোচনা করে আমরা সবাই আলাপ-আলোচনা করলাম, কীভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়। ইতোমধ্যেই আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কীভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করবে কী কী শর্ত থাকা লাগবে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, ‘এটি (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা) গত বৃহস্পতিবার আমরা দিয়েছিলাম, আজ রবিবার। আমরা তিন চার দিন সময় দিয়েছিলাম দেখি কী করে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই এটি আমি নিজে মনিটরিং করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার চিকিৎসক ভাই-বোনদের বলতে চাই আমরা যেখানে অপারেশন করব...., অপারেশন করার আগে আমাদের দেখতে হবে সেখানে সাপোর্টিং জিনিস আছে কিনা। সেটা অপারেশন করার জায়গা নাকি জায়গা নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক অপারেশন করেছি সুতরাং আমি জানি কোথায় কী কী লাগে, কী ক্রাইটেরিয়া লাগে অপারেশন করার জন্য। সেগুলো না থাকলে কোনো অবস্থাতেই এটা করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ) হচ্ছে আমাদের সর্বোচ্চ আদালত। ইতোমধ্যে আমি বিএমডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, এই তিনটি (অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা ও এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা) বিষয় ইনভেস্টিগেশন করার জন্য এবং যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমার কথা চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেবে, রোগীদেরও সুরক্ষা দেব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেওয়া ১০ দফা নির্দেশনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আগামী দুই একদিনের মধ্যে..., আমি নিজে এটা মনিটরিং করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আগেও বলেছি, এখনো বলছি আমি এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আমি এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না, যার যেখানে যে যোগ্যতা, সেই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে, এর বাইরে কাজ করতে পারবে না। এটা পরিষ্কার।’
অবৈধ ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। অতীতে কী হয়েছে সেটা... আমি তো বলছি এটা আমি চলমান রাখব।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেদিন ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম, আসার সময় ডানে-বামে কত ক্লিনিক। এটাতো আমার একার পক্ষে সম্ভব না, এটার জন্য সবার আপনাদের ভূমিকা লাগবে, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা লাগবে। সামগ্রিকভাবে যদি এটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো যায় এটা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে রাইসা আক্তার (২) ও মো. ইয়ামিন (২) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় থেকে ৩টার মধ্যে মকিবাদ ও কংগাইশ এলাকায় পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
উভয় শিশুকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশুদের মধ্যে রাইসা পৌর এলাকার মকিমাবাদ বেপারী বাড়ির মো. আব্দুর রহিমের মেয়ে এবং ইয়ামিন কংগাইশ এলাকার মো. লিটন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পানিতে ডুবে ২ ভাই-বোনের মৃত্যু
রাইসার স্বজনরা জানায়, তার বাবা প্রবাসে থাকায় মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকতো। দুপুরে বাড়ির সবার অগোচরে পশ্চিম পাশের ডোবার পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তার বাবার বাড়ি উপজেলার কালচোঁ ইউনিয়নের সাকছিপাড়া গ্রামে।
অপরদিকে ইয়ামিনের স্বজনরা জানায়, দুপুরে নিখোঁজ হয় ইয়ামিন। বাড়ির পুকুরের পানিতে তার লাশ ভেসে ওঠে। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মাওলা নঈম ইউএনবিকে জানান, দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়।
দুই শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কচুয়ায় পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হোসেনকে (১৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে ১৫ বছর বয়সী দুই শিশুকে এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। (প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে বয়স হওয়ায় শিশু দুটির নাম প্রকাশ করা হলো না)
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। মামলার বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রাশেদ কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইবার লিমিটেড ফ্যাক্টরির টুস্টিং বিভাগের শ্রমিক ছিল। সে সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল দুপুরে রাশেদ কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩ নম্বর গলিয়ারার ফুলতলীর একটি পুকুর থেকে রাশেদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন এ ঘটনায় নিহতের বোন মোসাম্মত নীপা আক্তার বাদী হয়ে দুই শিশুকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
খড়ের গাদায় চাপা পড়ে দুই শিশুসহ মা নিহত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাটে খড়ের গাদায় চাপা পড়ে মা ও দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল দিকে উপজেলার ধর্মপুর এলাকার ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খড়ের গাদা থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার বাহরাইন প্রবাসী টিপু আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার এবং তার দুই শিশুসন্তান শাহিদ ও সিয়াম।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সুমি বুধবার সকালে গবাদিপশুর জন্য খড় কাটছিলেন। এ সময় তার দুই সন্তান পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ খড়ের গাদা ভেঙে পড়লে দুই সন্তানসহ সুমি খড়ের নিচে চাপা পড়েন।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে লাশ ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক মিথিলা কানন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজন মারা গেছেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে খড়ের গাদা থেকে মাজার খাদেমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে একজনের এবং বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একইস্থান থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে নগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদীতে তারা নিখোঁজ হয়।
নিহত দুই শিশু হলো- শুকুর আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১১) ও একই এলাকার নেকবর আলীর ছেলে মো. সাজিম (১২)।
মৃত সিয়াম রাজশাহী নগরীর ডাশমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল থেকে আবারও অভিযান শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে সিয়ামের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পাশ থেকেই বিকাল ৪টার দিকে সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার বলেন, চারঘাট এলাকা থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ পুলিশ ছাড়াও চারঘাট থানা পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি মনিটরিং করে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে দুইজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের কামারকোণা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো- কামারকোণা গ্রামের রুবেল মিয়ার মেয়ে আলো মনি (৫) ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে তন্বী (৬)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে নানা-নাতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, আলো মনি ও তন্বী দুজন বাড়ির সামনে খেলা করছিল। অনেকক্ষণ ধরে তাদের দেখতে না পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে শিশুদের জুতা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে, পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিক শিশুদের পার্শ্ববর্তী মঠখোলা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে নিখোঁজ দুই শিশু জীবিত উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে নিখোঁজ দুই মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রবিবার (২ এপ্রিল) রাতে নগরীর হালিশহর থানাধীন সিএন্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার দুই শিশু হলো-হালিশহর থানার রামপুর এলাকার মো. আলমগীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা (৯) এবং খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার (৯)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
হালিশহর থানা পুলিশ জানায়, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় লেখাপড়ার জন্য তার মা শাসন করলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় মাইশা। দীর্ঘসময় ধরে খোঁজাখুজির পর না পেয়ে গত ২৯ মার্চ মাইশার পরিবার হালিশহর থানায় একটি নিখোঁজ মামলা করে।
এরপর পুলিশ ছয় সদস্যের একটি টিম গঠন করে নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আমবাগান ও পলোগ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বসানো সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে মাইশার গতিবিধি অনুসরণ করা হয়।
পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির উদ্দিন বলেন, ২৮ মার্চ মাইশা বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ৯টার দিকে নতুন রেলস্টেশনের ৩ নম্বর পিলারে একা বসে থাকে। সেখানে ২ নম্বর পিলারে বসে ছিল মো. টিপু নামের এক ব্যক্তি। টিপু যখন সেখান থেকে উঠে চলে যাচ্ছিল তাকে অনুসরণ করতে থাকে মাইশা।
টিপু মাইশাকে তার নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় জানতে চাইলে উত্তর দিতে পারেনি। তখন টিপু আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে কোন সাড়া পায়নি। পরে শিশুটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তার বাসায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরীর খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, খুলশী মাস্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে দুদকের মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, দুই শিশু গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উখিয়ার ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ দুই শিশু হলো- ৮নং ক্যাম্পের ওবায়দুল হকের মেয়ে উম্মে হাফসা (১১) ও একই ক্যাম্পের আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল ফয়েজ (৮)।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপে সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের আবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২
মুন্সীগঞ্জে যুবলীগ নেতার গুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ