ইকোসিস্টেম
ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে সিঙ্গাপুর: পলক
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন এবং এই খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সিঙ্গাপুর। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর ট্রেড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আলোচনা সভায় এই আশ্বাস দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উভয় দেশের পাস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এ খাতে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া ই-কমার্স খাতে পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায়, ব্যবাসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্লাটফর্ম, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে ইউএনডিপি: পলক
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও এটিএম কার্ড ব্যবহারে দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারিতে দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান।
এসময় সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ম্যাগডালিন লো, সহকারী পরিচালক ভেরোনিক ব্যান, বিশ্লেষক ইউ জিন ই, সিঙ্গাপুর কাস্টমস এর নেটওয়ার্ক ট্রেড প্ল্যাটফর্ম (এনটিপি) অফিসের সিনিয়র অফিসার, আমালিনা বিনতে কোমারিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর শেখ লিমাসহ ই-কমার্সেলের অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী ১৯-২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ৪ দিনের ‘অ্যাপাক ডিজিটাল ইনোভেশন সম্মেলন-২০২২’ এ যোগদান করতে গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
২ বছর আগে
তরুণদের মেধা কাজে লাগিয়ে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
আমাদের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে না পারলে মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটবে না।
তিনি বলেন সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তরুণদের যোগ্যতা ও মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে।রবিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আইটি-বিষয়ক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের তরুণ মেধাবী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পলক বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের দক্ষ মানবসম্পদ ও সমস্যা সমাধান মুখী চিন্তার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কারিকুলামে কোডিং চালু করার বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আওটি, এআর, ভিআর, বিগডাটা অ্যানালেটিকস্, রোবটিকস্, ব্লকচেইন এবং নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে দেশে ৩’শ স্কুল অব ফিউচার ও শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী জাতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক প্রয়াস নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে ছিল- ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতা ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ২০২১ এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১।’পরে, যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতায়, চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পাঁচ জন, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াডে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ জন, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে দুটি ক্যাটাগরিতে ছয় জন, ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে তিন জন প্রত্যেককে ল্যাপটপ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামান।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান
২ বছর আগে