শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ
নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুর রহিম জানান, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আরও ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এই সংঘর্ষের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৯৪ দিন আগে
টঙ্গীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২০
গাজীপুরের টঙ্গীতে ২৮ সহকর্মীকে শোকজ ও বরখাস্তসহ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে গোরিয়ং ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা। এ সময় শিল্প পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে চা শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
শ্রমিকরা জানায়, বিনা কারণে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ২৮ সহকর্মীর কাউকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেয়। আবার কাউকে বরখাস্ত করে। মঙ্গলবার গেটে এসে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ ঝুলতে দেখা যায়। এতে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা খুলে দেয়া ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উৎপাদন বন্ধ করে বিক্ষোভ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জানান, শনিবার কিছু শ্রমিক কারখানার সুইং শাখায় নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে মারামারি করে। তাদের মধ্যে দুটি পক্ষ কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পরষ্পরের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার কারখানা বন্ধ রেখে কয়েক শ্রমিককে শোকজ করা হয়, কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি। সোমবার দুটি পক্ষ নানা দাবি তুলে উৎপাদন বন্ধ রাখে। পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
টঙ্গী শিল্প পুলিশ-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এস আলম জানান, বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এসময় তাদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানালে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে মৃদু লাঠিচার্জ ও বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে যায়। এতে শিল্প পুলিশের কমপক্ষে পাঁচ সদস্য আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
১৩৮৮ দিন আগে