সোনাইছড়িতে অবস্থিত কবির স্টিল লিমিডেটের (কেএসআরএম)
কেএসআরএমের শিপইয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত কবির স্টিল লিমিডেটের (কেএসআরএম) শিপ ইয়ার্ড সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বারবার শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ দেয়।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সোহেলা নাসরীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি কবির স্টিল লিমিডেটের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে একজন শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিক নিহতের ফলে দেশে ও বিদেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কবির স্টিল লিমিটেডের শিপ ইয়ার্ড সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এছাড়া শ্রমিক নিহতের বিষয়ে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কবির স্টিল লিমিটেডের কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন খাজা ইয়ার্ডে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকা, অদক্ষ শ্রমিক এবং অসচেতনতায় বারবার দুর্ঘটনার কারণে জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল শিল্প মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: শিল্প মন্ত্রণালয়
উল্লেখ, গত ১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাতে কবির স্টিল শিপ ইয়ার্ডে কাজ করার সময় শরীরের উপর ভারী লোহার প্লেট পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন আরিফুল ইসলাম সুজন (২৭) নামে এক কাটারম্যানের মৃত্যু হয়।
নিহত সুজন একই ইউনিয়নের বার আউলিয়াস্থ ফুলতলা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
সূত্র জানায়, ইয়ার্ডের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক, সেফটি অফিসার ও ইয়ার্ড ম্যানেজার না থাকায় এর আগে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একই অভিযোগে তিন মাসের জন্য জাহাজ আমদানি স্থগিত করেছিল।
এদিকে শিপইয়ার্ড বন্ধের পাশাপাশি শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নূরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার বিষয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কবির স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ
কমিটির আহ্বায়ক নূরুজ্জামান বলেন, আমি এখনও আদেশ হাতে পাইনি, মঙ্গলবার হাতে পেলে তদন্তের কাজ শুরু করব। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের কমিটির সদস্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাবিক মুবাররাত বলেন, কমিটির আহ্বায়ক করণীয় নির্ধারণ করবেন। ইয়ার্ড পরিদর্শনে এলে আমরা একসঙ্গে তদন্তে অংশ নেব।
২ বছর আগে