সংগীতশিল্পী
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
বাংলাদেশের কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তার স্বামী সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিন বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলা একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সরওয়ার পাপিয়াকে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
২১ নভেম্বর বরিশালের এক সংগীতপ্রেমী পরিবারে জন্ম নেওয়া পাপিয়া সরওয়ার ভারত সরকারের বৃত্তির মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীত শেখেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম এই বৃত্তি লাভ করেন।
এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে প্রখ্যাত গুরু আতিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন এবং জাহিদুর রহিমের কাছ থেকে তার প্রাথমিক সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নিয়মিত ছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ার তার বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষতার জন্য ব্যাপক প্রশংসা এবং অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞান বিতরণের জন্য গীতোসুধা নামে একটি সংগীত দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার গাওয়া আধুনিক গান 'নাই টেলিফোন নে রে পিঁও নেই রে টেলিগ্রাম' বাংলা সংগীতপ্রেমীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এছাড়া নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি।
দেশের সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ এবং ২০২১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: ম্যাজিকাল নাইট ২.০ আতিফ আসলাম: অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত এক সঙ্গীতানুষ্ঠান
১ সপ্তাহ আগে
কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
শিল্প জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেতা হতে। তবে কপালের রেখা খানিকটা পাল্টে দিয়েছেন ভাগ্যদেবতা। অভিনেতা তিনি হয়েছেন, তবে তার চেয়ে বেশি হয়েছেন সংগীতশিল্পী তারপরও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সিনেমা ও মঞ্চ নাটকের জগতে। তিনি ভারতীয় অভিনেতা, নির্দেশক, পরিচালক ও সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।
কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি আর একটি নাটকে নির্দেশনা দেবেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে।
জীবনের শেষ নাটকের জন্য অঞ্জন উইলিয়াম শেক্সপিয়রের শরণাপন্ন হয়েছেন। ব্রিটিশ নাট্যকারের ‘কিং লিয়র’কে সমকালীন প্রেক্ষাপটে পুনর্নির্মাণ করেছেন অঞ্জন। নাম দিয়েছেন ‘আরও একটা লিয়র’।
কিং লিয়রের প্রযোজনা করছেন তিনি নিজেই। নাটকে অন্ধকার একটি জগৎকে তুলে ধরেছেন তিনি।
কিং লিয়রের মেয়েদের চরিত্রে রয়েছেন যথাক্রমে সুদীপা বসু, কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্লস্টারের চরিত্রে লোকনাথ দে এবং কেন্টের চরিত্রে সুপ্রভাত দাস। এডমন্ডের চরিত্রে রয়েছেন শুভ্রসৌরভ দাস।
অঞ্জন শুরু থেকেই থিয়েটারে অভিনয়ের ক্ষেত্রে শরীরী ভাষা এবং বয়স অনুযায়ী চরিত্র নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
৭১ বছর বয়সি অভিনেতা জানান, এরপর তিনি আর নাটকে অভিনয় করতে পারবেন না।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে অঞ্জন বলেন, ‘এক সময় বাদল সরকার আমাকে তৈরি করেছিলেন। গ্যালিলিও যখন করেছি, তখন আমি মধ্য-পঞ্চাশে। কিন্তু এ বার রিহার্সাল করতে গিয়ে বুঝেছি, এরপর আর মঞ্চে অভিনয় করতে পারব না।’
কিন্তু শেষ নাটক হিসেবে ‘কিং লিয়র’কেই বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে অঞ্জন বলেন, ‘ব্রেখ্ট ও রবীন্দ্রনাথের নাটক করেছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত শেক্সপিয়র করিনি। আর কিং লিয়রের কোনো বিকল্প নেই।’
এ নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত।
বাঙালি নাট্যপ্রেমীদের কাছে কিং লিয়র হিসেবে এখনও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় উজ্জ্বল। সেখানে কোনো রকম তুলনায় যেতে রাজি নন এ নির্দেশক ও অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমার নাটকটাই আলাদা। আমার লিয়র তো বদ্ধ উন্মাদ এবং বদমায়েশ এক চরিত্র। তাই তুলনা করার অবকাশ কম। তবুও দর্শক যদি তুলনা করেন, সেটা তাদের বিষয়।’
অঞ্জন জানান, আগামী কয়েক মাসে ‘আরও একটা লিয়র’-এর বেশ কয়েকটি শো মঞ্চস্থ হবে।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন স্মরণে চালচিত্র এখন সিনেমা পরিচালনা করেছেন অঞ্জন দত্ত। সেখানে তিনি পরিচালক মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন।
সমালোচক মহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে তার এ সিনেমা। এছাড়াও রঞ্জনা আমি আসব না, দত্ত ভার্সেস দত্ত, দ্য বং কানেকশন সহ আরও কয়েকটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
৩ সপ্তাহ আগে
'গেট আপ স্ট্যান্ড আপ': শিক্ষার্থীদের প্রতি সংগীতশিল্পীদের সংহতি প্রকাশ
চলমান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে শনিবার রাজধানীতে জড়ো হন সংগীতশিল্পীরা।
প্রথমে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরবরে জড়ো হওয়া শিল্পীরা 'গেট আপ স্ট্যান্ড আপ' ব্যানারে মিছিল করে হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শিল্পীরা নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেন এবং সহিংসতা বন্ধ, হত্যাকারীদের শাস্তি ও সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া 'আওয়াজ উঠা' গানের র্যাপার হান্নানের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) প্রতিনিধিসহ সংগীতশিল্পী এবং অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড, একক শিল্পী, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী, প্রযুক্তিবিদ, সংগঠকসহ অন্যরা সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় যোগ দেন।
শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ, লতিফুল ইসলাম শিবলী, প্রবর রিপন, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল হক, সাকিব চৌধুরী, পার্থ বড়ুয়া, সুজিত মোস্তফা, শেখ মনিরুল হক টিপু, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, আসিফ আকবর, জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ হাসানুর রহমান, পান্থ কানাই, জর্জ লিংকন ডি'কস্তা, রায়েফ আল হাসান রাফা, এলিটা করিম, জোহাদ রেজা চৌধুরী, জয় শাহরিয়ার, আহমেদ হাসান সানি, জুনায়েদ ইভান, সোমেশ্বর অলি, জামশেদ চৌধুরী, এ কে রাহুল, খৈয়াম শানু সন্ধি, শেখ ইশতিয়াক, শওকত আলী ইমন প্রমুখ।
মাইলস, সোলস, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন, রেনেসাঁ, আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেট, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল, অ্যাশেজ, সোনার বাংলা সার্কাস, অ্যাভয়েডরাফা, কাকতাল, চিরকুটসহ জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো বৃষ্টিভেজা আকাশের নিচে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে যোগ দেয়।
বিশিষ্ট সংগীতপরিচালক প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমিসহ আমরা অনেকেই শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন করেছি এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে আমাদের আওয়াজ তুলেছি। শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত এবং আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া চত্বর ও বঙ্গবন্ধু সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
৪ মাস আগে
সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে সংগীতশিল্পীসহ ২ জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ছাতকে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা ব্রিজ সংলগ্ন টোল প্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিল্পী হাসান কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত দিলশাদ মিয়ার ছেলে এবং তার সঙ্গে থাকা অপর যাত্রী আব্দুস ছাত্তার একই গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একই গ্রামের লায়েছ মিয়া, রুপন মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে দোয়ারাবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাগল হাসান ও আব্দুস ছাত্তারের মৃত্যু হয়।
ছাতক ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ থানায় নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাগল হাসানের গানের মধ্যে ‘জীবন খাতা’, ‘আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু’, ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা’, ‘রেলগাড়ির ইঞ্জিন’ উল্লেখযোগ্য।
৮ মাস আগে
বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী তার উত্তরসূরী হিসেবে রেখে গেছেন দুই মেয়ে ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী আর ছেলে পঞ্চমকে। তারা গানের ভূবনে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন।
এবার সময় এসেছে এই তিন ভাই-বোনের যোগ্য উত্তরসূরী রেখে যাওয়ার। এরইমধ্যে গানের ভূবনে নাম লিখিয়েছেন সামিনা চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে ফাবাশশির তেজি খান।
অডিও ও টেলিভিশনের পর এখন স্টেজ শোতেও অল্প বিস্তর গাইছেন তেজি। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও গেয়েছেন এই তরুণ শিল্পী।
এ বছরই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মায়ের সঙ্গে স্টেজ পারফর্ম করেন তেজি। আর এবার গাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন অঙ্গরাজ্যে।
সামিনা চৌধুরী এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক স্টেজ শো এবং চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় অস্টিন অঙ্গরাজ্যে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গাইলেন তিনি। সেই মঞ্চেই তার সঙ্গে মেয়ে তেজি গাইলেন তিনটি গান।
আরও পড়ুন: শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
সামিনা চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘এ জীবনে তো কত দেশে কত স্টেজ শো করলাম, কিন্তু কিছু কিছু শো মনের মধ্যে আলাদা জায়গা করে রাখে। এবারের অস্টিনের শোটি তেমন। আমার মেয়ে আমার সঙ্গে গাইল- কবিতা পড়ার প্রহর, আমায় ডেকো না আর বাঁশি শুনে আর কাজ নেই গান তিনটি। তার গান শুনে অনেক দর্শকই বলেছেন, তেজিকে এরপর থেকে তারা নিয়মিত শিল্পী হিসেবে চায়। এটা মা হিসেবে আমার জন্য অনেক গর্বের ও আনন্দের।’
অস্টিনের শো নিয়ে সামিনা বলেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ, বরাবরই খুব ভালো দর্শক পাই। আমি যে ধরনের গান গাই বা পছন্দ করি, তেমন দর্শকই আমার গান শুনতে আসে। একক কনসার্টে তো দুই আড়াই ঘণ্টার আগে নামতেই পারি না। একের পর এক আমার মৌলিক গানের অনুরোধ আসে। এবারও তাই হয়েছে। তবে এবার গেয়েছি দুই ঘণ্টার একটু কম। আমার পরে মুজা গান করেছে। শোটি খুব ভালো ছিল। দর্শকের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। নিজের শো নিয়ে এর বেশি আর কী বলব? আপনারা বরং দর্শকদের অনুভূতি জানতে পারলে উৎকৃষ্ট হতো।’
২০২০ সালে অনেকটা হুট করেই সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন ফাবাশশির তেজি খান। সে বছর তার জন্মদিনেই ওয়ার্ল্ড মিউজিক বাংলা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় তার গাওয়া প্রথম গান ‘সংশয়’-এর ভিডিও। প্রথম গানেই দর্শকের প্রশংসা কুড়ান তিনি।
মেয়েকে নিয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই তেজি নিজের যোগ্যতায় পরিচিতি পাক। তাই তার গান নিয়ে আমি আলাদা কোনো প্রচার করি না। তবে তার গান শুনে মনে হচ্ছে ভালো করবে।’
এদিকে, সামিনা চৌধুরী এবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। অস্টিনে শো’র পর এবার তিনি গাইবেন ফ্লোরিডায়। ১৩ জানুয়ারি সেখানকার ওয়েস্ট পাম বিচে রয়েছে সামিনার শো। এরপর চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালের বিচার কাজ করবেন।
কাজের ফাঁকে দেশটি ঘুরে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন এই নন্দিত সংগীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
১১ মাস আগে
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
উপস্থাপক রাফসান সাবাব বর্তমানে আলোচনায় আছেন তার বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে। স্ত্রী সানিয়া এশার সঙ্গে তার তিন বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন সম্প্রতি। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার কারণ জেফারের সঙ্গে রাফসানের সম্পর্ক।
অন্যদিকে, এশা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। তবে রাফসান আমার অনুমিত ছাড়াই এমনকি ডিভোর্স লেটারে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে।’
এবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন জেফার।
আরও পড়ুন: হোম বিনোদন অন্যান্য জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে: নচিকেতা
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে চলতে চাই। কারণ কথায় আরও কথা বাড়ে। কিন্তু এই ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসান আমার বন্ধু। আর সামাজিক মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তাই বিশ্বাস করবেন না। কেউ আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, সেটি আবার কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই, এর মানে এই নয় যে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে।’ উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান রাফসান।
তিনি লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ ছিল না, কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পর দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথচলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’
আরও পড়ুন: হেমন্তের সন্ধ্যায় কোক স্টুডিওর সুরে মাতল ঢাকা
সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
১ বছর আগে
নিবিড় কুমারের শারীরিক অবস্থা উন্নতি দিকে
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কানাডার টরেন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড়ের মাথা ও চোখের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে কুমার বিশ্বজিতের চাচাতো ভাই অভিজিৎ দে লিখেছেন, ‘সবাই নিবিড় বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।’
আরও পড়ুন: সঙ্কটাপন্ন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়
চিকিৎসক সূত্রে জানানো হয়, নিবিড়ের মস্তিষ্কের এমআরআই সম্পন্ন হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন তিনি। সেখানে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
তবে অভিজিৎ দে জানান, আগামীকাল নিবিড়ের কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা খুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। যেন সে স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারে। পরবর্তীতে নিবিড় কুমারের আরও একাধিক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেবেন।
কুমার বিশ্বজিতের পরিবারের বরাত দিয়ে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড়ের সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। যারা সবাই নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। এই তিনজনের লাশ বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বই মেলা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস: দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা
‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
১ বছর আগে
আবারও আসিফ-লগ্নজিতার মেলবন্ধন
সংগীতশিল্পী আসিফ আলতাফ কণ্ঠ-সুরে বৈচিত্র্য আনতে প্রায়শই আশ্রয় নেন দুই বাংলার অসাধারণ সব শিল্পীর।
সেই ধারাবাহিকতায় এবারের দুর্গাপূজায় প্রকাশ পেয়েছে ‘প্রেমে পড়ি’ শিরোনামে নতুন এক গান। যেখানে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার এই সময়কার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী। দু’জনের এটা দ্বিতীয় গান।‘প্রেমে পড়ি’ প্রসঙ্গে আসিফ আলতাফ বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে এই প্রথম কোনও গান করলাম। লগ্নজিতার সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় গান। অত্যন্ত কো-অপারেটিভ আর অবশ্যই দারুণ গায়কী। আশাকরি গানটি শ্রোতারা পছন্দ করবেন।’
আরও পড়ুন: আরিয়ানকে সিনেমার প্রস্তাব দেন শাকিব খানএদিকে কলকাতা থেকে লগ্নজিতা বলেন, ‘আমি আর আসিফ আলতাফ মিলে আরও একটি গান করলাম। আমার খুব ভালো লেগেছে গানটা। আমার বিশ্বাস আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে।’সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা ও আসিফ আলতাফের ‘কাঁটাতার’ শিরোনামের গানটি দুই বাংলায় দারুণ প্রশংসিত হয়।এর আগে আসিফ আলতাফের ‘জুতো’ গানটিও সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। গত বছর লকডাউনে লগ্নজিতার সঙ্গে ‘দূরত্ব’ গানটি মহামারিতে বিষণ্ণ মানুষের প্রাণ ছুঁয়ে দেয়।
ন্যান্সির সঙ্গে আলতাফের গাওয়া ‘সুবহে সাদিক’ গানটিও শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমি শান্ত ও ভদ্র একটা মেয়ে: পূজা
ইরানে বিক্ষোভ: সমর্থন জানাতে চুল কাটলেন অস্কার বিজয়ীরা
২ বছর আগে
ঈদের বিশেষ ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনায় এইচ এম রানা
চার দশক ধরে প্রচার হয়ে আসছে সিনেমার গান নিয়ে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’। এই আয়োজনের উপস্থাপনায় ছিলেন দেশ বরেণ্য অনেকে। আর প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় ঈদ মানেই ‘ছায়াছন্দ’র বিশেষ পর্ব।
আসন্ন ঈদে বিশেষ ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনা করবেন সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক এইচ এম রানা।
অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষ আমাকে যেই সুযোগ আর সম্মান দিয়েছেন তাতে আমি ভীষণ আপ্লুত ও অনুপ্রাণিত। ইতোমধ্যে বিটিভির নিজস্ব অডিটরিয়ামের বিশাল এক সেটে এর রেকডিং ও শুটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
এইচ এম রানার গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় এবং সৈয়দা ফারহানা হাসানের প্রযোজনায় ছায়াছন্দ অনুষ্ঠানটি বিটিভির ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন: বলিউড: অবশেষে গাঁটছড়া বাঁধলেন রণবীর, আলিয়া!
১৮ বছরে পা দিলো শিশুদের প্রিয় সিসিমপুর
২ বছর আগে
দ্বিতীয়বার গ্র্যামি জিতলেন জ্যাজমিন সুলিভান
দ্বিতীয়বারের মতো গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন জনপ্রিয় আমেরিকান সংগীতশিল্পী জ্যাজমিন সুলিভান। রবিবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে ‘হিউক্স টেলস’-এর জন্য সেরা আরএন্ডবি অ্যালবাম জিতে নেন সুলিভান।
৩৪ বছর বয়সী সুলিভান পুরস্কার নিতে গিয়ে বলেন,‘আমি মনে করি এই দশকে নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার নিজের লজ্জার মুখোমুখি হতে এই অ্যালবামটি লিখেছি।এটি ছিল কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের গল্প বলার একটি নিরাপদ স্থান।’
এর আগের রবিবার সুলিভান ‘পিক আপ ইওর ফিলিংস’এ সেরা পারফরম্যান্সের জন্য তার প্রথম গ্র্যামি জিতে নেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে রবিবার একটি ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিপক্ষে সমর্থন চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিতে আরও সময় চায় এনসিবি
২ বছর আগে