একুশে ফেব্রুয়ারি
শহিদ মিনারে বিএনপির ‘অপকর্মের ভিডিও করায়’ সাংবাদিককে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটানোর ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নাসিরনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের দিকে আঙুল তুলেছেন গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক।
একুশের প্রথম প্রহরে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শহিদ দিবদের সংবাদ সংগ্রহ করতে তিনি গতরাতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটাতে থাকেন। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির উদ্দিন ও তার সমর্থকরা তার দিকে তেড়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এ সময় বশির আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারাসহ অন্যান্য বিএনপিকর্মীরা রড, চাপাতি নিয়ে আমার ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
অপরদিকে, জেলার বিজয়নগর উপজেলায় শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দলটির দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ এ বিষয়ে জানায়, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মহসিন ও শাহ আলম গ্রুপ একসঙ্গে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষ ঘটে।
বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৯ দিন আগে
আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
একুশের চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবারও কোনো ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, কোনো ধরনের ডিক্টেটরের উত্থান ঘটে, তাহলে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এদেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি যে- ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে এমন একটি চেতনা, এমন একটি বৈপ্লবিক আদর্শ যা আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে, যেটাকে কখনোই ধ্বংস করা যায় না, কখনও ম্লান করা যায় না। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী মানুষ এবং আমাদের সমাজ-সংসার যতদিন থাকবে, ততদিন একুশ আমাদের সাহস যোগাবে এবং লড়াই করতে উদ্ধুব্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘একুশ মানে অধিকারের সংগ্রাম, একুশ মানে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। এটি ছিল জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম সোপান, এই ভাষা আন্দোলনের সোপান পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের দিকে। আমাদের মহা অর্জন—স্বাধীনতা লাভ করেছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যখনই আমরা স্বৈরাচারের কবলের মধ্যে পড়েছি, যখন দেশে গণতন্ত্রহারা মানুষ বন্দিশালার মধ্যে বাস করেছে, তখন ৫২ আমাদের উদ্ধুব্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণা জাগরিত করেছে— কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
‘একুশের প্রেরণাতে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি, অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, তার মধ্য দিয়ে সেই ভয়ংকর নিপীড়ক এবং রক্তপিপাসু স্বৈরাচার, ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ সরকার তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (রয়েছে)। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নির্বাচন করা। তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে; বিভিন্ন সংস্কার আছে। যেটা প্রয়োজনীয় সংস্কার, সেটা যে সময় আছে সেই সময়ে করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে, যে দেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে আজকে যাদের ১৮ বছর, একুশ বছর বয়স—তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তারা জানে না। কারণ (গত) ১৭ বছর ভোট হয়েছে আপনার চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে; ভোটকেন্দ্রে দিনের ভোট রাতে করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, ভোট ধ্বংস করেছে। এগুলো থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।’
জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার না পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন— এই বিতর্কে আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। বরং এই সরকারকে প্রথমেই জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে তারাই নির্ধারণ করবে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।’
‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান জিতেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছে। বিএনপির সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করায় বিরোধীরা জিতেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেটা হয়নি।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু নেতা বা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখছেন যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন— এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দল বিএনপির অবস্থান নয়— এই কথাটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম।’
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর নিউ মার্কেটের কাছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশাল প্রভাতফেরি আজিমপুর কবরস্থানে যায়। সেখানে ভাষা শহিদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করে বিএনপির প্রভাতফেরিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসে। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। এরপর রিজভীর নেতৃত্বে শহিদ মিনারের বেদিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়নসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ দিন আগে
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি রাত আটটা থেকে শহীদ মিনার চারপাশে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ভিতরে গোয়েন্দা পুলিশসহ ইউনিফর্ম পুলিশের মোবাইল টিম তৎপরতা শুরু করবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার চত্বর এলাকায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বিকেল ৫টায় এবং এরপর রাত ৯ টায় গোয়েন্দা পুলিশসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে। তারা শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দিবসটিকে ঘিরে প্রথম প্রহর থেকেই ভিআইপিসহ জনসমাগম হবে। এজন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা ১২টা ৪০ মিনিটের পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসবেন। এ সময় মোবাইল ও মানিব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিজ দায়িত্বে রাখবেন। এছাড়া কোনো ধরনের ধার্য পদার্থ ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করা থেকে বিরত থাকবেন। সবাইকে শহীদ মিনারে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শহীদ দিবস ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। এ সময় তিনি জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কার বিষয়ক নাকচ করে দেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে রয়েছে তাদের নিয়েও কোনো থ্রেট দেখছে না ডিএমপি।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
সাজ্জাদ আলী বলেন, এখানে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনো ইন্টারেস্ট থাকার কথা না এবং তাদের অপারেশন এলাকাও না। তারপরও যারা জামিনে আছে তাদেরকে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
৩১ দিন আগে
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে পালিত হবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
রিজভী জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের দল ২০ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আযোজন করবে।
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবেন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবেন।
ওইদিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির কয়েকটি ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
১১২৯ দিন আগে