ফার্মেসী
আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু ইয়াসিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) দূর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত দুই দিন যাবত ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগে থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ঔষধের দোকান ‘মা ফার্মেসী’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পরই দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বসতঘরে আগুন লেগে গৃহবধূর মৃত্যু
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই ঔষধের দোকান ‘মা ফার্মেসী’ মালিক মাঈন উদ্দিন পলাতক রয়েছে। সিরাপটির মোড়কে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১টায় শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঔষধের সিরাপটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে গণপিটুনীতে ‘গরু চোরে’র মৃত্যু
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ শহরের এক ফার্মেসীর দোকান থেকে ওই নারীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শাহনাজ পারভীন জোৎস্না (৩৫) উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরুক মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সুত্র জানায়, গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফার্মেসীতে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এদিকে নিহতের ছোট ভাই তাঁর বোন বাসায় ফিরেনি জানতে পেরে ওই ফার্মেসীতে যান সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে। তখন ফার্মেসী বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফার্মেসীর মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপকে মোবাইলে কল দিলে সে জানায়, তাঁর বোন ঔষধ না পেয়ে চলে গেছেন। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে অন্য এক নারী ফোন রিসিভ করে একেক সময় একেক কথা বলে বিভ্রান্ত করতে থাকেন। পরে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাতভর বিভিন্ন স্থানে যোগযোগ করেও শাহনাজের সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথপুর নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ তালাবদ্ধ অভি ফার্মেসীর তালা ভেঙে দোকানে অভিযান চালায়। এসময় বিছানার চাঁদর দিয়ে মুড়ানো অবস্থায় ওই নারীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপ ও তাঁর পরিবার পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ছোট ভাই হেলাল মিয়া বলেন, তিনি এই নৃশংস হত্যার বিচার চান। হেলাল জানান, তাঁর বোন জামাই দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন। বোনের পরিবারের সঙ্গে তিনি শহরে বসবাস করেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাল থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে