দূত
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেছেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা তৈরিতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলো ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঝুঁকি এবং তাদের বিনিয়োগ ও অংশীদারদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রমশ কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠছে।’
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে বা এড়ানোর জন্য কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠছে।
রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে নয়, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয়ভাবেও সকলের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-সিউল
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বিপর্যয়ের ফলে কোরিয়া ও বাংলাদেশসহ অনেক দেশই সমস্যায় পড়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই নজিরবিহীন ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের সকলকে আগের চেয়ে আরও বেশি পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হবে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টার যৌথভাবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর: প্রবণতা ও দিকনির্দেশনা’ বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
এশীয় পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) এর চেয়ার চার্লস সান্তিয়াগো বলেছেন, মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূত প্রাক সোখনকে নিশ্চিয়তা দিতে হবে যে তিনি অং সান সু চি, ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নেমেন্ট (এনইউজি), সুশীল সমাজ ও দেশটির সকল অংশীজনদের সাথে দেখা করবেন।
মিয়ানমার সম্পর্কে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে শুক্রবার সান্তিয়াগো বলেছেন, ‘আমরা পাঁচ দফায় ঐক্যমতের জন্য জান্তাকে দায়বদ্ধ রাখার বিষয়ে আসিয়ানের অবস্থানকে সম্মান করার জন্য কম্বোডিয়ার অবস্থানকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
এপিএইচআর চেয়ার বলেছেন, তারা মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহর মন্তব্যের দ্বারাও উৎসাহিত হয়েছেন। যিনি আসিয়ানের বিশেষ দূতকে এনইউজি এবং জাতীয় ঐক্য পরামর্শ পরিষদের (এনইউসিসি) প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এপিএইচআর চেয়ার বলেন, আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রতিনিধি ছাড়াই মিলিত হয়েছে। তবে আসিয়ানকে অবশ্যই মিয়ানমার সংকটের জন্য একটি অর্থবহ এবং সমন্বিত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, যা মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে আটক অর্ধশতাধিক
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই ত্বরান্বিত করতে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার
২ বছর আগে