জাতীয়তাবাদী
‘ভাষার স্পষ্ট ব্যাখ্যা’ মহামারির সময় গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনা মহামারির সময়ে ভাষা ও অভিব্যক্তির ‘স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন’ ব্যাখ্যার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিশ্বের কোনো কোনো নেতা যেখানে জাতীয়তাবাদী/সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে মহামারিকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মতো নেতারা এ সময়ে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সংহতি, এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিয়েছেন।
কুয়ালালামপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স, টেলরস্ ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ‘মহামারী ও ভাষা’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। হয়। এ উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
ইভেন্টটি একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভাষাকে একত্রিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সারমর্মকে প্রতিফলিত করে।
মালদ্বীপের কলা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়কমন্ত্রী ইউমনা মামুন তার ভিডিও বার্তায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের কথাও স্মরণ করেন।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের চেতনাকে বহন করে।
টেলরস ইউনিভার্সিটির নির্বাহী ডীন প্রফেসর ড. লীথিয়ানান্থন আরি রাগাভান বলেন যে, ভাষা-সৃষ্ট যোগসূত্র সংস্কৃতির দেয়াল পেরিয়ে যেতে পারে । তিনি আরও বলেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলমান মহামারি কাটিয়ে উঠতে হলে ভাইরাসের ভাষা, রাষ্ট্রের ভাষা এবং জনগণের ভাষার মধ্যে মেল-বন্ধন তৈরির কোন বিকল্প নেই।
পড়ুন: সিমলা সংলাপ: আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ঢাকার
২ বছর আগে