দ্রব্য
ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আমদানি করেছে। বেনাপোল বন্দরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিস্ফোরকের ট্রাকগুলো ঘিরে রেখেছেন। আশপাশের এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হোসেন জানান, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল কারিম জানান, খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি আরও জানান, দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
১১ মাস আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট গৃহীত হলে, তামাকজাত দ্রব্য আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তুলনায় সস্তা হবে। বৃহস্পতিবার তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) বাজেট পেশ পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞা বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেট যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করবে, যা প্রকারান্তরে তামাকজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতার কারণ হবে এবং এর ফলে সরকারের জনস্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে, প্রজ্ঞা বলে যে এর কারণে সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব হারাবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের তামাকমুক্ত বাংলাদেশের বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ)। এই স্তরের করহার প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্যস্তর বাড়ানোর কারণে বর্ধিতমূল্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তামাক কোম্পানির পকেটে চলে যাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা (৩ দশমিক ০৮ শতাংশ), উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে ১১৩ টাকা (১ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা থেকে ১৫০ টাকা (৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ) নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে প্রতি দশ গ্রাম জর্দা ও গুলের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৫ টাকা ও ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিড়ির দাম ও করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে তামাক কোম্পানি!
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেশের ৮টি মহানগরীর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গড় খুচরা মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২২ সালের (৭ মার্চ) তুলনায় ২০২৩ সালে (৭ মার্চ) খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগির দাম ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির দাম ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ডিমের দাম ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, গুঁড়ো দুধের দাম ২১.২ শতাংশ, মসুর ডালের দাম ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকপণ্যের দাম নামমাত্র বাড়ানো অথবা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখলে থাকা কমদামি সিগারেটের মূল্যস্তর বা খুচরামূল্য সামান্য পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে এই স্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য আমদানির সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্ত করার মাধ্যমে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। চূড়ান্ত বাজেটে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ১৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে, দীর্ঘমেয়াদে ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সিগারেট খাত থেকে গতবছরের তুলনায় সরকারের ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। এই বাড়তি রাজস্ব আইএমএফ এর ঋণ শর্ত পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
১ বছর আগে
দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেট: বিএনপি
সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের অভাবে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকশ’ গুণ বেড়েছে। তাদের নিজেদের (ক্ষমতাসীন দলের) লোকজনের মার্কেট সিন্ডিকেট এটা করেছে।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হলেও নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সরকার দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন বৃদ্ধি, অপশাসন, জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।’
গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে আরও গরিব করেছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তার মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে না। আপনার যখন কিছুই করার নেই তখন দেশ চালায় কে? কোনো অদৃশ্য শক্তি কি দেশ চালাচ্ছে?
আরও পড়ুন: সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই না।
তিনি বলেন, ‘এটা দেশের বেকার, অর্ধাহারী ও অনাহারী মানুষের সঙ্গে মন্ত্রীর নিষ্ঠুর তামাশাও।’
জনগণের সমস্যা মোকাবিলা করতে না পারলে সরকার কেন বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকে সে বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
রিজভী বলেন, ‘যোগ্য সরকার যখন মানুষের জন্য কিছু করতে পারে না বা ব্যর্থ হয়, তখন পদত্যাগ করে। এটি গণতান্ত্রিক বিশ্বের একটি নিয়ম। কিন্তু আপনারা (সরকার) অবৈধ সংসদের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে ক্ষমতায় এসেছেন।’
তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির পাঁচ বছরের শাসনামলে দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়া মন্তব্যের জন্য নিন্দা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (জয়) বলেননি যে আওয়ামী লীগ কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে...তার মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি একটি অদ্ভুত প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন। মি. জয় উদ্ভট তথ্য প্রদানের প্রধান শিক্ষক।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
২ বছর আগে