গণতান্ত্রিক
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত। কারণ শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খাদ্যমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে আয়োজিত জনসভায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশকে বিক্রি করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সিলেটে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। সিলেট নগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
১০ মাস আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার এবং বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) যৌথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় তথ্য ও কৌশল সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে এটি কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও কৌশল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টিতে স্থান পাওয়ায় সাকিব জামালকে মার্কিন দূতাবাসের অভিনন্দন
অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজেআইএম বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত অংশগ্রহণমূলক সেশনগুলো প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গতিশীল ও তথ্যপূর্ণ বিনিময়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসেবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে।
যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১০ মাস আগে
পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অলমগীর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের অবস্থানে অটল। অর্থাৎ পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই ঘটেনি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দুর্গাপূজার পর বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন শুরু করবে।
ফখরুল বলেন, এটা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এটাকে সরকার বলা যাবে না। কারণ শাসক হিসেবে তারা (সরকার) তিনবার ক্ষমতায় থাকা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে তাদের শত্রু ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তার মানে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে পারে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইন অমান্য করে নরসিংদীর ছাত্রদলের দুই নেতাকে কমান্ডো স্টাইলে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
তারা এখন বলছে, পর্দার আড়ালে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। আপনি কেন বারবার এই কথা বলছেন? কারণ, আসলে কিছুই ঘটেনি।
ফখরুল বলেন, সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্পষ্টভাবে তাদের (সরকারকে) পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছে।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
দুপুর ২টার দিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদের দেওয়া জুস পান করে অনশন ভাঙেন ফখরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী ও অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জুস খাওয়ান।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো: ফখরুল
১ বছর আগে
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের
অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক ও নিপীড়নমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপূজা এবং আসন্ন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে তাদের সহকর্মী, সদস্য ও স্বজনদের কল্যাণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন নির্বাচনের সময় হিন্দুদের সুরক্ষায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. মোমেন ধর্মীয় শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মূল্যবোধ রক্ষায় তার সমর্থন ও অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ ও প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের যুক্তরাজ্যে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির পাশাপাশি দেশের অর্জনের প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানান।
হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন তাদের আত্মীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি পিটিশন হস্তান্তর করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রবিন পাল, ভাইস চেয়ারম্যান, হারাধন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রশান্ত কুমার দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান, সুজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বজিৎ দে, কোষাধ্যক্ষ, কঙ্কন কান্তি ঘোষ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ, বাপ্পি দাম, মহিলা সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্জুন কুমার দত্ত, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সচিব, বিনোদন সম্পাদক সুশান্ত কুমার হালদার ও সদস্য ডা. দেবব্রত চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
১ বছর আগে
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা: আনু মুহাম্মদ
নদী রক্ষা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা। কিন্তু যারা নদী দখল করে, তারা বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। তাই এটি রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় আসেনা। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপ দিতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘দখলের গ্রাসে সুটকি নদী’র ২৬ কিলোমিটার: ৫০ বছরে নদী লুট ঠেকাতে নাগরিক আহ্বান’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সুটকি নদী দখলদারিত্বের একটি প্রতিনিধিত্ব মাত্র। সারা দেশে এমন আরও বহু ঘটনা ঘটছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, নদীকে দেখার জন্য আমাদের আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সেরকমভাবে তৈরি হয়নি। শীতলক্ষ্যার পাড়ে আমরা এখনও দেখছি শুধু সিমেন্ট কারখানা।
তিনি বলেন, জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গেও নদী দখল জড়িত। কিছুদিন আগে এক মন্ত্রী বললেন যে এত চওড়া নদীর দরকার নেই। নদী ভরাট করে জমি বানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে নদী নিয়ে আন্দোলনকারীকে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে এদেশে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সামগ্রিক নদী প্রশাসনের অবস্থা বেশ ঘোলাটে। ভরাট, দখল, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সবই যেন টাকার খেলা। নদী রক্ষা করতে হলে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আইনের অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। কিন্তু সংসদে নদীর স্বার্থের পরিপন্থী কোনো আইন এখনও পাশ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষা কমিশনের তেমন ক্ষমতা নেই, ফান্ডও নেই। প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের দখল থেকে উদ্ধারকাজও ঠিকমতো হয়নি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক প্রধান নির্বাহী শীপা হাফিজা বলেন, সুটকি দখলদারিত্বে লোকটির দূরদর্শিতা আছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমাদেরকে এসব দখলদারিত্ব উচ্ছেদে নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, নোঙর, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও ইনিশিয়েটিভ ফর পিস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ও ইনিশিয়েটিভ ফর পিস এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
তিনি ২৩মে কে ‘জাতীয় নদী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, নদীভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও শিশুদের মধ্যে নদী সচেতনতা সৃষ্টিতে গবেষণা প্রচলনের ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, আরডিআরসি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, নোঙর বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান সুমন শামস্ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী
নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের ধারার স্বার্থে দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কেবল গণতান্ত্রিক ধারার মাধ্যমেই সম্ভব। এটা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।’
বুধবার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে উন্নয়ন চলছে কারণ দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে, স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করতে পেরেছি। সে কারণেই আমরা এই সফলাতা পেয়েছি।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে (২১ বছর পর) সাফল্যের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এখন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার জন্য (ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে) সবকিছুর দাম বেড়েছে যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আফ্রিকার দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের আগামী দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
তিনি তাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার ও গন্তব্যে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বলেন।
তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য কাজ করতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেন, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিশরে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম, মরিশাসে হাইকমিশন রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ায় হাইকমিশন মাসুদুর রহমান, আলজিয়ার্সে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন, কেনিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক আহমেদ, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার এবং সুদানে রাষ্ট্রদূত তারেক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যোগ দিন: দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য ‘শুধুমাত্র তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সাহায্য করার উপায়’।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, তারা অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে নতুন ভিসা নীতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশি জনগণ, বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে যারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থনে তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে তারা এটি (ভিসা নীতি) করেছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠকটি তাদের নিয়মিত বৈঠকের অংশ। ‘আমরা ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন।
আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে তাদের জন্য ভিসা সীমিত করার নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’
১ বছর আগে
‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক ধারা এবং নির্বাচিত সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রমনা বটমূলে (রমনা পার্ক)গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সদ্য সমাপ্ত ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে বাংলাদেশ উন্নয়নের এই স্তর অর্জন করতে পারত না।
প্রকল্পগুলো ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গণপূর্ত বিভাগ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ পালাবে না, বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র গণতন্ত্র ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশ ও জনগণের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আজ জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই (এ ধরনের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা) সম্ভব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে কাজ করায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে জনগণ উন্নয়ন দেখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা সবাই গত ১৪ বছরে (২০০৯-২০২৩) বাংলাদেশে যে পরিবর্তন দেখেছেন তার দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কারণে।’
অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
১ বছর আগে
একুশের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান টিআইবির
অধিকার আদায়ের যে মহান চেতনায় একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মদান, তার মূলে রয়েছে বৈষম্য, শোসন, অন্যায় আর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে চিরজাগরুক স্বত্ত্বার সংগ্রামী বহিঃপ্রকাশ। একুশ সমস্ত অন্যায়, অবিচার, শোষণ বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা যোগায়। একুশের অবিনশ্বর এই চেতনা ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণহীন, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এদেশের আপামর জনগণ বারবার অন্যায়, অবিচার আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। একুশের পথ বেয়েই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতার গৌবরদীপ্ত সূর্যকে। হার না মানা দৃঢ়তায় অশুভকে রুখে দেয়ার প্রেরণা আমরা একুশ থেকেই পাই। একুশ যেমন আবেগের, তেমনি সংগ্রাম ও দ্রোহের। যেকোনো অন্যায়, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে সমন্বিত প্রতিবাদের প্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে অনন্য প্রেরণার উৎস।’
‘দুর্নীতি একুশের চেতনার পরিপন্থী’ সবাইকে সেই চেতনা ধারণ করে দুর্নীতি রুখে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
তিনি বলেন, ‘একুশের চেতনায় প্রিয় স্বদেশ হোক গণতান্ত্রিক, সুশাসিত, দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমুক্ত। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে চাই সকলের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘একুশের যে চেতনা আর দৃপ্ত শপথের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, দুর্নীতির সর্বব্যাপী বিস্তৃত অক্টোপাস সেই অর্জন ভূলুন্ঠিত করছে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, ভয়মুক্ত সমাজ বিনির্মাণের যে শপথ, তা বিনষ্ট করছে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশের প্রায় একই অবস্থানে আটকে থাকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থান তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শুন্য সহশীলতা’র ঘোষণা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার প্রকাশ হলেও, এর প্রয়োগে ঘাটতি থাকায়, বাস্তবে তা ঘোষণাতেই আটকে আছে। বিশেষ করে, এই ঘোষণা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত মহল ও প্রতিষ্ঠানসমূহে দুর্নীতির যোগসাজশ, সহায়তা কিংবা সুবিধাভোগীদের প্রভাবে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর তার ফলে একুশের চেতনায় সুশাসিত স্বদেশ গড়ার সম্ভাবনা ধূলিস্যাত হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কার্যকর বাস্তবায়নে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই হবে একুশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
২ বছর আগে