গণতান্ত্রিক
‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে ভারত’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটিই বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।’
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ ও স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের (ভারতের) দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।’
‘ভারত জোর দিয়ে বলছে যে, বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, যোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ভারত। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্যই এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।’ অবশ্য পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক ভারতের অবস্থান জানতে চাইলে মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এই ইস্যুতে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পোস্ট সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জেনেছি। জনসম্মুখে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আমরা সতর্ক থাকার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যখন বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বারবার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’
জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে এমন সব ঘটনা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নেই এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
১ দিন আগে
বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সবার জন্য বাসযোগ্য ও উপভোগযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সবাই মিলে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার সমাজের ভিত্তির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করি। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁও এলজিইডি মিলনায়তনে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে একটি পৃথক পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য একটি মর্যাদাশীল, যোগ্য ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে তার দল বদ্ধপরিকর বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
তারেক বলেন, ‘আমি এবং আমার দল বিএনপি স্বীকার করছে যে, আপনাদের সমস্যা ও দুর্ভোগ বাস্তব ও গভীর। কিন্তু আপনাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই লড়াইয়ে আপনি একা নন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। আপনাদের প্রতিবন্ধকতাই আমাদের বাধা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে ফেলে আমরা কখনো সামনে এগোতে পারব না।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি প্রতিবন্ধীসহ সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ‘আমরা সবাই মিলে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তা সবার জন্য সুষ্ঠু, সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য হবে।’
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাই, বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে আমি এ ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি।
রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা অন্বেষণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহযোগিতা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের সমাজ ও পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনারা দেশকে এগিয়ে নিতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।’
তিনি চারজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অনুপ্রেরণামূলক গল্পও তুলে ধরেন। যারা তাদের স্বপ্নগুলো উপলব্ধি করেছিলেন এবং শারীরিক ও অন্যান্য বাধা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, এই চারজন আমাদের দেখিয়েছেন যে সত্যিকারের ক্ষমতা শরীর দিয়ে পরিমাপ করা হয় না, বরং মনের শক্তি, ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পরিমাপ করা হয়। তাদের গল্পগুলো আমাদের শেখায় যে 'বাধা' কেবল একটি শব্দ যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা যায়। আমাদের কর্তব্য তাদের সংগ্রামকে সম্মান করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠার এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না বা পেছনে পড়ে থাকবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলব, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবার অধিকার নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে তার দল বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা দূর করা, বর্তমানে তারা যে বৈষম্যের শিকার তা দূর করা এবং তাদের সার্বিক কল্যাণ উন্নয়নে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।
প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগ্রাম পরিষদের (পিএনএসপি) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে দেড় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা পারিবারিক ও সামাজিক অসুবিধা থেকে শুরু করে পরিবহন বাধা, সরকারি পরিষেবাগুলো ব্যবহারের সুযোগের অভাব, সীমিত শিক্ষার সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের মতো বিষয়গুলোর মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
তারা তাদের প্রতি নেতিবাচক সামাজিক মনোভাব এবং তারা প্রায়শই যে বর্জনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তাও তুলে ধরেছিল।
এছাড়া বিশেষ ভাতা বৃদ্ধি, মানসম্মত ও ঝামেলামুক্ত শিক্ষা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সরকারি সেবা ও অফিসে সহজলভ্য প্রবেশাধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী পরিবহন ও সেবা চালু, সরকারি স্বীকৃতি ও ইশারা ভাষার ব্যবহার, তাদের অধিকারের জন্য বিশেষ কমিশন গঠন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন-২০১৩' সময়োপযোগী করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে তাদের সমস্যা সমাধান, মূল্যবান মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে বাংলাদেশে জবাবদিহিতার সরকার চান তারেক রহমান
১ সপ্তাহ আগে
গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ চায় যুক্তরাজ্য
জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভের ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনাকে ‘আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ জনগণের সাহসিকতার স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের আহ্বান জানায়।’
তিনি বলেন, ‘আজ যেসব রোগীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, যুক্তরাজ্যের ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম হাসপাতালের টিমের সঙ্গে কাজ করে প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা দিচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যের ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম নিটোরের যেখানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিচ্ছে, সে জায়গাটি পরিদর্শন করেন সারা কুক।
অভিজ্ঞ এই দলটি গত ৫ নভেম্বর থেকে বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি জটিল অস্ত্রোপচারসহ ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন সেবাও দিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী: অধ্যাপক ইউনূস
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত। কারণ শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খাদ্যমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে আয়োজিত জনসভায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশকে বিক্রি করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সিলেটে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। সিলেট নগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
১১ মাস আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার এবং বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) যৌথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় তথ্য ও কৌশল সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে এটি কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও কৌশল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টিতে স্থান পাওয়ায় সাকিব জামালকে মার্কিন দূতাবাসের অভিনন্দন
অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজেআইএম বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত অংশগ্রহণমূলক সেশনগুলো প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গতিশীল ও তথ্যপূর্ণ বিনিময়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসেবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে।
যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১১ মাস আগে
পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অলমগীর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের অবস্থানে অটল। অর্থাৎ পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই ঘটেনি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দুর্গাপূজার পর বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন শুরু করবে।
ফখরুল বলেন, এটা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এটাকে সরকার বলা যাবে না। কারণ শাসক হিসেবে তারা (সরকার) তিনবার ক্ষমতায় থাকা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে তাদের শত্রু ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তার মানে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে পারে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইন অমান্য করে নরসিংদীর ছাত্রদলের দুই নেতাকে কমান্ডো স্টাইলে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
তারা এখন বলছে, পর্দার আড়ালে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। আপনি কেন বারবার এই কথা বলছেন? কারণ, আসলে কিছুই ঘটেনি।
ফখরুল বলেন, সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্পষ্টভাবে তাদের (সরকারকে) পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছে।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
দুপুর ২টার দিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদের দেওয়া জুস পান করে অনশন ভাঙেন ফখরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী ও অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জুস খাওয়ান।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো: ফখরুল
১ বছর আগে
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের
অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক ও নিপীড়নমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপূজা এবং আসন্ন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে তাদের সহকর্মী, সদস্য ও স্বজনদের কল্যাণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন নির্বাচনের সময় হিন্দুদের সুরক্ষায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. মোমেন ধর্মীয় শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মূল্যবোধ রক্ষায় তার সমর্থন ও অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ ও প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের যুক্তরাজ্যে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির পাশাপাশি দেশের অর্জনের প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানান।
হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন তাদের আত্মীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি পিটিশন হস্তান্তর করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রবিন পাল, ভাইস চেয়ারম্যান, হারাধন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রশান্ত কুমার দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান, সুজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বজিৎ দে, কোষাধ্যক্ষ, কঙ্কন কান্তি ঘোষ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ, বাপ্পি দাম, মহিলা সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্জুন কুমার দত্ত, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সচিব, বিনোদন সম্পাদক সুশান্ত কুমার হালদার ও সদস্য ডা. দেবব্রত চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
১ বছর আগে
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা: আনু মুহাম্মদ
নদী রক্ষা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা। কিন্তু যারা নদী দখল করে, তারা বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। তাই এটি রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় আসেনা। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপ দিতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘দখলের গ্রাসে সুটকি নদী’র ২৬ কিলোমিটার: ৫০ বছরে নদী লুট ঠেকাতে নাগরিক আহ্বান’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সুটকি নদী দখলদারিত্বের একটি প্রতিনিধিত্ব মাত্র। সারা দেশে এমন আরও বহু ঘটনা ঘটছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, নদীকে দেখার জন্য আমাদের আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সেরকমভাবে তৈরি হয়নি। শীতলক্ষ্যার পাড়ে আমরা এখনও দেখছি শুধু সিমেন্ট কারখানা।
তিনি বলেন, জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গেও নদী দখল জড়িত। কিছুদিন আগে এক মন্ত্রী বললেন যে এত চওড়া নদীর দরকার নেই। নদী ভরাট করে জমি বানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে নদী নিয়ে আন্দোলনকারীকে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে এদেশে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সামগ্রিক নদী প্রশাসনের অবস্থা বেশ ঘোলাটে। ভরাট, দখল, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সবই যেন টাকার খেলা। নদী রক্ষা করতে হলে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আইনের অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। কিন্তু সংসদে নদীর স্বার্থের পরিপন্থী কোনো আইন এখনও পাশ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষা কমিশনের তেমন ক্ষমতা নেই, ফান্ডও নেই। প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের দখল থেকে উদ্ধারকাজও ঠিকমতো হয়নি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক প্রধান নির্বাহী শীপা হাফিজা বলেন, সুটকি দখলদারিত্বে লোকটির দূরদর্শিতা আছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমাদেরকে এসব দখলদারিত্ব উচ্ছেদে নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, নোঙর, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও ইনিশিয়েটিভ ফর পিস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ও ইনিশিয়েটিভ ফর পিস এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
তিনি ২৩মে কে ‘জাতীয় নদী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, নদীভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও শিশুদের মধ্যে নদী সচেতনতা সৃষ্টিতে গবেষণা প্রচলনের ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, আরডিআরসি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, নোঙর বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান সুমন শামস্ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী
নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের ধারার স্বার্থে দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কেবল গণতান্ত্রিক ধারার মাধ্যমেই সম্ভব। এটা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।’
বুধবার জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে উন্নয়ন চলছে কারণ দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে, স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করতে পেরেছি। সে কারণেই আমরা এই সফলাতা পেয়েছি।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে (২১ বছর পর) সাফল্যের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এখন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার জন্য (ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে) সবকিছুর দাম বেড়েছে যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আফ্রিকার দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের আগামী দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
তিনি তাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার ও গন্তব্যে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বলেন।
তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য কাজ করতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেন, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিশরে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম, মরিশাসে হাইকমিশন রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ায় হাইকমিশন মাসুদুর রহমান, আলজিয়ার্সে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন, কেনিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক আহমেদ, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার এবং সুদানে রাষ্ট্রদূত তারেক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যোগ দিন: দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে