চেতনা
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মাহমুদুর রহমানের আহ্বান
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় তিনি এ দাবি জানান।
আবরার ফাহাদকে ত্যাগ ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আবরার ফাহাদকে শহীদ তিতুমীরের মতো স্মরণ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রতীক। শত বছর পরও তিতুমীরের মতো আমরাও আবরারকে নায়ক হিসেবে স্মরণ করতে চাই। অন্যদিকে শেখ মুজিব শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন। তাই আমি সরকারের কাছে আমার ৭ দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে আবরার এভিনিউ করার কথা বলেছি।’
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না হতে। এখানে তারা ভুল করেছে। বিপ্লবী সরকার হোক। ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে দেশ পরিচালনা করুন। শেখ হাসিনার সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিন। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে বিপ্লবের বাণী অনুযায়ী নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করবে।’
স্মরণ সভায় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও তার বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক এবং এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সমাবেশ শেষে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে পলাশী মোড় থেকে আরেকটি র্যালি করেন নিরাপদ বাংলাদেশে কর্মসূচির বক্তা ও শ্রোতারা।
পরে আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের স্মৃতি স্মরণে মাহমুদুর রহমান ও আকতার হোসেন 'আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ' নামের একটি স্মৃতি ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
১ মাস আগে
৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না' এই ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা দেখেছি বাঙালিকে বারবার দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্র থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধুমাত্র অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা এই পাঁচ মৌলিক চাহিদা পূরণ নয়, বরং স্বাধীনতার চেতনায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কেউ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে মাথা নত না করা। সেটিই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র।
বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নওগাঁ সদরের কালীতলায় শ্রী শ্রী বুড়া কালী মাতার পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সব ধর্মের মূল বাণী মানুষের কল্যাণ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আদিকাল থেকেই এ দেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সব ধর্মের মানুষকে একসূত্রে গাঁথার চেষ্টা করে গেছেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনই ছিল তার উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও সম্প্রীতির বন্ধনে দেশকে বেঁধে রেখেছেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভয় পেলে চলবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।
নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন,জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা,পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমূখ।
পরে খাদ্যমন্ত্রী জন্মাষ্টমী ২০২৩ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি না করতে বিএনপির প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ার
শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে দেশ দূরে সরে গেছে বলে আক্ষেপ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। সুতরাং, সাধারণ মানুষ দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা এখন একজনের হাতে চলে গেছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কিছু লোক রাজনীতি করে আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলো রাজনীতি করার বা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কোনো সুযোগ পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, ‘এমন দেশের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আসলে দেশ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ভরসা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
জাপা নেতা শরিফুল ইসলাম ভরসাকে স্বাগত জানিয়ে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এ সময় আরও বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের সব অধিকার রক্ষার দায়িত্ব নিতে রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, এ কারণে প্রতিদিনই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির পতাকাতলে বিভিন্ন পেশার মানুষ আসছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অস্বীকারকারীদের কাছ থেকে জনগণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শুনতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতে হলে তিনটি চেতনার (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা) প্রতি অবিচল থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকারকে মেনে নিতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাপ্তাহিক ‘সাপ্তাহিক দাবানল’-এর সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে পিআইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অপপ্রচার হয়েছে। অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও চেতনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাবানলের মতো বেশ কয়েকটি পত্রিকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা: ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি নাবিকদের
পত্রিকাটি নতুন মাত্রা নিয়ে আবারও গৌরবময় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন খালিদ মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী ‘দাবানল’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও পৃষ্ঠপোষক শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপনের ‘দাবানল’ পুনঃ প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এসময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন এমন মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং দাবানল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. শেহেরিন সেলিম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকে পড়া ১১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন
'আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না', ছোট ভাইকে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর
২ বছর আগে
একুশের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান টিআইবির
অধিকার আদায়ের যে মহান চেতনায় একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মদান, তার মূলে রয়েছে বৈষম্য, শোসন, অন্যায় আর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে চিরজাগরুক স্বত্ত্বার সংগ্রামী বহিঃপ্রকাশ। একুশ সমস্ত অন্যায়, অবিচার, শোষণ বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা যোগায়। একুশের অবিনশ্বর এই চেতনা ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণহীন, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এদেশের আপামর জনগণ বারবার অন্যায়, অবিচার আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। একুশের পথ বেয়েই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতার গৌবরদীপ্ত সূর্যকে। হার না মানা দৃঢ়তায় অশুভকে রুখে দেয়ার প্রেরণা আমরা একুশ থেকেই পাই। একুশ যেমন আবেগের, তেমনি সংগ্রাম ও দ্রোহের। যেকোনো অন্যায়, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে সমন্বিত প্রতিবাদের প্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই একুশ হোক দুর্নীতি প্রতিরোধে অনন্য প্রেরণার উৎস।’
‘দুর্নীতি একুশের চেতনার পরিপন্থী’ সবাইকে সেই চেতনা ধারণ করে দুর্নীতি রুখে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
তিনি বলেন, ‘একুশের চেতনায় প্রিয় স্বদেশ হোক গণতান্ত্রিক, সুশাসিত, দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমুক্ত। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে চাই সকলের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘একুশের যে চেতনা আর দৃপ্ত শপথের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, দুর্নীতির সর্বব্যাপী বিস্তৃত অক্টোপাস সেই অর্জন ভূলুন্ঠিত করছে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, ভয়মুক্ত সমাজ বিনির্মাণের যে শপথ, তা বিনষ্ট করছে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশের প্রায় একই অবস্থানে আটকে থাকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থান তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শুন্য সহশীলতা’র ঘোষণা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার প্রকাশ হলেও, এর প্রয়োগে ঘাটতি থাকায়, বাস্তবে তা ঘোষণাতেই আটকে আছে। বিশেষ করে, এই ঘোষণা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত মহল ও প্রতিষ্ঠানসমূহে দুর্নীতির যোগসাজশ, সহায়তা কিংবা সুবিধাভোগীদের প্রভাবে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর তার ফলে একুশের চেতনায় সুশাসিত স্বদেশ গড়ার সম্ভাবনা ধূলিস্যাত হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কার্যকর বাস্তবায়নে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই হবে একুশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
২ বছর আগে