বুর্কিনা ফাসো
বুরকিনা ফাসোতে সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৫৯
বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলে একটি সোনার খনির কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার গবোম্বলোরা গ্রামে বিস্ফোরণের পর আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ওই স্থানে মজুত করা স্বর্ণ প্রক্রিয়াকরণের রাসায়নিক পদার্থের কারণে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সানসান কামবু নামের স্থানীয় বন রেঞ্জার যিনি বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তিনি বলেন, ‘আমি সব জায়গায় লাশ দেখেছি। এটা ভয়াবহ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি দুপুর ২টার দিকে ঘটে, এরপর আরও বিস্ফোরণ ঘটে যখন মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্বর্ণ উৎপাদকারী দেশ। বর্তমানে মহাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদক এবং স্বর্ণ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য।
আরও পড়ুন: গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
গবোম্বলোরার ওই স্বর্ণখনি ছোট। এ ধরনের ছোট খনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। সারা দেশে এ ধরনের প্রায় আটশটি খনি রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ জানায়, বেশিরভাগ সোনা প্রতিবেশী টোগো, বেনিন, নাইজার এবং ঘানায় পাচার হয়।
ছোট আকারের খনিগুলো আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত জিহাদিরা ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। ২০১৬ সাল থেকে এসব স্থাপনায় হামলা হয়ে আসছে।
সুইজারল্যান্ডের থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর সিনিয়র বিশ্লেষক মার্সেনা হান্টার বলেছেন, ছোট-মাপের খনির খাতের ওপর শিথিল নিয়ন্ত্রণ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। খনিতে এমন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় যা প্রায়শই দেশে পাচার করা হয় এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
২ বছর আগে