সোনা
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভারতীয় দুই নাগরিকের যাবজ্জীবন এবং চারজনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম এবং নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজিবুর রহমান।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাঝের পাড়ার আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা এবং ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মণ্ডল।
২০ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শার্শার আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন ও ওরফে মেছের আলীর ছেলে এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মণ্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেয় বিজিবি। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক এবং দুইজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪টি সোনার বার এবং ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে চারশ’ গ্রাম।
পরদিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকালে গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আদালত তার রায়ে মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই যাবৎ সবচেয়ে বড় সোনা চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে, রায়ের খবরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনেরা রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামিপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
১ বছর আগে
চাঁদপুরে স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট
চাঁদপুর শহরের আ. করিম পাটোয়ারী সড়কের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ভোর ৬টার দিকে ঘোষপাড়া পোলের পাশে ‘স্বর্ণভূবন’ নামের দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে।
সংঘবদ্ধ চোর চক্র দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার হীরা লুটে নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
ওই দোকানের মালিক মানিক লাল মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রতিদিনের মতো গতরাতে তারা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। সকালে দোকান খুলতে এসে তালা ভাঙা দেখেন তারা। দোকানের ভেতরের সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি চোর চক্র ভোরে মার্কেটের সামনে আসে। এদের কেউ বাইরে পাহারা দেয় এবং কেউ দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা লুট, যুবক খুন
নড়াইলে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট
১ বছর আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা উধাও
ঢাকা বিমানবন্দরের ভেতরের কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনার বার নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই এলাকার ভিতরে বা আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভেতরের পুরো এলাকা সিসিটিভি কভারেজের আওতায় থাকলেও রহস্যজনকভাবে গুদামের ভেতরে এমন কোনো ক্যামেরা বসানো হয়নি। এমনকি গুদামের বাইরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া গেলেও সেটি নিষ্ক্রিয় পাওয়া গেছে। যার কারণে সোনা চুরির সঙ্গে কারা সরাসরি জড়িত তা খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
একটি শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, বিমানবন্দরের ভেতরের পুরো এলাকা চব্বিশ ঘন্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কভারেজের আওতায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সদস্যদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে পুরো এলাকা।
এমন নিরাপত্তার মধ্যে গুদাম থেকে সোনা চুরি এবং গুদামে সিসিটিভি ক্যামেরার উপর কাস্টমস হাউসের নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি প্রশ্রেন জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, গত শনিবার সোনা চুরির ঘটনা ঢাকা কাস্টমস বিভাগের নজরে আসে। তবে পরের দিন রবিবার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসে। ঢাকা কাস্টমস হাউস সঠিকভাবে তালিকা করার পর নিশ্চিত হয় তার নিজস্ব বিমানবন্দরের গোডাউন থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরি হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের একটি সূত্র জানায়, গুদামে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। পুরো ঘটনা তদন্তে ঢাকা কাস্টমস হাউস তাদের যুগ্ম কমিশনার (শুল্ক) মিনহাজ উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
এছাড়া, রবিবার রাতে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে গুদামের ভিতরে আলমারির তালা ভেঙে কেউ ৫৫ কেজি সোনা নিয়ে যায়।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া এই সোনার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
মামলার এজাহারে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে গুদাম থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
পরে রবিবার গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দেখতে পান যে আটক রসিদ (ডিএম) অনুসারে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জব্দ করা ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছিল।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-উত্তরা বিভাগ) মোরশেদ আলম ইউএনবিকে বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কাস্টমস হাউসের চার সিপাহী যারা বিমানবন্দর কাস্টমসের গুদামের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল তাদের এখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আরও বলেন, নিখোঁজ সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৩৭ ডিটেনশন মেমো (ডিএম) এর অধীনে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছিল।
নিয়ম অনুযায়ী এই স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন নিয়ম মানা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও জানান ডিসি।
তিনি আরও বলেন, তারা স্বর্ণের গুদাম পরিদর্শন করে দেখেন, এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভির আওতায় নেই। তাই কে স্বর্ণ চুরি করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন। গুদামে নজরদারির জন্য সক্রিয় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে কারা সোনা নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করা সহজ হতো।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক কেজি সোনা জব্দ, আটক ১
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। এ সময় তার কাছ থেকে এক কেজি সোনা জব্দ করা হয়।
আটক মিজানুর রহমান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার বাসিন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, মিজানুর আজ সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে আসেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের সদস্যরা মিজানুরকে গ্রিন চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তল্লাশি করেন এবং তার কাছ থেকে এক কেজি সোনা, মদ ও সিগারেট জব্দ করেন।’
মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
২ বছর আগে
মাগুরায় যুবক আটক, ১০০ ভরি সোনা উদ্ধার
মাগুরার রনান্দুয়ালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বুধবার বিকালে এক যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ ভরি সোনার ১০টি বার উদ্ধার করা হয়।
আটক সাকিব হোসেন (২২) যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী গ্রামের ইয়াজুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাসের সিটের নীচে মিললো ১০ স্বর্ণের বার!
মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পরিদর্শক কবির আহম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম থেকে যশোরগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাকিবের কাছ থেকে ১০০ ভরি সোনার ১০টি বার উদ্ধার করা হয়।
রাতে সোনার বারসহ সাকিবকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
যশোরে ১০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ আটক ১
যশোরের চৌগাছা থেকে ১৪ দশমিক ৪৫০ কেজি ওজনের ১২৪টি স্বর্ণের বারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় কাবিলপুর শ্মশান ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক শাহ আলম (৩৫) যশোরের চৌগাছা উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
যশোর ৪৯ বিজিবি বাটালিয়নের অধিনায় লে.কর্নেল.শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ৪৯ বিজিবির শাহজাদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তার নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে যশোরের চৌগাছা উপজেলার বড় কাবিলপুর শ্মশানঘাট এলাকা থেকে শাহ আলমকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১৪ দশমিক ৪৫০ কেজি ওজনের ১২৪ টি স্বর্ণের বার, তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বিজিবি।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত জিনিসের মূল্য দশ কোটি বার লাখ একান্ন হাজার টাকা। আটক ব্যক্তি জানায়, উক্ত স্বর্ণের বার গুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল সে।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে এক কোটি ১৬ লাখ টাকার ৯ স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোলে যুবক আটক, ১৫ টি স্বর্ণের বার জব্দ
২ বছর আগে
বুরকিনা ফাসোতে সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৫৯
বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলে একটি সোনার খনির কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার গবোম্বলোরা গ্রামে বিস্ফোরণের পর আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ওই স্থানে মজুত করা স্বর্ণ প্রক্রিয়াকরণের রাসায়নিক পদার্থের কারণে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সানসান কামবু নামের স্থানীয় বন রেঞ্জার যিনি বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তিনি বলেন, ‘আমি সব জায়গায় লাশ দেখেছি। এটা ভয়াবহ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি দুপুর ২টার দিকে ঘটে, এরপর আরও বিস্ফোরণ ঘটে যখন মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্বর্ণ উৎপাদকারী দেশ। বর্তমানে মহাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদক এবং স্বর্ণ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য।
আরও পড়ুন: গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
গবোম্বলোরার ওই স্বর্ণখনি ছোট। এ ধরনের ছোট খনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। সারা দেশে এ ধরনের প্রায় আটশটি খনি রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ জানায়, বেশিরভাগ সোনা প্রতিবেশী টোগো, বেনিন, নাইজার এবং ঘানায় পাচার হয়।
ছোট আকারের খনিগুলো আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত জিহাদিরা ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। ২০১৬ সাল থেকে এসব স্থাপনায় হামলা হয়ে আসছে।
সুইজারল্যান্ডের থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর সিনিয়র বিশ্লেষক মার্সেনা হান্টার বলেছেন, ছোট-মাপের খনির খাতের ওপর শিথিল নিয়ন্ত্রণ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। খনিতে এমন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় যা প্রায়শই দেশে পাচার করা হয় এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
২ বছর আগে