অর্জন
আইএসও সনদ অর্জন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস++ সিস্টেম
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারির (এসপিএফএমএস) কর্মসূচির আওতাধীন ‘ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস++) স্কিম আইএসও সনদ অর্জন করেছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) এসপিএফএমএস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে ব্যুরো ভেরিটাস’র পক্ষ থেকে সিআইএফ অপারেশন ম্যানেজার (বাংলাদেশ) মুকুট কে বড়ুয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এ সনদ হস্তান্তর করেন।
সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য পদ্ধতিগত ও ব্যপকভিত্তিক সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে পরীক্ষা, পরিদর্শন ও সার্টিফিকেশনের বিশ্ব সংস্থা ব্যুরো ভেরিটাস এই সনদ প্রদান করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইবাস সিস্টেমের কার্যকর, বাস্তবমুখী ও দক্ষ অটোমেটেড সেবা আর্থিক সেবা প্রদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এর আগে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসপিএফএমএস অফিসের বর্ধিত অংশ এবং ই-লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: এলইইডি সনদ পেল দেশের আরও ২ তৈরি পোশাক কারখানা
আইএসও সনদ প্রদান সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক মূল্যায়নে আইবাস++ অ্যাপ্লিকেশন, সংশ্লিষ্ট আইটি অপারেশন এবং ডাটা প্রসেসিং কার্যক্রম পরিচালনায় আইবাস++ আইএসওর তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার বহুল প্রচলিত আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০১৩- এর সনদ প্রাপ্তির সকল মানদন্ড পূরণ করেছে।
আইএসও হলো জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর একটি বৈশ্বিক জোট। আইএসও/আইইসি ২৭০০১ একটি আন্তর্জাতিক মান যা সংস্থাগুলোকে তাদের তথ্য সম্পদ আরও সুরক্ষিত রাখতে সহযোগিতা করে।
আইবাস++ বাংলাদেশ সরকারের বাজেট এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কিত তথ্য সুরক্ষিত করার আইএসও স্বীকৃতি সরকারের তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই সিস্টেম এর মাধ্যমে ৪০০ টিরও বেশি আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, যা নীতি নির্ধারণ, মনিটরিং, নিরীক্ষা প্রভৃতি কাজে সহায়তা করে।
আইবাস++ এর সঙ্গে সকল গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিস্টেমের ইন্টারফেস রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ব্যাংকিং সিস্টেম, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাটাবেস, এনআইডি ডাটাবেস, ইলেকট্রনিক গর্ভমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) সিস্টেম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিস্টেমস, পরিকল্পনা কমিশন সিস্টেম, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভূমি উন্নয়ন কর, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডাটাবেজের সঙ্গে ইন্টারফেস স্থাপন করা হয়েছে। এতে সরকারের অতি প্রয়োজনীয় পরিষেবাসমূহ দ্রুততার সঙ্গে প্রদান নিশ্চিত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন সচিব, অর্থ বিভাগ ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উন্নয়নসহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসপিএফএমএস কর্মসূচির বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগ ও কর্মসূচির জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শতাধিক শিক্ষার্থী পেলেন এমআইটি সনদ
মানসিক সুস্থতার সনদ পাওয়ায় কনস্টেবল কাওসারকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছিল: আইজিপি
২ মাস আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, একনায়কতামুক্ত বাংলাদেশে হঠাৎ করে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিকল্প ছিল না। সঙ্গত কারণে, আমরা সেই সময় তাদের সমর্থন করেছি এবং এখনও তাদের সমর্থন করি। তাদের প্রতি আমাদের আস্থা যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ তাদের নিতে হবে।’
এক গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘তাদের পক্ষে সমস্ত পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে তারা যে দায়িত্ব বহন করতে পারবেন না, তা তাদের পক্ষে কাঁধে নেওয়াও অযৌক্তিক হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, বিবৃতি ও প্রতিক্রিয়ায় ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, সরকার চালানো একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও জটিল কাজ।
এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এমনকি একটি ছোট বিচ্যুতিও একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে অসতর্কতা প্রয়োজনীয় বিশ্বাসকে দুর্বল করতে পারে এবং জাতির শক্তির মূলে থাকা ঐক্যকে ভেঙে দিতে পারে।
তারেক বলেন, ‘এর যে কোনো একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মনে রাখা দরকার, দেড় দশক ধরে গড়ে ওঠা একনায়কতন্ত্রের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য অশুভ চেতনা এত সহজে এর বিষাক্ত নিঃশ্বাস থেকে আমাদের মুক্তি দেবে না।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ রাকিব ও সাবিরের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পায়রা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা প্রায়ই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অসহায়ত্ব ও বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছেন; এতে 'স্বৈরাচারী হাসিনা'র রেখে যাওয়া পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্র প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে স্বৈরাচারীর সহযোগীদের মাধ্যমে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতার ফাঁদে আটকে যাবে সরকার। একের পর এক ছোট ছোট সংকটগুলো বড় বিপর্যয়ে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘তখন কার্যকর সমাধানের পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যাবে।’
তারেক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক আস্থা ও সম্পর্ক, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা, ব্যবসা সহজীকরণ, জননিরাপত্তা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের দৈনন্দিন সেবা নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান জাতির জন্য আরেকটি স্বাধীনতা ও বিজয়ের বার্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা যদি তড়িঘড়ি করে এটাকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করি, তাহলে আমরা আবারও ইতিহাস বিকৃতির ফাঁদে আটকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ব।
স্বৈরাচারবিরোধী মহাযুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র, গৃহবধূ ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি গত সতেরো বছরে হত্যা, গুম, বিচারিক হয়রানি এবং অন্যান্য নিপীড়নের শিকার হওয়া লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক কর্মীর আত্মত্যাগের উপরও জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে ব্যর্থ হই, ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
২ মাস আগে
ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনে (সিএন্ডও) বদলি করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে ডিবি অফিস গেটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হারুন জোর দিয়ে বলেন, ‘যারা মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সরকারি-বেসরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যার মতো ঘটনার সঙ্গে সত্যিই যারা জড়িত, তাদেরই বিচার করা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজ-নাশকতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবিপ্রধান হারুন
ডিবিতে নিজের দায়িত্বের মেয়াদের কথা তুলে ধরে হারুন বলেন, 'ডিবিতে আমার সোয়া তিন বছরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ এবং জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আমার পুরো মেয়াদে ডিবিকে সাধারণ মানুষের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য ছিল।’
তিনি উল্লেখ করেন, তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নতুন পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে তিনি থানাগুলোকে জনসাধারণের জন্য একটি বিশ্বস্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘থানা মানুষের আশার শেষ বিন্দু। সাধারণ ডায়েরি বা মামলা দায়েরের জন্য মানুষ স্টেশনে এলে যাতে পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। থানাগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে আমি কাজ করব।’
কোটা আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা অসংখ্য মামলার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'ডিবিতে থাকাকালীন আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা পরিচালনা করেছি। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যা মামলা পর্যন্ত আমরা সত্য উদঘাটনে ভালো তদন্ত করেছি। আমরা কোনও নিরপরাধ লোককে গ্রেপ্তার করিনি এবং জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমতা নির্বিশেষে, আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হবে।’
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানে সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এই আন্দোলনের সফলতা অর্জনে তাদের (ছাত্রদের) উৎসব করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘এই অর্জন ধরে রাখতে তারা কিছু পরিপক্ক বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন নাশকতা ও সন্ত্রাসকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে তারা যে আস্থা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেসব দায়িত্বহীন কথাবার্তা বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছেন যে নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গ্রেপ্তার করা বন্ধ না হলে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। আমার প্রশ্ন হলো, মেট্রোরেল ভাঙচুর, বিটিভিতে নাশকতা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আক্রমণ ও নাশকতার উন্মক্ত লালসা যে গোষ্ঠী চালিয়েছে, সেটাকে মির্জা ফখরুল আন্দোলন বলতে চান কি না? আর এটা যদি আন্দোলন হয়, তাহলে কার বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন, এটা আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটেও ব্যর্থ নয়। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছেন। ২০১৮ সালে তো প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের আগেও সেই কোটা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারই আপিল বিভাগে আপিল করেছে। তারপর সেই আদেশ স্থগিত।’
তিনি বলেন, একটা জিনিসকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আনতে হলে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। যেহেতু একটা বিচারাধীন বিষয় আদালতে ছিল, সেই আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে বিসিসিটির সংস্কার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা অর্জনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের (বিসিসিটি) প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে (জিসিএফ) ডাইরেক্ট এক্সেস এনটিটি হিসেবে বিসিসিটির নিবন্ধন প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় ২৯তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কপ২৯ এ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে অভিযোজন অর্থায়ন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফিন্যান্সে বাংলাদেশ যাতে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী কপ-২৯ এ কার্যকরী অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী কান্ট্রি পজিশন পেপার প্রস্তুত করতে হবে। জাতিসংঘ, জিসিএফ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথসাইড ইভেন্ট আয়োজনসহ একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী এবং পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সম্প্রতি জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত ৬০তম সাবসিডিয়ারি বডির সভায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবেশমন্ত্রীকে জানায় এবং মন্ত্রী এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার জনগণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও বড় ভূমিকা রয়েছে এসডিজি অর্জনে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
রবিবার (২ জুন) নগরীর আগারগাঁও এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের আয়োজনে এক কর্মশালায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর কর অব্যাহতির হার কমাতে হবে। আয়কর ও কর অব্যাহতির পরিমাণ প্রায় সমান, যা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। যারা ডিজিটালাইজেশনে বাধা দিচ্ছে, প্রয়োজনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, কর সহায়তা দিয়ে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা যাবে না। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে কাস্টমস রেভিনিউ কমে আসবে। চলতি অর্থবছরে কাস্টমস রাজস্ব ও ভ্যাট রাজস্ব প্রায় সমান এবং এর পর থেকে কাস্টমস রাজস্ব কমতে থাকবে।
ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মূল আলোচনাকারী ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (এসডিজি অ্যাফেয়ার্স, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জন বিষয়ে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ড. রিয়াজুল বাশার সিদ্দিক।
এছাড়া কর্মশালার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনটি (আইএইচএল) ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো যেকোনো পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিক, আহত যোদ্ধা এবং যুদ্ধবন্দিদের সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এই আইন যুদ্ধকালীন নিয়ম বা নীতি নামেও পরিচিত।
বুধবার (২৯ মে) আইসিআরসি বলেছে, এখনো এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও আইএইচএল’র তাৎপর্য ও প্রয়োগ প্রায়ই স্বীকৃতি পাচ্ছে না বা এটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।
২০২৪ সালে জেনেভা কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী, এটি আধুনিক আইএইচএলের ভিত্তি।
সর্বজন গৃহীত এই নিয়মগুলো যুদ্ধ পরিচালনার উপায় ও পদ্ধতিগুলো সীমাবদ্ধ করতে একটি নির্দেশিকার কাঠামো তুলে ধরে। যারা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না বা আর যুদ্ধে নেই, তাদের রক্ষা করার জন্যই নির্দেশিকাটি।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
এই আইনগুলোর ভিত্তি সহজ। এটির আলোকে সশস্ত্র সংঘর্ষের সবচেয়ে খারাপ সময়েও আমাদের সাধারণ মানবতার প্রকৃত মূল্যবোধ অবশ্যই লালন করতে হবে।
এই চুক্তি অবশ্যই কনভেনশনের প্রতিটি ব্যাখ্যায় প্রতিফলিত হতে হবে। গত ৭৫ বছর ধরে আইএইচএল সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের রক্ষায় মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে।
জেনেভা কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত নীতিগুলো সহিংসতা ও জনমতের মেরুকরণের কারণে জর্জরিত বিশ্বে আজও আগের মতোই প্রাসঙ্গিক।
আইসিআরসি বলেছে, মূল চুক্তিগুলো অনুসমর্থন এবং একটি জাতীয় আইএইচএল কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশন গ্রহণ এবং মানবিক নীতি সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ওয়ার্ক ভিসা: মূল পাসপোর্ট জমা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
এটি জেনেভা কনভেনশন ও অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন ব্যান কনভেনশনের বিষয়ে দুটি দেশীয় আইনের খসড়া তৈরি করে আইএইচএলকে জাতীয় আইনে একীভূত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় আইনে আইএইচএলের পূর্ণ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ এসব অর্জনকে একীভূত করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) হেড অব ডেলিগেশন অ্যাগনেস ধুর বুধবার বলেন, বাংলাদেশে আইসিআরসি এই ঐতিহাসিক মাইলফলক উদযাপনের জন্য বেশ কয়েকটি আউটরিচ ইভেন্ট ও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এরমধ্যে রয়েছে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিযোগিতা।
ধুর বলেন, ‘আইএইচএল প্রচার ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরতে আমি উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ দর্শকদেরও সম্পৃক্ত করব।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা জেনেভা কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই মানবতার নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হবে, যা এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ সময় ধরে আমাদের পথ দেখিয়েছে।’
ধুর বলেন, “তারা প্রতিকূলতার মধ্যে মানবতার শক্তির সাক্ষ্য দেয়। এই ঐতিহাসিক ক্ষণে আসুন আমরা রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের কথাগুলো স্মরণ করি- ‘আরও বেশি মানবিক হতে শেখার মধ্যেই সত্যিকারের অগ্রগতি নিহিত।’আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৬ মাস আগে
অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেয় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
পদক প্রাপ্তির প্রেক্ষাপটে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগতভাবে সাফল্যের সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টুর্নামেন্ট দুইটি আয়োজন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এ টুর্নামেন্ট ফুটবলার তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। ২০২২ সালে সাফ উইমেনস ফুটবল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাঁচজন খেলোয়াড় উঠে এসেছে এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
সচিব বলেন, ২০২৩ সালে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ২২ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী টুর্নামেন্ট দুটিতে অংশ নেয়। অংশগ্রহণের দিক থেকে এখন বিশ্বের বৃহত্তম টুর্নামেন্ট এ দুইটি। এ অনন্য অর্জন ‘গিনেসবুকে’ স্থান করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তিনি এ ব্যাপার গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও ‘সানজিদা’বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের প্রফেশনাল ফুটবল লিগে কোলকাতা ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অধিদপ্তরের দক্ষতা মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
একই সঙ্গে দপ্তরগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে প্রতিষ্ঠানটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সমবায়মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিতে চান সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পুনরায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রাখতে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন।
তিনি ঢাকা ওয়াসার দক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বটি ঢাকা ওয়াসা ঠিকভাবে করতে পেরেছে। এছাড়াও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিক করতে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান।
ভর্তুকির টাকায় ধনীদের পানি সরবরাহ করা যৌক্তিক কি না সে প্রশ্ন রেখে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয়, আর আমি যদি তা ১৫ টাকায় বিক্রি করি তাহলে বাকি ১৫ টাকা ভর্তুকি কে দেবে? সরকারি টাকা দিয়ে কী আমি এখানে ক্ষতিপূরণ দেব?
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা কি যৌক্তিক বিষয় কি না প্রশ্ন আমার। ধনাঢ্য এলাকার পানির মূল্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয় বলে মত দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে গেলে আইন ও বিধিগুলো সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। এতে কর্মকর্তাদের উৎসাহ ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আশা করি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মশালার মাধ্যমে নাগরিক সেবা আরও সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এদিকে, আজ সকালে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ’ ও ‘সম্পদ আহরণ এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এছাড়াও ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১০ মাস আগে
১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনুন: টিপু মুনশি
১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার(৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্সী বলেন, আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে এবং দেশের শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যবৈচিত্র্য আনতে পারে এবং আরও অনেক দেশ বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘(এভাবে) সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি দিয়েছে ইপিবি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
১ বছর আগে