আগাছা
পাইকগাছার সরল খাঁ দীঘিকে ঘিরে গড়ে উঠবে বিনোদন কেন্দ্র
শেওলা ও আগাছা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘি। সংস্কারের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্রও। দীঘিটির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এরকমই উদ্যোগ নিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল-আমিন।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন শেষে এমন সম্ভাবনার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্রে বদলে যাবে কুমিল্লার মনপালের জনপদ
তিনি বলেন, দীঘিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর সংস্কার করে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।
পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সরল এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘি। দীঘিটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন। এলাকায় প্রচলিত আছে তৎকালীন সময়ে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) এর অনুসারী পীর সরল খাঁ দীঘিটি খনন করেন। পীর সরল খাঁ এবং দীঘিটি ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরল খাঁ’র নামেই নামকরণ হয় সরল গ্রাম। তার পাইক পেয়াদাররা গাছে নৌকা বাঁধতো। সেখান থেকেই নাম হয় পাইকগাছা। দীঘির পাশেই যেখানে বাদী-দাসীরা বাস করত। এখানকার নাম হয় বান্দিকাটী গ্রাম। যেখানে গোশালা ছিল সেখানকার নাম হয় ঘোষাল।
লোক লস্কর যেখানে থাকত সেখানকার নাম হয় লস্কর। এভাবেই সরল খাঁ এবং সরল খাঁ দীঘিকে ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
১৫ বিঘা আয়তনের দীঘিটি দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শেওলা ও আগাছায় ভরে গেছে গোটা দীঘি।
দীঘিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর সংস্কার করে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটিতে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সর্দার, কাউন্সিলর মো. আব্দুল গফফার মোড়ল, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা আখতার, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুল বারী, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক সর্দার, আব্দুল্লাহেল বাকী ও মিনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক না পরায় দর্শনার্থীদের জরিমানা
চট্টগ্রামে ৫ মাস পর খুলেছে বিনোদন কেন্দ্র
১ বছর আগে
‘এরা জমির আগাছা’- দেশের অর্জনকে অস্বীকার করে যারা তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশের অর্জনের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয় তারাই ‘জমির আগাছা’ এবং জনগণকে ভাবতে হবে তারা এই দলকে নিয়ে কী করবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন, দেশের জমি এতই উর্বর যে প্রচুর ফসলের সঙ্গে আগাছাও হয়। এটাই বাস্তবতা; এই আগাছাগুলো থেকে যাবে। তবে বাঙালিদের ভাবতে হবে তারা এই আগাছাগুলো দিয়ে কী করবে।’
মঙ্গলবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যখনই বাঙালি কিছু অর্জন করেছে বা মর্যাদা অর্জন করেছে বা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঙালিদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যাদের কাছে এই অর্জনগুলো গর্ব করার মতো কিছু নয়। তারা পরাধীনতার শৃঙ্খলে থাকতে পছন্দ করে।’
তিনি বলেন, মানুষের একটি অংশ আছে, তারা কখনই আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে জানে না, তারা তাদের মর্যাদা বিক্রি করেই সন্তুষ্টি পায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেই শ্রেণি এখনও আমাদের সমাজে রয়ে গেছে……. এমনকি সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করে আমাদের দেশের কিছু মানুষ অন্ধই থেকে যায় এবং তারা কখনও উন্নয়ন দেখতে পায় না।’
তিনি বলেন, এসব অর্জনের কথা বলতে গিয়ে এই অংশের মানুষ বিব্রতবোধ করে। এই ধরনের মানুষেরা কেন এমন মানসিকতা রাখে বুঝতে পারছি না।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও অবদানের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে উল্লেখ করেন যে, বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আফসোসের বিষয় যে, দেশের এই বুদ্ধিজীবী মহল কখনোই (বঙ্গবন্ধুর) এই অবদানের যথাযথ কৃতিত্ব দেয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা শাখার রিপোর্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ধরা পড়ে।
২ বছর আগে