ঘনবসতিপূর্ণ
বড়দিনের সকালে ঢাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’, দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে
বড়দিনের সকালে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা আবারও বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছেন। রবিবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩৭৪ নিয়ে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও কিরগিজস্তানের বিশকেক যথাক্রমে ২৩৮ ও ২২৫ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে, ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বুধবার সকালেও ঢাকা শীর্ষে
১ বছর আগে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা আবারও বিশ্ব দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। রবিবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৩০৮।
৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লী যথাক্রমে ২৭৮ ও ২৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার পরবর্তী দুইটি স্থান দখল করেছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টানা ৩ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২য়
সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
২ বছর আগে
পুরান ঢাকাকে পুনঃ উন্নয়নের উদ্যোগ রাজউকের
এমন এক পুরান ঢাকার কথা ভাবুন যেখানে চওড়া সড়ক, কম যানজট, বিশুদ্ধ পানি, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। ঠিক এ কাজটিই করতে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পুরানো এই শহরে সংস্কার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজউক।
পুনঃ উন্নয়নের অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে সাতটি স্থান নির্ধারণ করেছে রাজউক। শিগগিরই এসব স্থানে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) শুরু হবে।
পুরান ঢাকার ইসলামুর, চকবাজার, বংশাল, মৌলভীবাজার, হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকা, কামরাঙ্গীরচর ও সোয়ারিঘাট এই সাত স্থানে কাজ শুরু হবে।
পুরান ঢাকা অপরিকল্পিত শহর হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণ শহরটি সরু সড়ক, ঘনবসতিপূর্ণ আবাস, অপরিকল্পিত দালানসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেজন্য এখানে বসবাস করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জরাজীর্ণ ভবন, সংকীর্ণ সড়ক, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ, অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, উন্মুক্ত স্থানের ঘাটতি, ত্রুটিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উচ্চ ঘনত্ব, নিম্নমানের জীবনযাপন, ভূমিকম্প ও অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
বর্তমানে পুরান ঢাকায় নাগরিক সুবিধা বলতে কিছুই নেই, ফলে পুরান ঢাকাতে আধুনিক শহরে রুপান্তর করতে রাজউক রিডেভেলপমেন্ট করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া ইউএনবিকে বলেন, ‘পুরান ঢাকাকে আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে রিডেভেলপমেন্টের কাজ করতে ইতোমধ্যে জাপান, চায়নাসহ বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থার সাথে বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। খুব কম সুদে এই কাজটি করা হবে।’
রাজউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, পুরান ঢাকার ইসলামুর, চকবাজার, বংশাল, মৌলভীবাজার, হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকা, কামরাঙ্গীরচর ও সোয়ারিঘাট এই সাতটি স্থানে আগে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। তারপর পাইলটিং হিসাবে শুরুতে দুয়েকটি স্থানে কাজ শুরু করা হবে। তারপর বাকি গুলো শুরু হবে।
আরও পড়ুন: অরক্ষিত রেলক্রসিং অধিকাংশ রেল দুর্ঘটনার জন্য দায়ী
২ বছর আগে
ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৯০ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
ভারতের দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে ১৮২ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ১০১ ও ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বসন্তের আগমনে উষ্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস
২ বছর আগে