জোট
সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সম্মিলিত আন্দোলনে যোগ দিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নতুন সরকারবিরোধী প্ল্যাটফর্ম, ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও যুব ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ১৫টি সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ১০ দফা অর্জন এবং সংস্কারের জন্য বিএনপির দেয়া ২৭ দফা বাস্তবায়নে সম্মিলিত আন্দোলনে অংশ নিতে সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ।’তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী, দখলদার, ফ্যাসিবাদী ও ভোটার ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত সকল কর্মসূচিই তাদের নতুন জোট একযোগে পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
নবগঠিত প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে যুব ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, চালক দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। দাঁড়াও বাংলাদেশ, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল, দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এবং বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এছাড়া ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দলের সঙ্গে ১২ দলীয় জোট চালু করা হয়, যেখানে বিএনপির বাইরে বিদ্যমান আরও দুটি জোট- গণতন্ত্র মঞ্চ (গণতন্ত্র ফোরাম) এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলনে যোগদানের অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার দল কোনো জোটে থাকবে না।
শুক্রবার দুপুরে মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত হিন্দু মহাজোটের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আগের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা কোনো জোট করেনি। আমাদের শুধু ভোটের সময় কিছু আসন নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। বোঝাপড়ার কারণে উভয় দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের পক্ষে কাজ করেছিলেন। আমি বলব এ কারণেই জাপা ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় না। ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির মেশিন। এই মেশিন ব্যবহার করে যে কেউ নির্বাচিত হতে পারেন। আমরা শুরু থেকেই এর বিপক্ষে ছিলাম।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচন বয়কট করা কঠিন বিষয়।
জাপা প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদের ছোট ভাই কাদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন বয়কট করতে আগ্রহী না। আমরা সরেজমিনে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর আমরা নির্বাচনে অংশ নেব কি না, সে সিদ্ধান্ত নেব।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন দীনবন্ধু রায় ও সঞ্চালনা করেন প্রিয়াঙ্কা সুকুল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
২ বছর আগে
ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বুধবার গণভবনে ডি৮এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমামের সঙ্গে বৈঠকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো একসঙ্গে মিলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ডি-৮এর মহাসচিব উভয়েই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব: জয়শঙ্কর
তারা ব্যবসা, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি, পর্যটন, শিক্ষা এবং শক্তির মতো ডি-৮ এর থ্রাস্ট সেক্টর অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
এ সময় ডি-৮ মহাসচিব আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম ১ জানুয়ারি ডি-৮ এর মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ডি-৮ সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী ইউরোপীয় কোম্পানি
২ বছর আগে