মিলিয়ন
জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৯ হাজার ৬২৬ দশমিক ৪২৫ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
গত ১৯ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বিডা।
একই সময়ে বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠানসহ ২২৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। এরমধ্যে ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ও ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
নিবন্ধিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯১ দশমিক ৯৯২ মিলিয়ন টাকা এবং বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৯৩৪ দশমিক ৪৩৩মিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও বিডার সেবাচুক্তি স্বাক্ষর
২০২২ সালের একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিনিয়োগের মোট প্রস্তাব ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার ১০৩ দশমিক ৩৯২ মিলিয়ন টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছর একই সময়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৭৬ দশমিক ৯৬৭ মিলিয়ন টাকা।
উল্লেখ্য যে, গত তিন মাসে সেবা খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগের বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমিকভাবে রাসায়নিক শিল্প খাত, খাদ্য এবং এ সংক্রান্ত শিল্প খাত, প্রকৌশল শিল্প খাত এবং বস্ত্র শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই তিন মাসে বিডা'য় (স্থানীয় ও বৈদেশিক) নিবন্ধিত সর্বমোট ২২৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৭ হাজার ৯৩৭টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
১ বছর আগে
বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
করোনা মহামারি মোকাবিলা এবং ভবিষ্যত মহামারি নিয়ে প্রস্তুতিতে নিতে নগর স্থানীয় সরকার কাঠামোকে জোরদারকরণে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শহুরে নাগরিক উপকৃত হবে।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, স্থানীয় সরকারের কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট নগর স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
প্রায় ৩২৯টি পৌরসভা এবং ১০টি সিটি করপোরেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, স্থানীয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে পূর্বপ্রস্তুতি, দুর্যোগ এবং ভবিষ্যতে রোগের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি উন্নত করতে প্রকল্প থেকে দ্বি-বার্ষিক তহবিল পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রকল্পটি দরিদ্র ও অরক্ষিত মানুষের জীবিকা পুনরুদ্ধারের জন্য শ্রম নিবিড় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। বিশেষ করে যারা করোনার বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের
এ প্রকল্পের অর্থায়নের সাহায্যে শহরের স্থানীয় সংস্থাগুলো কমিউনিটিভিত্তিক হাত ধোয়ার কেন্দ্র ও টয়লেট স্থাপন করবে এবং পৌরসভার মালিকানাধীন বা পরিচালিত বাজার, কবরস্থান এবং সরকারি অফিসে স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা উন্নত করবে।
প্রকল্পটি পৌরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আরও ভালো সেবা পেতে এবং সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য টিকা নিবন্ধন সহজতর করতে এবং করোনার নিরাপত্তা প্রোটোকল, ভ্যাকসিন এবং জলবায়ু ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এটি সরকারি কর্ম প্রকল্পের অধীনে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন দিনের অস্থায়ী কাজের পাশাপাশি ১০ হাজার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে
ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ
২ বছর আগে