কয়লা
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিলো জাপান
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাপান প্রকল্পটির জন্য আরও ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এ লক্ষ্যে ৪৪তম জাপানি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) অধীনে মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৭ম ধাপের জন্য নোট বিনিময় ও 'ঋণ চুক্তি' সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের পক্ষে ‘এক্সচেঞ্জ অব নোট’ এবং ‘লোন এগ্রিমেন্টে’ সই করেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ সই করেছেন এবং জাপানের পক্ষে ‘ঋণ চুক্তি’ সই করেছেন জাইকা বাংলাদেশ অফিস, ঢাকা-এর প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ইআরডি’র এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই জাপানি ওডিএ ঋণের অধীনে, জাপান সরকার প্রকল্পের জন্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (জেপিওয়াই) বা প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
এই ঋণের সুদের হার হবে নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ, পরামর্শ পরিষেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, একটি ফ্রন্ট-এন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩০ বছরের ঋণ পরিশোধের সময়কাল, যার মধ্যে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা প্রাপ্ত প্রথম ৪ দেশে থাকছে বাংলাদেশ
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০মেগাওয়াটx ২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতির জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ হাজার ১৬ কোটি টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ দশমিক ০৩ কোটি টাকা এবং সিপিজিসিবিএল ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওডিএ প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
জাপানি ঋণ ও অনুদান বিদ্যুৎ, সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদির মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানি সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
১ বছর আগে
বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে পুরোদমে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার।
তিনি জানান, সীমিত সংখ্যক শ্রমিকের সহায়তায় তিন শিফটে একদিনে কয়লা তোলা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ ৩১ মেট্রিক টন। বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে উত্তোলিত কয়লার পুরোটাই সরবরাহ করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এছাড়া করোনা ছড়িয়ে পড়ায় কিছুদিন স্থগিত রেখে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিনের মধ্যে ৬ আগস্ট শনিবার রাত থেকে সীমিত পরিমাণে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছিল চীনা শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:কয়লার প্রথম চালান রামপালে, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় সব শ্রমিককে এক সঙ্গে কাজে লাগাননি তারা। ৩০০ জন চীনা শ্রমিকের পাশাপাশি কয়লা উত্তোলনে কাজ করছে ২৯৩ জন দেশি শ্রমিক। ১৩০৬ নম্বর নতুন ফেইজ থেকে শনিবার দিনভর দুই হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কয়লা তুলেছে তারা। রবিবারও তিন শিফটে পুরো মাত্রায় কয়লা তোলার কাজ চালাচ্ছে তারা।
এদিকে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, এক্সএমসি এবং সিএমসিসহ তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কয়লা তোলার কাজে নিয়োজিত এক হাজার ৪১জন দেশি শ্রমিকের মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে ২০০ জন শ্রমিক কয়লা তোলায় অংশ নিয়েছে। শিগগিরই অবশিষ্ট শ্রমিকদেরও কাজে যোগদান করানো হবে।
জানা গেছে, কয়লা তোলায় কর্মরতদের মধ্যে তিন দফায় নমুনা পরীক্ষায় ৫৬জন চীনা এবং ৪০জন দেশি শ্রমিকসহ ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে গেল ২৯ জুলাই থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে ৬ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে কয়লা তুলছিল চীনা শ্রমিকরা। শনিবার থেকে পুরো মাত্রায় কয়লা উত্তোলনের আগে নিশ্চিত হতে ১২ থেকে ১৪ দিন শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল খনির অভ্যন্তরে।
অন্যদিকে কয়লা সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় খনির কয়লার ওপর নির্ভরশীল পার্শ্ববর্তী ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ৩২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন চালু ইউনিটের পাশাপাশি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি (২টি) ইউনিট চালু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। এতে ভরা মৌসুমে আমন চাষে সেচ সুবিধা নিশ্চিতসহ লোডশেডিং কমে ভোগান্তির অবসান হবে বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন:উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন দেশের জন্য আত্মঘাতী
খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
২ বছর আগে
কামরাঙ্গীরচরে পলিথিন কারখানায় আগুন
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কয়লার ঘাটে পলিথিন তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মিরপুরে আবাসিক ভবনে আগুন, দগ্ধ ৩
২ বছর আগে
সোমবার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান,সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
তিনি জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।
২০২০ সালের অক্টোবরে, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে ৬৬০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের দ্বিতীয় এই ইউনিট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিসিপিসিএল),রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অংশ হিসাবে দুই বিলিয়ন ডলারে এই প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে পরীক্ষা চালানোর পর, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি সঞ্চালন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
এই সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-পায়রা প্ল্যান্ট থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ, ১৬৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-মোংলা পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং পদ্মা সেতুর কাছে ৯ দশমিক চার কিলোমিটার নদী-ক্রসিং লাইন।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পগুলো পায়রা ও রামপাল উভয় প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় চার হাজার ৬৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। যার মধ্যে তিন হাজার ২৯৪ কোটি টাকা পায়রা প্ল্যান্ট ট্রান্সমিশন সুবিধার জন্য ব্যয় করা হবে।
২ বছর আগে
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন দেশের জন্য আত্মঘাতী: জ্বালানি উপদেষ্টা
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন,‘ওপেন পিট মাইনিং শুধুমাত্র দেশের বৃহৎ জলাভূমিকে প্রভাবিত করবে না, আমাদের মূল্যবান জমির উপরের মাটিও ধ্বংস করবে।’
শনিবার ‘টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত জ্বালানি মিশ্রণ-বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা দেশে কোনো উন্মুক্ত খনির অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন। যদিও কিছু বক্তা বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
এসময় পরিবেশ রক্ষায় আট হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন ড. এলাহী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল অনুষদের ডিন ডক্টর মোহাম্মদ তামিম।
জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বৈশ্বিক বাজারের অস্থির পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি খাত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেখানে মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ ব্যয় হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বিপিডিবির পক্ষে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে