রুমা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (রুটিন ডিউটি) মো. লুৎফর রহমান রবিবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব উপজেলায় ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আবারও বাড়ল
কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তবে এ দুটি ছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকরা অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর জেলার তিন উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের মধ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা টানা ১১ বার বাড়ানো হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে স্থানীয় প্রশাসন আলীকদম উপজেলা ও থানচি উপজেলা থেকে যথাক্রমে ১২ নভেম্বর ও ১৬ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
গত ১৮ অক্টোবর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় দর্শনার্থীদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
পরবর্তীতে ২৩ অক্টোবর একই কারণে স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জেলায় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ল
২ বছর আগে
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
নিরাপত্তার কারণে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। তবে এবার আলীকদম উপজেলার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান সেনানিবাস এর ৮ নভেম্বর তারিখের পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে রুমা ও থানচিসহ চারটি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর, ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি উন্নতির কারণে এবার আলীকদম উপজেলাকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা। পর্যটকবাহী গাড়িগুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রম নির্ভর শহরের ৫০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ৪ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে নিষেধাজ্ঞা
২ বছর আগে
বান্দরবানে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা: গ্রেপ্তার ২২
বান্দরবানে রুমায় একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার গ্যালেংগা ইউনিয়নের আবুপাড়ার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আবুপাড়ার বাসিন্দা রুইতু ম্রো (৫০), ইংচং ম্রো (২৬), মাংজং ম্রো (২৮), ক্রংপং ম্রো (৩৮), পাসিং ম্রো (২২), ক্রংতন ম্রো (৩৫), ক্রাতপং সিংচাং ম্রো (৩৯), রিংয়ং ম্রো (৩৫), ইজাং ম্রো (২৭), থনলক ম্রো (৩৫), পালে ম্রো (২৫), ক্লাংসাই ম্রো (২০), মেনপ্রে ম্রো (২০), কাইং প্রে ম্রো (১৮), মেনরাও ম্রো (২২), মেনয়া ম্রো (২৬), খনতন ম্রো (৪১), মেনয়ং ম্রো (২৪), চাংরাও ম্রো (৩১), থংওয়াই ম্রো (২৪), মেনপং ম্রো (৩৭) ও কাইং প্রো (১৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় , দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পাড়াপ্রধান ল্যাংরুই ম্রো এর পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাড়াপ্রধান ও তার চার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীর হাতে একই পরিবারের ৫ সদস্য খুন!
যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে