খারকিভ
খারকিভের চারপাশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার: ইউক্রেন
কয়েক সপ্তাহ ধরে বোমাবর্ষণের পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের চারপাশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।
শনিবার ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী জানায়, রুশ বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ থেকে পিছু হটে সরবরাহ রুটের দিকে মনোনিবেশ করছে এবং ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী ও দুর্গ ধ্বংস করতে’ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দোনেৎস্কে মর্টার, আর্টিলারি ও বিমান হামলা শুরু করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, ইউক্রেন ‘একটি নতুন - দীর্ঘমেয়াদী - যুদ্ধের পর্যায়ে প্রবেশ করছে।’
আরও পড়ুন: বন্দি রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু ইউক্রেনের
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণের পরে কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব দিকে ডনবাসের প্রতি মনোনিবেশ করেছে। শিল্প অঞ্চল ডনবাসে ইউক্রেন ২০১৪ সাল থেকে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াই করছে।
রাশিয়া রুবিঝনেসহ ডনবাসে কয়েকটি গ্রাম ও শহর দখল করেছে। রুবিঝনে যুদ্ধ শুরুর আগে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ ছিল।
খারকিভ শহরটি রাশিয়ার সীমান্তের নিকটবর্তী এবং রুশ শহর বেলগোরোড থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। শহরটি কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে গেছে। অধিকাংশ রুশ ভাষাভাষী শহরটিতে যুদ্ধ শুরুর আগে ১৪ লাখ মানুষ ছিল এবং যুদ্ধের শুরুতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্য ছিল।
২ বছর আগে
ইউক্রেনের খারকিভ থেকে ‘পুতিনের সমর্থক’ আটক
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সমর্থন জানানোর অভিযোগে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী (এসবিইউ) খারকিভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ভিক্টর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। শুক্রবার আটক করা ভিক্টরের সম্পূর্ণ নাম-ঠিকানা জানায়নি এসবিইউ।
এসবিইউ জানায়, ‘নাজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য পোস্ট দিয়েছেন ভিক্টর।
এছাড়াও তিনি জাতীয় পতাকাকে মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে ওই অঞ্চলসমূহকে পৃথক করে দেয়ার আহ্বান জানান।
এসবিইউ-এর সম্মুথে নিজের দোষ স্বীকার করে ভিক্টর বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সমর্থন করেছি (ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন)।এ জন্য আমি দুঃখিত…..আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলেছি।’
ভিক্টর খারকিভ অঞ্চলের কমপক্ষে ৪০০ জনের একজন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর ইউক্রেনের পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশ করা সহযোগিতা বিরোধী আইনের অধীনে যাদের আটক করা হয়েছিল।
রুশ বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করা, রুশ আগ্রাসনের কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার করা বা মস্কোকে সমর্থন করার অপরাধে ১৫ পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এমনকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘সহযোগিতা করা অপরিহার্য’
যদিও জেলেনস্কি সরকারের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, এমনকি অনেক রুশ ভাষাভাষীরাও তার সরকারকে সমর্থন করছে। তবে সব ইউক্রেনীয়রা রুশ এই আক্রমণের বিরোধিতা করে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সফরকালে নাগরিকদের ওপর হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা
পূর্বাঞ্চলের শিল্প অঞ্চল ডনবাসের কিছু রুশভাষী বাসিন্দারা মস্কোকে সমর্থন করছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধের আগেই এ অঞ্চলে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর মধ্যে আট বছর ধরে চলা সংঘর্ষে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ওলেক্সি দানিলভ বলেছেন, ‘সহযোগীদের একটি তালিকা’ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তবে দেশব্যাপী কতজন এই তালিকায় রয়েছে তা প্রকাশ করেননি তিনি।
সামরিক আইনের অধীনে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ ১১টি রুশপন্থী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে ৪৫০-সদস্যের সংসদে ২৫টি আসন থাকা বিরোধী দল প্ল্যাটফর্ম ফর লাইফও রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী কর্মীরা সক্রিয় লড়াইয়ে অংশ নিয়ে সরাসরি গোলাবর্ষণরে কাজ করছে।
এসবিইউ এর খারকিভ শাখার প্রধান রোমান দু্যদিন দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হল আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পিঠে কেউ যেন ছুরি মারতে না পারে; সে ব্যবস্থা করা।’
তিনি আরও বলেন, খারকিভ শাখা এমন লোকদের আটক করছে যারা আক্রমণকে সমর্থন করে, বিচ্ছিন্নতাবাদের ডাক দেয় এবং যারা দাবি করে যে ইউক্রেনীয় বাহিনী নিজেরাই তাদের শহরগুলোতে গোলাগুলি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
২ বছর আগে
ইউক্রেনে জীবন ও বন্ধু ফেলে গেছে ১০ লাখ শিশু
নিজের শহর খারকিভে বোমা পড়তে শুরু করার পর, আন্নামারিয়া মাসলোভস্কা তার বন্ধু, তার খেলনা ও তার জীবন ইউক্রেনে রেখে নিরাপত্তার আশায় পশ্চিমে তার মায়ের সঙ্গে এক দিনের যাত্রা শুরু করে।
অবশেষে অন্যান্য শত শত ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তুদের সঙ্গে ট্রেনে করে হাঙ্গেরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করার পর ১০ বছর বয়সী আন্নামারিয়া বলে, ভাইবারে পাঠানো বার্তাগুলোর উত্তর না পেয়ে খারকিভে রেখে আসা তার বন্ধুদের নিয়ে সে খুব উদ্বিগ্ন।
সীমান্ত শহর জাহনির ট্রেন স্টেশনের ভেতর থেকে স্পষ্ট ইংরেজিতে আন্নামারিয়া বলে, ‘আমি সত্যিই তাদের মিস করি। কারণ আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না। আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন, কারণ আমি জানি না তারা কোথায় আছে।’
আন্নামারিয়া, যে শুধু তার মায়ের কাছে বেড়ে উঠেছে, সে দশ লাখেরও বেশি শিশুর মধ্যে একজন, যারা রাশিয়া প্রথম আক্রমণ করার পর থেকে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে, যাকে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন ‘একটি ঐতিহাসিক প্রথম অন্ধকার ।’
এর মানে হল যে শিশুরা ২০ লাখেরও বেশি লোকের প্রায় অর্ধেককে প্রতিনিধিত্ব করে যারা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে গেছে। এটি এমন একটি প্রস্থান, যাকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট বলে অভিহিত করেছে।
যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা বেশিরভাগই ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দেশগুলোতে প্রবেশ করেছে। যেমন হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া এবং মলদোভা। বেশিরভাগই পোল্যান্ডে চলে গেছে। পোলিশ বর্ডার গার্ড এজেন্সি অনুসারে, পোল্যান্ডে ১৩ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী পাড়ি দিয়েছে।
মোলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাটালিয়া গ্যাভ্রিলিয়া রবিবার সিএনএনকে বলেছেন, তার দেশে প্রতি আট শিশুর মধ্যে একজন শরণার্থী।
যেহেতু ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় পুরুষদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি নেই৷ তাই উদ্বাস্তুদের বেশিরভাগই শিশু, নারী, শিশুদের মা এবং শিশুদের দাদি নানীরা, যারা নিরাপত্তার সন্ধানে দেশত্যাগ করেছেন।
এই নীতির উদ্দেশ্য হল ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পুরুষদের প্রয়োজন।
আন্নামারিয়ার নিজ শহর খারকিভ, ১৫ লাখ বাসিন্দা নিয়ে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এই শহরে রুশ বাহিনী ভারি বোমাবর্ষণ করেছে। গত সপ্তাহে শহরের সেন্ট্রাল ফ্রিডম স্কোয়ারে একটি সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার আগে রুশ সীমান্তের কাছে শহরের আবাসিক এলাকায় কয়েকদিন ধরে গোলাবর্ষণ করা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘অকপট, ছদ্মবেশী সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
আন্নামারিয়া, যদিও তার বয়স মাত্র ১০, সে এখন উদ্বাস্তু, তবে সে হলিউডের অভিনেত্রী হতে চায় এবং স্পষ্ট ইংরেজি বলতে পেরে সে গর্বিত৷
আন্নামারিয়া বলে, ‘আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন অভিনেত্রী হতে চাই এবং ইংরেজি আমার খুব প্রিয় ভাষা। বিশ্বের মানুষের একটি বড় অংশ এটি জানে এবং অন্য দেশে এটি বলাও খুব সহজ।’
আন্নামারিয়া ও তার মা ভিক্টোরিয়া, হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এরপর তারা কোথায় যাবে তা জানে না। আন্নামারিয়া বলে, সে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড দেখতে চেয়েছিল।
যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে সে খারকিভে ফিরে যেতে চায় এবং রাশিয়ার সহিংস হামলায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া তার বন্ধুদের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করতে চায়।
আন্নামারিয়া বলে, ‘যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, আমি সত্যিই বাড়ি যেতে চাই। কারণ সেখানে আমার বন্ধুরা আছে, আমার বাড়ির পিছনে সুন্দর পার্ক, সুপারমার্কেট, সেন্টার এবং খেলার মাঠ আছে। খারকিভ, এটা আমার হৃদয়ের টুকরার মত।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: গোলাবর্ষণ এবং নাগরিকদের দেশত্যাগ অব্যাহত
রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা বাইডেনের
২ বছর আগে
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। পতনের পর শহরটিতে আকাশ থেকে রুশ ছত্রীসেনারা নেমে আসছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খারকিভের বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠার পরপরই আকাশ থেকে হামলা চালানো শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ সৈন্যরা একটি স্থানীয় সামরিক হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। সংঘাত চলমান রয়েছে। এটি একটি রুশ ভাষাভাষী শহর এবং এ ঘটনা যখন ঘটছিল তখন সেখানে ভোর ৬টা বাজে।
এর আগে মঙ্গলবার শহরের একটি স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে মিসাইল হামলা হয়। পরের দিকেব শহরের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা হয়।
পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেন।
মঙ্গলবার খারকিভে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় অসংখ্য।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে রাশিয়ার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ
ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় হামলা জোরদার রুশ বাহিনীর
২ বছর আগে
ইউক্রেনের খারকিভ শহরে আহত ৪৪
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৪৪ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় হতাহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় জরুরি সংস্থা জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কেননা সোমবার থেকে আবাসিক এলাকায় হামলার ক্ষয়-ক্ষতি এখনও পরিমাপ করা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রুশ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আবাসিক ভবনগুলো একের পর এক ভারী বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু
ইউক্রেনে ১৬ শিশু নিহত ও ৪৫ জন আহত: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
২ বছর আগে
ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা এবং রবিবার ভোরে তাদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী সড়কে লড়াই করছে বলে জানিয়েছেন এক আঞ্চলিক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর আক্রমণের কিছুক্ষণ পরই খারকিভের দিকে অগ্রসর হতে থাকে রুশ সেনারা। কিন্তু রবিবারের আগ পর্যন্ত তারা শহরে ঢুকার চেষ্টা না করে এর উপকণ্ঠে অবস্থান নেয়।
খারকিভ শহরটি রুশ সীমান্তের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এবং শহরটিতে ১৪ লাখ মানুষের বসবাস।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
খারকিভ আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেহ সিনহুবভ বলেছেন, রবিবার ভোরে রুশ সেনারা শহরে প্রবেশ করে এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে লড়াই করে।
এ সময় তিনি নাগরিকদের ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন।
ইউক্রেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ যানবাহন খারকিভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং একটি হালকা ধরনের গাড়ি রাস্তায় পুড়ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের তেলের ডিপোতে বিস্ফোরণ
এদিকে রবিবার দেশটির রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের আশঙ্কায় নাগরিকরা বাড়ি, পাতাল গ্যারেজ ও রেলস্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন।
২ বছর আগে
ইউক্রেনের তেলের ডিপোতে বিস্ফোরণ
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের চতুর্থ দিনে রবিবার ভোরে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণে একটি তেল ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় খবরটি নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় এবং নিকটবর্তী শহর ভাসিলকিভের মেয়র জানায়, রাজধানী থেকে প্রায় ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) দক্ষিণে জুলিয়ানি বিমানবন্দরের কাছে একটি তেল ডিপো থেকে ভোরের দিকে আগুনের শিখা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রুশ বাহিনী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে একটি গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে বলেও প্রেসিডেন্টের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
ধোঁয়া থেকে বাঁচতে শহরের বাসিন্দাদের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে পরামর্শ দিয়েছে শহরটির স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধের ঘোষণা
দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের দেশকে মুক্ত করার জন্য যতদিন প্রয়োজন আমরা লড়াই করব।’
এদিকে রাজধানী কিয়েভে রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে এক লাখ ৫০ হাজারে বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হলে সংখ্যা ৪ মিলিয়নে বাড়তে পারে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
পড়ুন: ইউক্রেন সঙ্কট: রাজধানী কিয়েভে কারফিউ অব্যাহত
২ বছর আগে