শরীফ
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রিট শরীফের
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শরীফের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক এ রিট করেন। রিট আবেদনে দুদক চেয়ারম্যান, দুদক সচিব, আইন সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে। আাইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ শরীফ জানিয়েছেন, দুদক চাকরিবিধি ২০০৮ এর ৫৪(২) ধারা এবং এই ধারা বলে শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে এই রিটে। রিট আবেদনটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় সোমবারও আদালত শুনানি করতে পারেন। অথবা ১০ আইনজীবীর এ বিষয়ে করা রিটের সঙ্গে মঙ্গবারও এ বিষয়ে শুনানি করতে পারেন।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর রিটের আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের একচেটিয়া ব্যবসা গ্রহণযোগ্য নয়: হাইকোর্ট
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট করেন।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন, মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, মীর ওসমান বিন নাসিম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের অপসারণের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
২ বছর আগে
অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন শরীফের
চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন সংস্থাটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। রবিবার লিখিত আবেদনে শরীফ আদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালেরও আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
দুদকের অফিস আদেশে বলা হয়, দুদক (স্টাফ) রুলস, ২০০৮ এর ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী শরীফ উদ্দিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে। তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে পরের দিন ওই আদেশ প্রত্যাহার এবং ৫৪(২) বিধি বাতিলের দাবিতে দুদক সচিবকে স্মারকলিপি দেন কমিশনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সংস্থাটির অন্যান্য দপ্তরে মানববন্ধনও করা হয়।
আবেদনে শরীফ বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছেন সুনামের সঙ্গে। বিশেষ করে কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণের দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের দুর্নীতি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দুর্নীতি, ময়মনসিংহ ভূমি অফিসের দুর্নীতিসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের চিত্র কর্মরত অবস্থায় তুলে ধরেছিলেন তিনি, যাতে দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে ও তাঁর পরিবার নানা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তারপরও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আপস করেননি।
আরও পড়ুন: শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি: তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১০ আইনজীবীর চিঠি
চিঠিতে শরীফ উল্লেখ করেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার আগে তাঁর কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি। এটি সংবিধান পরিপন্থী।
২ বছর আগে