চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন সংস্থাটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। রবিবার লিখিত আবেদনে শরীফ আদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালেরও আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
দুদকের অফিস আদেশে বলা হয়, দুদক (স্টাফ) রুলস, ২০০৮ এর ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী শরীফ উদ্দিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে। তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে পরের দিন ওই আদেশ প্রত্যাহার এবং ৫৪(২) বিধি বাতিলের দাবিতে দুদক সচিবকে স্মারকলিপি দেন কমিশনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সংস্থাটির অন্যান্য দপ্তরে মানববন্ধনও করা হয়।
আবেদনে শরীফ বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছেন সুনামের সঙ্গে। বিশেষ করে কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণের দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের দুর্নীতি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দুর্নীতি, ময়মনসিংহ ভূমি অফিসের দুর্নীতিসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের চিত্র কর্মরত অবস্থায় তুলে ধরেছিলেন তিনি, যাতে দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে ও তাঁর পরিবার নানা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তারপরও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আপস করেননি।
আরও পড়ুন: শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি: তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১০ আইনজীবীর চিঠি
চিঠিতে শরীফ উল্লেখ করেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার আগে তাঁর কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি। এটি সংবিধান পরিপন্থী।