দক্ষিণ এশিয়া
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট
দুই দিনের সফরে বুধবার ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম সারির উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বব্যাংক। এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সহায়তায় বড় কর্মসূচি চলমান।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে বলে এক সেমিনারে এমনি মতামত তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'দক্ষিণ এশিয়া কি কর্মহীন উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে?' ‘বিশ্ব ব্যাংকের 'দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন হালনাগাদ' ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বিশ্বব্যাংক।
সেমিনারে অন্যান্য উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের অভাববেই দায়ী করেছেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফ্রান্সিসকা ওনসর্গ তার 'রিপোর্ট ফোকাসিং অন জব রেজিলিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া এপ্রিল-২০২৪' শীর্ষক উপস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধা দূর করতে নীতি সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ওনসর্গের মতে, অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।
বাণিজ্য উন্মুক্ততা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুণমানকে এই অঞ্চলে কাজের সুযোগকে জোরদার করার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ড. ওনসোর্গ দক্ষিণ এশিয়ায় নিম্ন বাণিজ্য-জিডিপি অনুপাত তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত এবং ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের মতো প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চ বাধা আরোপের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।
প্যানেলিস্টরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের গুণগত মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্নার্ড হ্যাভেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের উপর জোর দিয়েছিলেন, আরও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের পক্ষে ছিলেন। তিনি কর্মী ও দৃঢ় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মানব মূলধনে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
হ্যাভেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উৎপাদনশীল জনশক্তি নিশ্চিত করতে উন্নত দৃঢ় ব্যবস্থাপনা, নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
বেকারত্বহীন প্রবৃদ্ধির ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
৭ মাস আগে
থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
৩০ নভেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য সবচেয়ে বড় বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং সেমিনারে অংশ নিতে ৫০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ড সফর করবেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম; বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর; বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিটিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ।
বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উক্ত সফর হবে থাইল্যান্ডে সিরিজ সফরের প্রথম- জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
'বাংলাদেশ অ্যান্ড থাইল্যান্ড: নিউ হরাইজনস ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ।
থাইল্যান্ডের কৃষি, সৌন্দর্য ও ত্বকের যত্ন, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, টেক্সটাইল, এভিয়েশন, আতিথেয়তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং মৎস্য খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
এই সফরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, এফডিআই (প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ), যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধি ড. নালিন তাভিসিন; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুয়ান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-স্থায়ী সচিব একাচাত সীতাভোরারাতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জন্য গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল এবং কৃষি খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য ৪টি কারখানা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
১১ মাস আগে
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব 'শান্তিপূর্ণ অঞ্চল' তৈরি করতে পারে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বলেছেন, যৌথ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করি, তবে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার নীতি অনুসরণ করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তারা শান্তির সংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পক্ষে কথা বলছেন।
১১তম বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ-২০২৩-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ‘আত্মবিশ্বাস’ নিয়ে ‘এগিয়ে’ যাচ্ছে। ‘নিঃসন্দেহে ভারত এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং বাংলাদেশ অবশ্যই নিজেকে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দাবি করতে পারে।’
তিনি বলেন, এই দুই প্রতিবেশীর অংশীদারিত্ব এই দেশগুলোর পাশাপাশি এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে গুরুত্বপূর্ণ।
মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের যাত্রায় ভারতের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও সহায়তা জোরদার করার ওপর জোর দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার
১ বছর আগে
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপন ও দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ভিয়েতনামের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ড.যশোদা জীবন দেবনাথ।
ভিয়েতনামের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট মান্যবর ভং দিন হুয়ে ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
এফবিসিসিআই সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে আসিয়ান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক এফটিএ ও পিটিএ চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।’
ড. দেবনাথ বলেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি আমরা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতেও আগ্রহী। আমাদের রপ্তানিকে বৈচিত্র্যময় করতে সরকার কাজ করছে। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা আমাদের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে এই যাত্রায় সহযোগী হতে পারে।
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের পরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার। আমরা এই সম্পর্ককে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এদেশের সরকার ও এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এসময় এফবিসিসিআই নেতাদের ভিয়েতনামে ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতের পরে বিকেলে ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উন্নয়নে নীতি ও আইনবিষয়ক ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শমী কায়সার।
ভিয়েনতামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক ও ট্যুরিজমে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শমী কায়সার বলেন, ‘আমাদের এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বের সেরা ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে শীর্ষ ৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন ভিয়েননামের ব্যবসায়ীরা ।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅংকে, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
১ বছর আগে
দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বিকাশে নবদিগন্তের হাতছানি
যুগান্তকারী একটি জ্বালানি জোট শিগগিরই বদলে দিতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুতের প্রেক্ষাপট। সম্প্রতি ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। এর বৌদলতে নবদিগন্তের হাতছানি দেখা যাচ্ছে এ অঞ্চলের বিদ্যুতের বিকাশে। চলতি বছরের জুনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভারত সফরে এলে সই হয় এ চুক্তি।
এটি ভারতের শক্তিশালী ট্রান্সমিশন অবকাঠামোর মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ প্রবাহের নতুন এক দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশের ফের ব্ল্যাকআউট হওয়ার শঙ্কা দূর হলো, তেমনি অন্যদিকে ৯৭ শতাংশ জলবিদ্যুতে আশীর্বাদপুষ্ট নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ একটি কাঙ্ক্ষিত বাজারও খুঁজে পেল।
সেইসঙ্গে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট অজীবাশ্ম জ্বালানি সক্ষমতা অর্জনের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা সে যাত্রায় ভারত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে হাই-ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন বাংলাদেশের ভেড়ামারাকে সংযুক্ত করবে ভারতের বহরমপুরের সঙ্গে।
ত্রিদেশীয় এ চুক্তির মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বিনিময়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল। এর ফলে আঞ্চলিক জ্বালানি-নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে এ জোনে। বিশেষ করে আজকের জ্বালানি-অনিরাপদ বিশ্বে এটি খুবই প্রাসঙ্গিক। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং প্রতিবেশী সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে ধরাই যায় যৌথ এ উদ্যোগকে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উচ্চতর সমৃদ্ধির জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিরামহীন আন্তঃসীমান্ত শক্তি সঞ্চালনের যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে এ উদ্যোগ।
চুক্তিটি ফলপ্রসূ হয়েছিল যখন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল শেষবার ভারত সফর করেছিলেন চলতি বছরের জুনে। আর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে শক্তি সংযোগ বাড়াতে ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নেপালের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিতেই পারে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিককালে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। একদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস সংকট, আরেকদিকে হ্রাস পাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দ্বিতীয় কারণটি কঠিন করে তুলছে দেশের জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা। অন্যদিকে, নেপাল ভেজা মৌসুমে তার অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি উদ্বৃত্ত জলবিদ্যুতের আশীর্বাদপ্রাপ্ত। তাই বাংলাদেশের কাছে তারা অতিরিক্ত এ বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু দুপক্ষের এ চাহিদা পূরণে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুদেশের মধ্যে গ্রিড সংযোগের অনুপস্থিতি।
উভয়দেশই এ সমস্যা সমাধানে তাই সাহায্য চেয়েছিল মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকা ভারতের। আর দুটি দেশেরই ভালো বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে ওই প্রস্তাবে সম্মতও হয়েছে ভারত। বহরমপুর-ভেড়ামারা হাই ভোল্টেজ লাইন ব্যবহার করে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ ব্যবসার জন্য আন্তঃসহযোগীতামূলক এক চুক্তিতে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম (এনভিভিএন)- তিন দেশের এ তিন বিদ্যুৎ কোম্পানি।
বহরমপুর-ভেড়ামারা হাই ভোল্টেজ লাইন। ভেড়ামারায় বাংলাদেশের পশ্চিম বৈদ্যুতিক গ্রিডকে বহরমপুরে ভারতের পূর্ব গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করছে উচ্চ ভোল্টেজের এ ট্রান্সমিশন লাইনটি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি সম্পাদনের ফলে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ১৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ উচ্চ ভোল্টেজ লাইনের মাধ্যমে প্রশস্ত হবে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথ।
এই লাইনটি ছাড়াও বাংলাদেশ ও নেপাল এরই মধ্যে ভারতের মধ্য দিয়ে আরও একটি ট্রান্সমিশন লাইন বিবেচনা করছে, যা শুধুমাত্র নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের জন্য নিবেদিত হবে।
অপচয় রোধ করতে কিংবা কমাতে নিজেদের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ স্থানান্তরের সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল নেপালের জন্য। ২৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসহ নেপাল তার ৯৭ শতাংশের বেশি উৎপাদন করে জলবিদ্যুৎ। বর্তমানে নেপাল প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করছে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নিজেদের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে দেশটি।
এই বর্ধিত আউটপুট আর্দ্র মৌসুমে উদ্বৃত্ত শক্তিতে পরিণত হয় যা নেপালকে রপ্তানি করতে হবে এবং এর জন্য বাজারের সন্ধানে ছিল দেশটি। ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তির ফলে নেপাল কিছু অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চেয়েছিল।
অন্যদিকে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি মেটাতে এবং দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ চাইছে বাংলাদেশও।
এ ছাড়া একটি নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য অদূর ভবিষ্যতে শক্তির প্রচলিত উৎস থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে ধাবিত হতে হবে বাংলাদেশকে। এটি কেবল দেশের শক্তি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নয়, দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্যও প্রয়োজনীয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতার হুমকির মুখে পড়েছে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো। যুদ্ধের এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সংকট প্রশমনের নিমিত্তে আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি সহযোগিতা এবং পাওয়ার করিডোরের ধারণাকে পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
এদিকে নেপাল যেহেতু একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, তাই বাংলাদেশে তার উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে ভারতের সাহায্য ও সমর্থন প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও নেপাল ভারতের সহায়তায় আন্তঃসীমান্ত পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিংক ব্যবহার করে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (সিইআরসি) অনুসারে, ভারতের সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে এ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তা ছাড়া ভারত নিজেই নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি সবুজ ভারতে রূপান্তরিত হতে চাইছে। যার লক্ষ্য অজীবাশ্ম উৎস থেকে ৫০০ গিগাওয়াট উৎপাদন করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা। তাই ভারতেরও এই আন্তঃসীমান্ত চুক্তিতে দারুণ আগ্রহ আছে। কারণ বাংলাদেশের এ পাওয়ার করিডোর ব্যবহার করে তারাও নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হবে। আর বাংলাদেশ সরকার নিজেও ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ শক্তির মিশ্রণ পেতে চাইছে, যেখানে এই মুহূর্তে তারা মাত্র তিন শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।
মোটকথা, এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি নিরবচ্ছিন্ন উপায়ে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের নতুন এক যুগের সূচনা করতে চলেছে, যা দক্ষিণ এশীয়ায় ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। সবার পারস্পরিক সুবিধার জন্য প্রতিবেশীদের মধ্যে সহযোগিতার প্রমাণ হিসেবে এই যৌথ উদ্যোগ সমগ্র অঞ্চলের জন্যই শুভ। দক্ষিণ এশিয়ার শক্তির দৃশ্যপটকে পুনর্নির্মাণে একটি যুগান্তকারী এক মাইলফলক হতে পারে ত্রিদেশীয় এ শক্তি-বণ্টন চুক্তি।
লেখক: পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক এবং সফট পাওয়ার কূটনীতি সম্পর্কিত জাতীয় প্রকল্পের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা, ভারত।
১ বছর আগে
বৃহত্তর স্বার্থে আ. লীগের সঙ্গে কাজ করবে বিজেপি: জে পি নাড্ডা
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেছেন, বিজেপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আগামী দিনে দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
সোমবার (৭ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে তার বাসভবনে পাঁচ সদস্যের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে জে পি নাড্ডা এসব কথা বলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন জানায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং সংসদ সদস্য আরমা দত্ত ও অধ্যাপক মেরিনা জাহান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে তারা এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ দমন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় নাড্ডা বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটি ঐতিহাসিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে: নির্বাচন প্রসঙ্গে এমইএ মুখপাত্র
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানসমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমানা ও সমুদ্রসীমা বিরোধ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সংকট দুই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদে সমাধান করা হয়েছে।
বিজেপি সভাপতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সংকট সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। যা এখন অন্যান্য দেশের কাছে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকটি ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, তারা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিজেপি খুব ভালো সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং আমরা দুই দল সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করছি।’
ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তড়ে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. আব্দুর রাজ্জাক তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে তারা দুই দলের পাশাপাশি দুই দেশের উন্নয়নের জন্য প্রতিনিধি পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দলীয় পর্যায়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
১ বছর আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ, মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সহায়তায় সম্প্রতি ‘আস্ক দারাজ’ শীর্ষক একটি এআই চ্যাটবট চালু করেছে।
দারাজ ব্যবহারকারীদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও পার্সোনালাইজড করে তুলতে এই ফিচারটি চালু করা হয়।
যার মাধ্যমে চ্যাটবটে কেনাকাটা বিষয়ক আলোচনা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যের পরামর্শ পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে দারাজে ৩ কোটির বেশি ক্রেতা রয়েছে, যাদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
আস্ক দারাজ সার্ভিসটি প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করবে যা নতুন দারাজ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে সহজে পণ্য খুজে দিতে সাহায্য করবে। যার ফলে ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবে।
জি এস এম এ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ কোটিতে, যা নতুন গ্রাহকদের সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে, এই নতুন মোবাইল গ্রাহকদের অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতার প্রসারে আরও অবদান রাখবে, কারণ এটি নন ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিকেলসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্যিক শক্তি দিয়ে কমিউনিটিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ‘আস্ক দারাজ’ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক কারণ আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নতুন মার্কেট সেগমেন্ট চালু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমাদের মার্কেটগুলোতে ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এবং আমাদের অ্যাপে মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সাহায্যে তৈরি এই অত্যাধুনিক ফিচারের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও চ্যাটবটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট সার্চ করা হবে, ক্রমাগত এর প্রোডাক্ট সাজেশন তত বেশি প্রাসঙ্গিক ও পার্সোনালাইজড হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তনেও ভুমিকা রাখবে।’
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার ডায়োমেডিস কাস্তানিস বলেন, ‘মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রিটেইল খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দারাজ-এর যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স খাতের অন্যতম নাম হিসেবে দারাজ তার ৩০ মিলিয়ন গ্রাহকের কাছে আরও বেশি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তাদের একটি সন্তোষজনক অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত বলে মনে করি। এছাড়াও, ‘আস্ক দারাজ’ ফিচারটি নতুন গ্রাহকদের প্ল্যাটফর্মে আসতে উৎসাহিত করবে। এই পদক্ষেপ খুচরা বিক্রেতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নতুনত্ব আনতে সাহায্য করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গ্রাহকদের একটি পার্সোনালাইজড অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতাও উপহার দিবে।’
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
১ বছর আগে
বাইরের চাপের মুখে বাংলাদেশের সতর্ক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, বাংলাদেশকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার জন্য সংস্থাটির অব্যাহত সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রমাগত বাহ্যিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে, যার জন্য সতর্ক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তবে আরও বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য কাঠামোগত সংস্কারকে আরও গভীর করা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং জলবায়ু বিপর্যয়গুলোর বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করা প্রয়োজন।’
রাইসার মঙ্গলবার বাংলাদেশে তার দুই দিনের সফর শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক তার দেশভিত্তিক নতুন কৌশল এবং বিদ্যমান বৃহৎ পোর্টফোলিও দ্রুত বাস্তবায়ন কৌশলের অধীনে সহায়তা দ্বিগুণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৈশ্বিক ঋণ সংস্থার তথ্যমতে, রাইসার তার বর্তমান দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
সফরকালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ৮৫৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল পাচ্ছে
তারা ২০২৩-২৭ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক এবং সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা কীভাবে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করতে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাইসার বিশ্বব্যাংক-সমর্থিত প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা খাতকে শক্তিশালী করতে এবং কোভিড-১৯ মহামারিতে আরও ভালোভাবে সাড়া দিতে ১৯১ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নে স্বাক্ষর করেছে।
উচ্চশিক্ষার দ্রুত রূপান্তর প্রকল্প উচ্চশিক্ষায় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে সহায়তা করবে। এটি আরও বেশি নারীকে মানসম্মত শিক্ষা পেতে সহায়তা করবে।
রাইসারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক যথাক্রমে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
১ বছর আগে
ড্রিমলাইনারে বিদেশি পাইলটদের 'লাইন ট্রেনিং' দিচ্ছে বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিদেশি পাইলটদের অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার ৭৮৭ এ লাইন ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার এভিয়েশন ইতিহাসে নবদিগন্তের সূচনা করেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা-সিলেট-লন্ডন রুটের ফ্লাইটে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্সের একজন পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ট্রেনিং প্রোগ্রামটির যাত্রা শুরু হয়।
মঙ্গোলিয়ান রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের ১২ জন পাইলট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে প্রশিক্ষণ নেবেন।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
প্রথম ব্যাচে তিনজন বর্ণিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। আর এজন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশই প্রথম বিদেশি পাইলটদের অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম শুভ উদ্বোধন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ যুগ্মসচিব জনাব মো. ছিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন্স ক্যাপ্টেন মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ট্রেইনার ও পাইলটবৃন্দ।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় ফ্লাইট সেফটি স্ট্যান্ডার্ড-এর কারণে বিমানের প্রতি বিদেশি এয়ারলাইন্সসমূহের আস্থা অর্জিত হয়েছে।
বিমানের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড ও মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদান সক্ষমতার কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সের বিমান প্রদত্ত ট্রেনিংয়ের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের পরিধি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ত্যাগের পূর্বে বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে