কাজী হাবিবুল আওয়াল
অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপ করা হবে।
শুক্রবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়াও অনেকগুলো কাজ আমাদের হাতে রয়েছে। সব কিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন,আজকে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হলো। এমন আরও অনেক কাজ রয়েছে। অচিরেই বিএনপিসহ সব দলকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এটা আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই হবে।
ইভিএমের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য কী করছে নির্বাচন কমিশন এ প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল বলেন, ইভিএমের সক্ষমতা কতটুকু দরকার এবং ইভিএম নিয়ে আরও কিছু সভা সেমিনার করবো। তারপরে আমরা ইভিএম সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিন্তা করবো। এই মুহূর্তে আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
৩০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বলা সম্ভব নয়। তবে সামনে আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ কিন্তু এখনও আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। প্রশ্ন রেখে সিইসি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে আমি ভোটকেন্দ্রে যাব না, আমাকে কেউ জোর করে নিয়ে যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমার মধ্যে যদি সঠিক দায়িত্ববোধটুকু থাকে। এতটুকু বুঝতে হবে আমি পরিচালিত হবো, আমার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হালনাগাদ কার্যক্রমের সঙ্গে এই প্রথম আমি জড়িত হচ্ছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করাই আমার দায়িত্ব কর্তব্য। আমরা তা করবো, যাতে কেউ বাদ না যায়; শৃঙ্খলা থাকে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত,গীতা পাঠ,ত্রিপিটক পাঠ ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা জেলা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান, সাভার উপজেলা চেয়াম্যান মুন্জুরুল আলম রাজীব ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,সমাজকর্মী,ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
২ বছর আগে
সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান নতুন সিইসি’র
দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে সহায়তা করতে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সবাইকে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করতে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক সংসদ গঠনের আহ্বান জানাতে চাই।’
সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে সিইসি নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
সিইসি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে সুশাসন ও সংসদ উপহার দেব। এ দিক থেকে আমাদের কোনো কৃপণতা থাকবে না।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সবাইকে নির্বাচনমুখী করতে চাই। আমাদের প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না- দলটির এমন ঘোষণার প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঘোষণার পরও আমরা কি তাদের আলোচনা ও চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাব না?’
সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে কমিশনকে সহায়তা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন, বিশেষ করে সংসদীয় নির্বাচন একটি ব্যাপক কাজ। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে নতুন সিইসি বলেন, ইসি সার্বিকভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা করবে। “রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা না হলে আমি তাদের ‘মুরুব্বি’ (মধ্যস্থতাকারী) হতে পারব না।”
তিনি বলেন, ‘তারা (রাজনৈতিক দল) আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ। আমরা তাদের কাছে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য আবেদন করবো।’
এ সময় হাবিবুল আউয়াল বলেন, তার কমিশনের সব সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা ভোটারদের আস্থায় আনতে চাই।’
এ সময় নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবিব খান, এম আলমগীর ও আনিসুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ গ্রহণ করেছেন।
রবিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ
এর আগে শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান (অব.), সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।
সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো কোনো আইনের অধীনে সদ্য গঠিত এ নির্বাচন কমিশন সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এর আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যান।
এর আগের দুই নির্বাচন কমিশনের মতো নতুন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেন। সার্চ কমিটি প্রতি পদে দুজনের নাম প্রস্তাব করে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ নামের তালিকা গ্রহণ করেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম চায় সার্চ কমিটি। কিন্তু বিএনপি ও অন্য কয়েকটি দল কোনো নাম দেয়নি।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
এছাড়া এ বিষয়ে সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করে।
কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে। নির্বাচনটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে হওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। তবে সাধারণ নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে আয়োজন করতে হয়।
২ বছর আগে