টি-শার্ট
সেরা ১০ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
পাইকারি হারে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে একসাথে বেশি সংখ্যক পণ্য নেয়ার প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে এখানে বেশ অল্প দামে পণ্য পাওয়া যায়। অতঃপর তা অপেক্ষাকৃত বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এখানে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত মালামাল সংরক্ষণের জন্য গুদামের ব্যবস্থা করতে হয়। তারপর এখান থেকেই প্রয়োজন মতো পণ্য খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা যায়। অর্থাৎ উৎপাদনকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে এক রকম সেতুবন্ধন রচনা করেন পাইকারি ব্যবসায়ী। খুচরা বিক্রেতাদেরকে লাভবান হতে অনেক সময় নিতে হয় এবং তার পাশাপাশি এটা বেশ শ্রমসাধ্যও ব্যাপার। অন্যদিকে, পাইকারি ব্যবসায় অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে বেশ ভালো লাভের মুখ দেখা যায়। আজকের আর্টিকেলে তেমনি ১০টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
ফলের পাইকারি ব্যবসা
ফল স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আর তাই বিভাগীয় অথবা মফস্বল শহরগুলোতে সবার কাছেই ফলের চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশের বাজারগুলোতে প্রায় বার মাস-ই ফলের রমরমা আয়জন দেখা যায়। বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় কিংবা অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় প্রত্যেকের হাতেই প্রায় সময় একটা না একটা ফল দেখাই যায়। এর মধ্যে কলা, আঙুর ও আপেল সহ বিভিন্ন ফলের দোকানে সারা বছরই ভিড় থাকে। বিশেষ করে কলা ফলের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন টং বা চায়ের দোকানেও একটি সাধারণ খাবার।
ফলের বিশাল সমারোহ দেখতে হলে যেতে হবে পুরনো ঢাকার বাদামতলীতে। এখান থেকেই পাইকারি ক্রেতারা স্বল্প দামে অনেক করে ফল কিনে আবাসিক এলাকার পাশের বাজারগুলোতে ফল সরবরাহ করে থাকেন। এই পাইকারি বাজার থেকে ফল সাধারণত কার্টুন বা বক্সে করে বিক্রি হয়। প্রতি বক্সে প্রায় ১৬ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ফল থাকে।
পড়ুন: চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়
চা-পাতার পাইকারি ব্যবসা
বাঙালির নিত্যদিনের জীবনের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত যে পানীয়টি, সেটি হচ্ছে চা। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলও চা উৎপাদনে বিশ্ব সেরা। এই চা-পাতার রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে আছে সবুজ চা, ওলোং চা, ও প্যারাগুয়ে চা। চা-পাতা সাধারণত আরডি, সিডি, ডাস্ট, ও বিওপি গ্রেডের হয়।
চা-পাতা নিয়ে ব্যবসা করতে হলে ন্যূনতম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হলেই দারুণভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়। সরাসরি সিলেটের উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে চা-পাতা কিনে সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা যায়। এছাড়া চায়ের সাথে একটা ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত ব্যাপার জড়িয়ে থাকার কারণে অনেকে মাসের পর মাস ভরে চা-পানের জন্য এই পাইকারি ক্রেতাদের কাছ থেকে চা-পাতা কিনে নেন।
ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা
বাংলাদেশে নানান ধরনের লাইট, টিউব, তার, সকেট, সুইচ সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের বিশাল এক বাজার রয়েছে। এসব পণ্যের পাইকারি ব্যবসার জন্য প্রয়োজন কিছু বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রথমেই যেটি দরকার সেটি হলো পণ্য কেনা-বেচার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বাছাই করা। এর সাথে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, একজন নিখাদ উৎপাদনকারীর কাছ থেকে মালামাল নেয়া।
পড়ুন: ‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
পুরনো ঢাকাস্থ গুলিস্তানের কাপ্তান বাজার কমপ্লেক্স রাজধানীর সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের মার্কেট। তবে এখান থেকে মালামাল কেনার সময় অবশ্যই প্রতারক হতে সাবধান থাকতে হবে। সঠিক তথ্য নিয়ে উপযুক্ত জায়গা থেকে পণ্য কিনলে এই ব্যবসায় খুব দ্রুত লাভ করা যায়।
স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা
বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস পাড়া সবখানেই স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা নতুন বিষয় নয়। তবে বর্তমানে এই ব্যবসার বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, শার্পনার প্রভৃতি জিনিসপত্রের একটা বৃহৎ মার্কেট হচ্ছে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। খুচরা মূল্যের স্বল্পতার পাশাপাশি এই পণ্যের গ্রাহকদের বয়সের পরিধি বিশাল। তাই এ থেকে ভালো পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর হতেই পারে না। তবে মনে রাখতে হবে এই ব্যবসায় মার্জিন অন্য পাইকারি ব্যবসার তুলনায় কিন্তু বেশ কম।
প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি মধ্যস্থতাকারীদের লাভের অংশ থাকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এ থেকে খুচরা দোকানিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন দিয়ে দিতে হয়। তাই গড়পড়তায় উপলব্ধ মার্জিন থাকে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এই ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপারে ভালো ভাবে জানা থাকতে হবে।
পড়ুন: বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অনন্য মাধ্যম
টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা
তুলনামূলকভাবে কম পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে টি-শার্টের ব্যাবসা সবচেয়ে ভালো উপায়। কাপড় শিল্পে বাংলাদেশের এমনিতেই জগৎ জোড়া খ্যাতি আছে। সুতরাং পাইকারি দরে টি-শার্ট সংগ্রহের জন্য কারখানা খুঁজতে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। এগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে তৈরি হয় বিশ্বমানের টি-শার্ট। এই ব্যবসায় লাভ করতে হলে কৌশলী হতে হবে।
ব্যবসার কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিন, ধর্মীয় ও বিভিন্ন ধরনের উৎসবের মত বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে। এই ব্যবসাতে লাভের পরিধিটা বেশ বড়সড় হয়, তবে তার জন্য অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে এগোতে হয়।
কাঁচামালের ব্যবসা করা
লজিস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কাঁচামাল। প্রতিটি বড় বড় পণ্য চেইনে এই কাঁচামাল নিয়েই দাড়িয়ে যায় পাইকারি ব্যবসা। এমনকি এটা বেশ লাভজনকও বটে। সাধারণত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকে কাঁচামাল শহরমুখী হয়। বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনে শহরের বড় বড় কোম্পানির কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করাটাই হচ্ছে এখানে প্রাথমিক পদ্ধতি।
পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিখুঁত মালামাল সরবরাহ করা। এর জন্য কোন ভায়া মিডিয়া না হয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেই কেনা উচিত। এই পলিসি বজায় রাখতে পারলে ব্যবসা দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। কেননা নিখাদ কাঁচামাল মানেই ভালো পণ্য।
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
কাপড়ের ব্যবসা সবসময়ই বাংলাদেশে জাঁকজমক অবস্থায় ছিলো। তবে এখন তা বহুগুণে অগ্রসর হচ্ছে। বিভিন্ন তাঁতি কিংবা পোশাক তৈরিকারক কোম্পানির কাছ থেকে পোশাক কেনা যেতে পারে। এছাড়া আরেকটি উপায় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও নবাবগঞ্জের মত জায়গাগুলো থেকে কাপড় কেনা। অতঃপর এগুলো শহর বা রাজধানীর বড় বড় দোকানদারদের কাছে বিক্রি করে দেয়া।
এই রকম ব্যবসায় মধ্যস্থতাতে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার সেটা হচ্ছে পার্টিগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধন করা। তবে পুঁজির পরিমাণটা এখানে একটু বেশি, আর সেই পরিমাণটা হচ্ছে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো।
পড়ুন: পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
রাজধানীর ইসলামপুর অনেক আগে থেকেই পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক আগে থেকেই কাপড়ের ব্যবসা করে অনেকেই ভালো পরিমাণে লাভের অধিকারি হচ্ছে। কারণ এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসে। এটা ঢাকার জন্য। এছাড়া শহরতলী বা অজোপাড়াগাঁয়েও যেখানে নানান স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জমায়েত হন সেখানে কাপড়ের দোকান দেয়া যেতে পারে।
মুদি পাইকারি ব্যবসা
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ভান্ডার হচ্ছে মুদি দোকান। স্বাভাবিকভাবেই একজন মানুষের প্রতিদিনের খাবারের একটা বিশাল অংশের যোগান দেয় এই মুদির দোকান। চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু, পিঁয়াজ, চিনি প্রভৃতির চাহিদা কখনোই কমবে না। তাই দীর্ঘ সময়ের নির্ভরযোগ্য পাইকারি ব্যবসার জন্য হওয়া যেতে পারে মুদির পাইকারি বিক্রেতা। মুদি পণ্যগুলো পাইকারি দামে সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে তা বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়া যেতে পারে। সঠিক ভাবে ব্যবসাটি করতে পারলে এখান থেকে দীর্ঘ সময়ে ভালো পরিমাণ রিটার্ন আসার সম্ভাবনা আছে।
রাসায়নিক কৃষি ব্যবসা
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের জীবনধারণের জন্য কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই কৃষিক্ষেত্রে কাজে লাগা সরঞ্জামগুলো নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করা যেতে পারে। কৃষি কাজ মানেই জৈব বীজ, ফসলের সার, কীটনাশক এবং ভারী কিছু যন্ত্রপাতি। তাছাড়া ট্র্যাক্টর বা কৃষিজ মালামাল পরিবহনের বাহন তো আছেই। এগুলোর যোগান দেয়ার কথা মাথায় রেখেই গড়ে উঠেছে বিশাল মার্কেট। এই মার্কেটে ভালো মত ঢুকতে পারলে বেশ বড় অংকের লাভ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।
পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
কেক, বিস্কুট ও পাউরুটির পাইকারি ব্যবসা
প্রতিদিনকার দরকারি খাবার না হলেও কেক, বিস্কুট আর পাউরুটির চাহিদা কিন্তু কম নয়। অনেকেরই সকালের নাস্তা মানেই পাউরুটি আর বিকেলের স্ন্যাক্স মানে কেক আর বিস্কুট। বর্তমানের এগুলোর উত্তরোত্তর চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে বহু কারখানা। শুধুমাত্র কেক বা প্যাস্ট্রি দিয়ে অনেকে খুলে ফেলছে অভিজাত দোকান।
এগুলোর প্রয়োজনীয় সাপ্লাই নিশ্চিত করতেই কাজ করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যান্ডের দোকানগুলোতে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য তাদের নিজস্ব লজিস্টিক্স চেইন ব্যবস্থা আছে। তথা কারখানা, সাপ্লায়ার সবি নিজেদের। এখানে পুঁজির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম কিন্তু লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
পরিশিষ্ট
এই সেরা ১০টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিমেষেই যে কাউকে আর্থিকভাবে সফলতার দিকে ধাবিত করতে পারে। একজন সফল পাইকারি ব্যবসায়ী খুচরা দোকানি এবং পণ্য নির্মাতাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কটিকে খুব ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যোগাযোগের দক্ষতার সাথে এখানে আরো যে জিনিসটি দরকার তা হলো বিপণনের ব্যবহারিক জ্ঞান। নিদেনপক্ষে, এমন একটি পাইকার ব্যবসা শুরু করা উচিত, যে বিষয়ে আগে থেকেই কিছু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। এর সাথে কঠোর পরিশ্রমী ও কৌশলী হলে যে কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীই সাফল্যের উচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
২ বছর আগে
বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
আগামী নভেম্বরে কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। প্রায় মাসজুড়ে উৎসবে ভাসবে দেশটির মানুষ। সেই উৎসবের ঢেউ স্পর্শ করবে দুনিয়ার তাবৎ ফুটবল প্রেমীদের। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট পড়বে ফুটবল ভক্তরা।
চট্টগ্রামের সনেট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছে টি-শার্টগুলো। প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট বানিয়ে রপ্তানি করেছে চট্টগ্রামের এ পোষাক কারখানা। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্ট, জ্যাকেট তৈরি করেছিল।
ইতোমধ্যে অর্ধেক শার্ট রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখতে চায় টাইগাররা
জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয়। কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দিয়েছিল।
ফিফার অফিশিয়াল টিশার্ট তৈরিতে কঠোর সব শর্ত মানতে হয়। সেইসব শর্ত পূরণ করে দিনরাত কাজ করছেন বাংলাদেশি পোষাক শ্রমিকরা। এটি তাদের পেশাগত কাজ হলেও বর্তমান উৎপাদনে বাড়তি আনন্দ আছে বলে জানান শ্রমিকরা।
সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিফার লাইসেন্সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে নিয়ে যায়। আমাদের রাশিয়ান ক্রেতাও ফিফা থেকে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দিয়েছিল। তারা যে ডিজাইন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা টি-শার্টগুলো তৈরি করে দিয়েছি। এগুলো রাশিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে তারা তাদের স্টলে সেগুলো বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
নিট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এর আগেও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্টও রপ্তানি করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমারা নিয়মিতই পোশাক রপ্তানি করি। তবে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া বড় একটি ইভেন্টের টি-শার্ট তৈরি করতে পেরে ভালো লেগেছে। কেননা এর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত।
২ বছর আগে