বন্ধুর হাতে খুন
ইজিবাইক ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় বন্ধুর হাতে খুন হন চালক ওয়ায়েজ
কক্সবাজারে ইজিবাইক ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন চালক ওয়ায়েজ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক রোহিঙ্গাসহ গ্র্রেপ্তার চারজন তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তির কথা জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- চকরিয়া বড়পুকুরিয়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (২০), লোহাগাড়া চুনতি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৬), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে মো. হোসেন (৩১) ও মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আবু হেনা হানিফ (৩৩)।
আরও পড়ুন: খামারের আড়ালে ডাকাতি: ৪১টি গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
র্যাব-১৫ অধিনায়ক জানান, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে রামুর খুনিয়াপালংয়ের পূর্ব ধেচুয়াপালং সড়কের পাশে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ধারণা করা হয়, দুর্বৃত্তরা ওই কিশোরকে উপর্যুপরি আঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু নিহত কিশোরের পরিচয়, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। পরে র্যাব-১৫ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করার জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারসহ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে।
নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রামু থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা করার মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ ঘটনায় জড়িত এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্র। আসামি নুরুল ইসলাম ও ভিকটিম মো. ওয়ায়েজ একে অপরের বন্ধু। দুজনেই পেশায় ইজিবাইক চালক। গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নূরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ ভিকটিম মো. ওয়ায়েজের ইজিবাইকে করে সমিতিপাড়া থেকে মরিচ্যা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে নুরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ মরিচ্যার খুনিয়াপালং এলাকায় রামু-মরিচ্যা রোডের পাশে ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে চালক ওয়ায়েজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু ওয়ায়েজ তাতে বাধা দেয়ায় দুজনে মিলে তাকে মারধর করে এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে জমিতে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর নুরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ ছিনতাই করা ইজিবাইকটি অপর দুই আসামি মো. আরিফ হোসেন ও মো. হোসেনের (রোহিঙ্গা) কাছে জমা দিয়ে চলে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
২ বছর আগে