বাহিনী
পূজায় আইনশৃঙ্খল বাহিনী নজর রাখছে: মোজাম্মেল হক
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, পূজার সময় যাতে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় যাতে আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন; সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থায় আছি। মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জনগণও চায় না এমন ঘটনা আর ঘটুক।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের সময়, পত্রপত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ ব্যবসাকে বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অল্পসংখ্যক এনজিও আছে যারা এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অ্যালার্মিং। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গাদের কিন্তু মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরাও পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা কনভিন্স করেছে। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, কিছু এনজিও আছে তারা নিরুৎসাহিত করছে, গুজব রটায় যে সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এই অপপ্রচারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে থেকে সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে পারছি না। মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হয়ে গুজবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দল বুঝবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব না কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা। তাদের দায়িত্ব জনগণের সব কিছু যাতে স্বাভাবিক হয় সেটি দেখা।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করলেন মোজাম্মেল হক
তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে টেনটেটিভ সময় ঘোষণা করেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। এরপর সরকার নতুন কোনো পরিকল্পনা নিতে পারবে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যাবে। অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু থাকে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার তা পালন করবে। ভোটের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য সচেতন থাকবে।
এদিকে চাকরিরতদের সন্দেহ হলে যেকোনো সময় মাদক শনাক্তকরণ টেস্ট (ড্রাগ অ্যাবিউজ) করা হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, মাদক গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা পার হলে ডোপ টেস্টে আর শনাক্ত করা যায় না। সেজন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ইতোপূর্বে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যেকোনো সময় সন্দেহজনক হলে টেস্ট করা হবে। এর নাম দেওয়া হবে ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মাদক ও নেশার দ্রব্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সেজন্য যেসব রুটে এসব আসে সে রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কী করেন সে ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদ, মন্দিরসহ থর্মীয় উপাসানলয় থেকেও যেন মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে তারাও কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ফরাসি বাহিনীর কর্মকর্তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত ফরাসি বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লারস।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ড্রাইডক সহযোগিতা এবং সমুদ্রপথে চলাচল সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
শেখ হাসিনা চলতি বছরের ২-৬ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানের জন্য ফরাসি ফ্রিগেট ‘এফএইচ সারকফ’ ভেড়ায় স্বাগত ও অভিনন্দন জানান।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে ফ্রান্স ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল এবং ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালে আন্দ্রে ম্যালরাক্স এবং বার্নার্ড-হেনরি লেভির মতো নেতৃস্থানীয় ফরাসি বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে আমাদের জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাও প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ বাংলাদেশের: সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড্রাইডক বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লারস বলেন, ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি দেশ এবং তারা নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আকাশ পথের স্বাধীনতার পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের আইনকে সম্মান করা উচিত।’
তিনি বলেন, মানব পাচার, বিশেষ করে নারী পাচারও বিশ্বের জন্য একটি বড় সমস্যা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল
১ বছর আগে
ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ জার্মানিতে শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
ইউক্রেনের নতুন সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ বাড়িয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।প্রায় ৫০০ সৈন্যের ব্যাটালিয়নকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরাতে এই প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। যারা আগামী আগামী পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
রবিবার জার্মানিতে এই সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মিলি সোমবার গ্রাফেনউয়ার প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করছেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সৈন্যরা কয়েকদিন আগে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে। জার্মানিতে তাদের ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে কখন থেকে সেই প্রশিক্ষণ শুরু হবে তা বললে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন।
তথাকথিত সম্মিলিত অস্ত্র প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর দক্ষতাকে বাড়ানো যাতে তারা আক্রমণ চালাতে বা রুশ আক্রমণের যেকোনও ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে। তারা সম্মিলিত আর্টিলারি, বর্ম এবং স্থল বাহিনী ব্যবহার
করে যুদ্ধে তাদের কোম্পানি- এবং ব্যাটালিয়ন-আকারের ইউনিটগুলোকে আরও ভালভাবে সরানো এবং সমন্বয় করতে শিখবে।
রবিবার তার সঙ্গে ইউরোপে ভ্রমণরত দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময়, মিলি বলেছিলেন সমন্বিত এই জটিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনীয়রা নতুন অস্ত্র, আর্টিলারি, ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা তাদের অঞ্চলগুলো পুররুদ্ধার করবে, যা রুশ বাহিনী ১১ মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে।
মিলি বলেছিলেন, ‘এই সমর্থন ইউক্রেনের পক্ষে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ,’ ‘এবং আমরা আশা করছি এখানে অল্প সময়ে এটি একসঙ্গে টানতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লক্ষ্য হলো সমস্ত আগত অস্ত্র এবং সরঞ্জাম ইউক্রেনে সরবরাহ করা যাতে নতুন প্রশিক্ষিত বাহিনী এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হয় ‘বসন্তের বৃষ্টিপাতের কিছুটা আগে। সেটা হবে আদর্শ।’
রাশিয়া কিয়েভ, উত্তর-পূর্ব শহর খারকিভ এবং দক্ষিণ-পূর্ব শহর ডিনিপ্রো সহ বিস্তৃত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এ পৌঁছেছে।
মিলি বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত করতে চান যে প্রশিক্ষণটি সঠিক ধারায় রয়েছে এবং অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা এবং এটি নিশ্চিত করতে চান যে এটি সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে ভালভাবে চালিত হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটিতে শ্রেণিক্ষে পাঠদান এবং মাঠের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা ছোট স্কোয়াড দিয়ে শুরু হবে। এবং ধীরে ধীরে বড় ইউনিটে রূপান্তরিত হবে। এটি জটিল যুদ্ধ অনুশীলনের মাধ্যমে শেষ হবে এবং একটি সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন ও একটি সদর দপ্তর ইউনিটকে একত্রিত করবে।
এখন অবধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব হলো ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আরও তাৎক্ষণিক যুদ্ধক্ষেত্রে সরঞ্জাম সরবরাহের দিকে, বিশেষ করে কীভাবে দেশে মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থার বিস্তৃত অ্যারে ব্যবহার করা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তিন হাজার ১০০ টিরও বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যকে নির্দিষ্ট অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে হাউইজার, সাঁজোয়া যান এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম রয়েছে, যা এইচআইএমএআরএস নামে পরিচিত। অন্যান্য দেশগুলোও তাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে।
গত মাসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ধারণাটি হলো ‘তাদেরকে এই উন্নত স্তরের সম্মিলিত প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষম করে তোলা যা তাদেরকে কার্যকর সম্মিলিত অস্ত্র পরিচালনা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে সক্ষম করে তুলবে।’
মিলি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড এবং বিশেষ অভিযানিক বাহিনী যারা প্রশিক্ষণ দিচ্চিল তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে যায়। এই নতুন প্রচেষ্টাটি মার্কিন সেনাবাহিনী ইউরোপ ও আফ্রিকার সপ্তম আর্মি ট্রেনিং কমান্ড দ্বারা করা হচ্ছে। এটি আক্রমণের আগে তারা যা করে আসছিল তার ধারাবাহিকতা হবে। অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররাও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সৌদি আরব গেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান
রয়েল সৌদি এয়ার ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল তুর্কি বিন বন্দর বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান সৌদি আরব গেছেন।
রবিবার সস্ত্রীক তিনি সরকারি সফরে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সফরকালে তিনি চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ফাইয়াদ বিন হামেদ আল-রুওয়াইলি এবং রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সের এইচএইচ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল তুর্কি বিন বন্দর বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া তিনি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিসহ বিভিন্ন বিমান চলাচল প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
আড়িয়াল খাঁ নদে গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বরখাস্ত
চট্টগ্রামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে আরএনবির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া চার সদস্য হলেন- সিপাহি মাইন হাসান রাকিব, লিটন চাকমা, হাবিলদার মো. রবিউল ইসলাম। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানায় রেলের নিরাপত্তা বিভাগ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবির কমান্ডেন্ট রেজওয়ানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে একটি বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে আরএনবির চার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে একটি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্য ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। সাদা শার্ট পরিহিত ওই যাত্রী আরএনবির সদস্যের সঙ্গে অনিয়ম নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় আরএনবির এক সদস্য ওই বিশেষ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নাম ধরে গালি দিতে দিতে ওই সদস্যকে লাথি মারতে থাকেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আরএনবির চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি
রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
২ বছর আগে
সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
সরকার জনরোষের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘হায়েনার’ মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ রাজনৈতিক শক্তি সবসময় আতঙ্কে থাকে। এ কারণে জনগণের পদশব্দে ও জনগণের স্বোচ্চার কণ্ঠে আতঙ্কিত হয়ে তাদের দমনের চেষ্টা করছে। সে কারণেই তারা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি নস্যাৎ করতে হায়েনার মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে বিচার বিভাগ পর্যন্ত প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আওয়ামী লীগের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের বসিয়ে সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
তিনি বলেন, সরকার সব জায়গায় নিজেদের লোক বসিয়ে গোটা দেশকে উপনিবেশ বানিয়েছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং জনগণের নাগরিক ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) গণতন্ত্রকামী ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মমভাবে দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। একইভাবে তারা এখন দলের ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকার সাভার, পটুয়াখালী, মাগুরা ও ঝালকাটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তাদের দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিনা উসকানিতে হামলা চালায় পুলিশ।
রিজভী বলেন, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে সমাবেশে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় তাদের দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দলীয় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে: এবিএম মোশাররফ হোসেন
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
২ বছর আগে